শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে এরকম নির্লজ্জ বেহায়া লোক গুলোকে দেখা যায়, এদেরকে জুতা পিটা করলেও পদত্যাগ করেনা..
বিদুতের লাইন কেটে দিতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জীবন মৃত্যুর মুখোমুখি, আর ভিসি মহোদয় বহাল তবিয়তে রাজত্ব টিকিয়ে রাখার কৌশলী পদক্ষেপ নিতে থাকবেন শিক্ষার্থীরা সেটা বুঝে গেছে। শেষ পর্যন্ত পানি ঘোলা করতে করতে এমন একটা ব্যাপার ঘটে গেছে যে, বৈদ্যুতিক আলোও ঘোলাটে হয়ে গেছে। এর দায় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা। যে ব্যক্তি যে ধরনের দায়িত্ব পালন করার উপযুক্ত তাঁর ওপর সে-ধরনের দায়িত্ব দেওয়া সমীচীন। যখন অজ্ঞ লোকের ওপর গুরুদায়িত্ব অর্পণ করা হয় তখনই যতো গণ্ডগোল বাঁধে। 'দায়িত্ব' একটি বিরাট আমানত। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে আমানতের খেয়ানত করে সে মুনাফেকি। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন 'হে মুসলিমগণ! আল্লাহ‌ তোমাদের যাবতীয় আমানত তার হকদারদের হাতে ফেরত দেবার নির্দেশ দিচ্ছেন। আর লোকদের মধ্যে ফায়সালা করার সময় 'আদল' ও ন্যায়নীতি সহকারে ফায়সালা করো। আল্লাহ্‌ তোমাদের বড়ই উৎকৃষ্ট উপদেশ দান করেন। আর অবশ্যই আল্লাহ‌ সবকিছু শোনেন ও দেখেন।' সূরা আন নিসা, আয়াত-৫৮। অর্থাৎ বনী ইসরাঈলরা যেসব খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে গেছে তোমরা সেগুলো থেকে দূরে থেকো। বনী ইসরাঈলদের একটি মৌলিক দোষ ছিল এই যে, তারা নিজেদের পতনের যুগে আমানতসমূহ অর্থাৎ দায়িত্বপূর্ণ পদ, ধর্মীয় নেতৃত্ব ও জাতীয় নেতৃত্বের ক্ষেত্রে মর্যাদপূর্ণ পদসমূহ (Positions of trust) এমন সব লোকদেরকে দেয়া শুরু করেছিল যারা ছিল অযোগ্য, সংকীর্ণমনা, দুশ্চরিত্র, দুর্নীতিপরায়ণ, খেয়ানতকারী ও ব্যভিচারী। ফলে অসৎ লোকদের নেতৃত্বে সমগ্র জাতি অনাচারে লিপ্ত হয়ে গেছে। মুসলমানদেরকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে, তোমরা এই বনী ইসরাঈরদের মতো আচরণ করো না। বরং তোমরা যোগ্য লোকদেরকে আমানত সোপর্দ করো। অর্থাৎ আমানতের বোঝা বহন করার ক্ষমতা যাদের আছে কেবল তাদের হাতে আমানত তুলে দিয়ো। বনী ইসরাঈলদের দ্বিতীয় বড় দুর্বলতা এই ছিল যে, তাদের মধ্যে ইনসাফ ও ন্যায়নীতির প্রাণশক্তি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। ব্যক্তিগত ও জাতীয় স্বার্থে তারা নির্দ্বিধায় ঈমান বিরোধী কাজ করে চলতো। সত্যকে জেনেও সুস্পষ্ট হঠ ধর্মীতায় লিপ্ত হতো। ইনসাফের গলায় ছুরি চালাতে কখনো একটুও কুণ্ঠা বোধ করতো না। সে যুগের মুসলমানরা তাদের বে-ইনসাফীর তিক্ত অভিজ্ঞতা হাতে কলমে লাভ করে চলছিল। একদিকে তাদের সামনে ছিল মুহাম্মাদ ﷺ ও তাঁর ওপর যারা ঈমান এনেছিল তাদের পুত পবিত্র জীবনধারা। অন্যদিকে ছিল এমন এক জনগোষ্ঠীর জীবন যারা মূর্তিপূজা করে চলছিল। তারা কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দিতো। বিমাতাদেরকেও বিয়ে করতো। উলংগ অবস্থায় কাবা ঘরের চারদিকে তওয়াফ করতো। এই তথাকথিত আহলি কিতাবরা এদের মধ্যে থেকে প্রথম দলটির ওপর দ্বিতীয় দলটিকে প্রাধান্য দিতো। তারা একথা বলতে একটুও লজ্জা অনুভব করতো না যে, প্রথম দলটির তুলনায় দ্বিতীয় দলটি অধিকতর সঠিক পথে চলছে। মহান আল্লাহ‌ তাদের এই বে-ইনসাফির বিরুদ্ধে সতর্কবাণী উচ্চারণ করার পর এবার মুসলমানদের উপদেশ দিচ্ছেন, তোমরা ওদের মতো অবিচারক হয়ো না। কারো সাথে বন্ধুতা বা শত্রুতা যাই হোক না কেন সব অবস্থায় ইনসাফ ও ন্যায়নীতির কথা বলবে এবং ইনসাফ ও সুবিচার সহকারে ফয়সালা করবে। (তাফহীমুল কুরআন থেকে সংগৃহীত)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ পদবি যেমন বড়ো তেমনি দায়িত্বও বিরাট। আজকে দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সরকারের তোষামোদিতে ব্যতিব্যস্ত। এখানেও বড়ো সড়ো প্রকল্পের কাজ হয়। বড়ো বড়ো প্রকল্পের কাজ মানে কী তা সবাই জানে, বুঝেও। সরকার দলীয় লোক যোগ্য অযোগ্য বাচবিচার না করেই ভিসি পদে নিয়োগ দিয়ে থাকে। দলীয় লোকের পকেট ভরানোর ইতিকথা বলে শেষ করা যাবে না। তাই শাবির ছাত্র ছাত্রীরা মৃত্যু মুখে দেখেও নির্লজ্জ ভিসি এবং নিয়োগদাতারা নিশ্চুপ। ভিসির মনে রাখা উচিত ছিলো, ছাত্রদের ক্ষ্যাপানোর ফল ভালো নয়। নির্লজ্জ বেহায়ার বাসার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরপরও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে না কেন? অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে গেছে মনে হচ্ছে ছাত্রদের ওপর একটি ফুলের টোকাও যদি পড়ে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বলে উঠবে। সুতরাং, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয় অথবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করে সমাধান করতে পারেন।
কুলাঙ্গার ছাত্ররা, দেশের জন্য লজ্জা।
যে ভিসির কোনো সেলফ রেসপেক্ট নাই, তার শিক্ষার কোনো মূল্য নাই।
Students - Keep it up!
You can't pullout "ghee" by straight finger.
শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে এরকম নির্লজ্জ বেহায়া লোক গুলোকে দেখা যায়, এদেরকে জুতা পিটা করলেও পদত্যাগ করেনা..
আহ সোনার ছেলেরা! তোমরা জাতির ভবিষৎ?ভিসির বাসভবনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে তাকে চেয়ার থেকে নামিয়ে জাতিকে কি বার্তা দিচ্ছ?তোরা মানুষ হবি কবে?
লজ্জাবোধ থাকা উচিত।
উপাচার্যকে আইসিটি ভবনে যারা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল তারা কি সত্যিই শাবিপ্রবি এর শিক্ষার্থী!!! যেকোন আন্দোলনের পূ্র্বে অভিযোগ জানানোর বা দাবি আদায়ের কতগুলো লিগ্যাল প্রসেস থাকে।
True Mia
২৩ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ১১:৫৮There is a govt, president, parliament, and civil admiration but a university is going to ruin in front of everybody This country is Bangladesh