Birds of feather flock together. VCs from 51 universities supported this greedy VC. Shame
This is not acceptable. Students are crossing their limit. They should come to the table for solution. Already it has become political issue. VC should not resign.
এটা শাবিপ্রবি এর ছাত্রদের ভালো একটা পদক্ষেপ। সকল ছাত্র সমাজের জন্য অনুকরণীয়।
মন্দ লোকের ক্ষমতাসীন হওয়া কেয়ামতের লক্ষ্মণ। অদক্ষ ও অযোগ্য লোক যে কাজের যোগ্যতা রাখেনা বা যে পদের উপযুক্ত নয় সেই লোক সেই কাজে নিযুক্ত হলে বা সেই পদে সমাসীন হলে পদটি কলঙ্কিত হবে এবং ওই কাজটিও সুচারুভাবে সম্পন্ন হবেনা। মন্দ কোনো লোকের দায়িত্ব গ্রহণ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, একবার হজরত রাসূলুল্লাহ সা. এক মজলিসে উপস্থিত লোকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছিলেন। এমন সময় গ্রাম্য এক আরব সেখানে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামত কখন হবে? রাসূলুল্লাহ সা. তার জিজ্ঞাসার জবাব না দিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখলেন। ফলে উপস্থিত লোকদের কেউ কেউ বলতে লাগল, রাসূলুল্লাহ সা. সে যা বলেছে শুনতে পেয়েছেন কিন্তু তার কথা তিনি পছন্দ করেননি। আবার কেউ কেউ বলল, আল্লাহর রাসূল স. তার কথা শুনতেই পাননি। এর পর বক্তব্য শেষ হলে রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, প্রশ্নকারী কোথায়। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এখানে। রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, যখন আমানতকে ধ্বংস করে ফেলা হবে, তখন কিয়ামতের জন্য অপেক্ষা করো। প্রশ্নকারী বলল, আমানত কিভাবে ধ্বংস হয়? রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, যখন অযোগ্য লোককে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হবে- তখন কিয়ামতের অপেক্ষায় থেকো। -সহিহ বুখারি-৪৬৯৬। এ প্রসঙ্গে আরেকটি হাদিস প্রণিধানযোগ্য। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বর্ণনা করেন, আমি রাসুল সা. কে বলতে শুনেছি, ‘নিশ্চয়ই মানুষ এমন শত উটের মতো, যাদের মধ্য থেকে তুমি একটিকেও বাহনের উপযুক্ত পাবে না।’ সহিহ বুখারি-৬৪৯৮। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানকার ভিসির বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রীদের এন্তার অভিযোগ। ভিসির সঙ্গে ছাত্র ছাত্রীরা আলোচনা করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আজকাল কেজি ক্লাসে পড়ে এমন ছেলে মেয়েদের গায়েও সাধারণত মা-বাবা হাত তোলেন না। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের গায়ে হাত তোলা কী যে লজ্জার কাণ্ড তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। ছাত্র ছাত্রীদের আত্মসম্মানে আঘাত করা হয়েছে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এসেছেন তাঁরা সম্যক অবগত আছেন ছাত্র ছাত্রীদের আত্মসম্মানবোধ কি জিনিস! ছাত্র ছাত্রীদের ওপর আঘাতের পর তার প্রতিবাদে তাঁরা আজ ১১ দিন ধরে আমরণ অনশনে আছেন। চরম অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারপরও ভিসি অনড়। ছাত্র ছাত্রীরা মৃত্যুর মুখে। তিনি পদ আঁকড়ে ধরে বসে আছেন। যাঁরা তাঁকে নিয়োগ দিয়েছেন তারাও নিশ্চুপ। এতেই বুঝা যাচ্ছে মূল্যবোধের অবক্ষয়ের মাত্রা কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। এদিকে জাতীয় সংসদে ষাটের দশকের তুখোড় ছাত্র নেতা সাংসদ কাজী ফিরোজ রশিদ শিক্ষামন্ত্রীকে সিলেটে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং ভিসিকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‌‘শিক্ষামন্ত্রী আছেন, উনি বলেছিলেন যে তোমাদের দাবিদাওয়া রেখে ঢাকা আসো আমার সঙ্গে আলোচনা করতে। আমরা সবাই ছাত্র আন্দোলন করে এসেছি। আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে কখনো ছাত্ররা কারও সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা আসবে না, আমরা জানি। মন্ত্রীর উচিত ছিল ওখানে ডাবল মাস্ক পরে যাওয়া। মোনায়েম খান বহুবার আমাদের বঙ্গভবনে ডেকেছেন। আমরা তখন ছাত্র ছিলাম, আমরা বিয়ের দাওয়াত পেতাম না, আমাদের মিলাদের দাওয়াতও দিত না। বঙ্গভবনের দাওয়াতও কিন্তু আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা কখনো কোনো আন্দোলন করতে গিয়ে বঙ্গভবনের দাওয়াতে যাইনি। ছাত্ররা কেন আসবে আপনার কাছে। প্রতিটি ছাত্র আন্দোলন এ দেশে হয়েছে যৌক্তিকভাবে।’ (প্রথম আলো ২৩ জানুয়ারি, ২০২২) পুরো ষাটের দশকে জুড়ে ছাত্র আন্দোলন দেখেছি। কাজী ফিরোজ রশিদ তাঁদেরই একজন। তিনি ছাড়াও জাতীয় পার্টির সাংসদ পীর ফজলুর রহমান ভিসির পদত্যাগ দাবি করেছেন। তিনিও জাতীয় সংসদে বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার আন্দোলন চলছে। শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে আলাপ করতে গেলে গ্রেনেড হামলা, লাঠিপেটা করা হয়েছে। ছাত্রদের ওপর আক্রমণ করার কারণেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে ভিসি কোনো আলোচনা না করার কারণে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে গিয়েছেন। অনশনে অসুস্থ হয়ে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু উপাচার্য আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে নির্লজ্জের মতো পদে আছেন। যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভিসিকে চান না, কিন্তু লখিন্দরের বাসার মতো সুরক্ষা নিয়ে নিজের বাসায় বসে আছেন। তিনি পদত্যাগ করবেন না। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন না। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে না চাইলে সরকারের উচিত আজকের মধ্যে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া।' (প্রথম আলো ২৩ জানুয়ারি ২০২২) আবার শাবিপ্রবির ছাত্র লীগের ১০৫জন সাবেক ছাত্র নেতাও ভিসির পদত্যাগ দাবি করেছেন (মানবজমিন ২৩ জানুয়ারি ২০২২)। এরপরও কী কর্তৃপক্ষের বোধোদয় হবে না?
নির্লজ্জ বেহায়া কোথাকার। ওকে কান ধরে না নামালে সরবে না।
Shame. Not yet resigned. As a teacher, you have responsibility for your students don't spread violence out of control.
ছাত্ররা না চাইলে আপনি কিসের শিক্ষক? শিক্ষক হয়েও এতো ক্ষমতার লোভ কেন থাকবে? বুঝিয়ে দিলেন আপনি মেরুদন্ডহীন বোধবুদ্ধিহীন একজন অসাড়...।
ঐ ব্যক্তি কখনই শিক্ষক হতে পারে না, ১০০% বার সে যে নোংরা চাটুকার, ধিক্ ধিক্ ঐ ব্যক্তিকে ও সমর্থনকারীদের।
এমন নির্লজ্জ ভিসির কারণে সব শিক্ষকদের সন্মান হানি হচ্ছে এতে কারও টনক নড়ছে না। ওনার যদি বিন্দুমাত্র আত্মসম্মানবোধ থাকত, উনি অবশ্যই এখান থেকে সরে আসতেন। উনি জোর করে বসে আছেন। উনি উনার শিক্ষাগত যুজ্ঞতায় বুঝতে পারছেন না তার প্রতি ছাত্রদের কোনো আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই, ভালোবাসা নেই, শ্রদ্ধাবোধ নেই। একজন উপাচার্যকে সরাতে ছাত্ররা যদি এতদিন অনশন করে, এর চেয়ে দুঃখজনক কিছু নেই। শিক্ষা মন্ত্রী দেশ বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন, সিলেট যেতে উনার ৩০ মিনিট সময় লাগবে উনি যেতে পারছেন না! এই সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না!
নিলজ্জ ভিসি কে কান ধরে বাসা থেকে বাহিরে নিয়ে আসার সময় হয়েছে আর বাংলাদেশের কোন বিদ্যাপিঠে যেন সে স্থান না পায় সে ব্যবস্থা করা দরকার
আবুল কাসেম
২৩ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ৮:০৩যে ব্যক্তি যে ধরনের দায়িত্ব পালন করার উপযুক্ত তাঁর ওপর সে-ধরনের দায়িত্ব দেওয়া সমীচীন। যখন অজ্ঞ লোকের ওপর গুরুদায়িত্ব অর্পণ করা হয় তখনই যতো গণ্ডগোল বাঁধে। 'দায়িত্ব' একটি বিরাট আমানত। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে আমানতের খেয়ানত করে সে মুনাফেকি। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন 'হে মুসলিমগণ! আল্লাহ‌ তোমাদের যাবতীয় আমানত তার হকদারদের হাতে ফেরত দেবার নির্দেশ দিচ্ছেন। আর লোকদের মধ্যে ফায়সালা করার সময় 'আদল' ও ন্যায়নীতি সহকারে ফায়সালা করো। আল্লাহ্‌ তোমাদের বড়ই উৎকৃষ্ট উপদেশ দান করেন। আর অবশ্যই আল্লাহ‌ সবকিছু শোনেন ও দেখেন।' সূরা আন নিসা, আয়াত-৫৮। অর্থাৎ বনী ইসরাঈলরা যেসব খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে গেছে তোমরা সেগুলো থেকে দূরে থেকো। বনী ইসরাঈলদের একটি মৌলিক দোষ ছিল এই যে, তারা নিজেদের পতনের যুগে আমানতসমূহ অর্থাৎ দায়িত্বপূর্ণ পদ, ধর্মীয় নেতৃত্ব ও জাতীয় নেতৃত্বের ক্ষেত্রে মর্যাদপূর্ণ পদসমূহ (Positions of trust) এমন সব লোকদেরকে দেয়া শুরু করেছিল যারা ছিল অযোগ্য, সংকীর্ণমনা, দুশ্চরিত্র, দুর্নীতিপরায়ণ, খেয়ানতকারী ও ব্যভিচারী। ফলে অসৎ লোকদের নেতৃত্বে সমগ্র জাতি অনাচারে লিপ্ত হয়ে গেছে। মুসলমানদেরকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে, তোমরা এই বনী ইসরাঈরদের মতো আচরণ করো না। বরং তোমরা যোগ্য লোকদেরকে আমানত সোপর্দ করো। অর্থাৎ আমানতের বোঝা বহন করার ক্ষমতা যাদের আছে কেবল তাদের হাতে আমানত তুলে দিয়ো। বনী ইসরাঈলদের দ্বিতীয় বড় দুর্বলতা এই ছিল যে, তাদের মধ্যে ইনসাফ ও ন্যায়নীতির প্রাণশক্তি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। ব্যক্তিগত ও জাতীয় স্বার্থে তারা নির্দ্বিধায় ঈমান বিরোধী কাজ করে চলতো। সত্যকে জেনেও সুস্পষ্ট হঠ ধর্মীতায় লিপ্ত হতো। ইনসাফের গলায় ছুরি চালাতে কখনো একটুও কুণ্ঠা বোধ করতো না। সে যুগের মুসলমানরা তাদের বে-ইনসাফীর তিক্ত অভিজ্ঞতা হাতে কলমে লাভ করে চলছিল। একদিকে তাদের সামনে ছিল মুহাম্মাদ ﷺ ও তাঁর ওপর যারা ঈমান এনেছিল তাদের পুত পবিত্র জীবনধারা। অন্যদিকে ছিল এমন এক জনগোষ্ঠীর জীবন যারা মূর্তিপূজা করে চলছিল। তারা কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দিতো। বিমাতাদেরকেও বিয়ে করতো। উলংগ অবস্থায় কাবা ঘরের চারদিকে তওয়াফ করতো। এই তথাকথিত আহলি কিতাবরা এদের মধ্যে থেকে প্রথম দলটির ওপর দ্বিতীয় দলটিকে প্রাধান্য দিতো। তারা একথা বলতে একটুও লজ্জা অনুভব করতো না যে, প্রথম দলটির তুলনায় দ্বিতীয় দলটি অধিকতর সঠিক পথে চলছে। মহান আল্লাহ‌ তাদের এই বে-ইনসাফির বিরুদ্ধে সতর্কবাণী উচ্চারণ করার পর এবার মুসলমানদের উপদেশ দিচ্ছেন, তোমরা ওদের মতো অবিচারক হয়ো না। কারো সাথে বন্ধুতা বা শত্রুতা যাই হোক না কেন সব অবস্থায় ইনসাফ ও ন্যায়নীতির কথা বলবে এবং ইনসাফ ও সুবিচার সহকারে ফয়সালা করবে। (তাফহীমুল কুরআন থেকে সংগৃহীত)।