অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে নেয় বাংলাদেশ যুব দল। গতবারের ফাইনালের আমেজ মিলবে চলতি আসরের কোয়ার্টারেই। শেষ আটের লড়াইয়ে ভারতীয়দের মোকাবিলা করবে ইয়াং টাইগাররা।
গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ের শুরুটা রাঙাতে পারেনি বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটের হার দিয়ে শুরু করা রাকিবুল হাসানরা জয়ে ফেরে দ্বিতীয় ম্যাচে। কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বড় ব্যবধানে হারালো যুবারা। শনিবার রাতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৯ উইকেটের দাপুটে জয় পায় বাংলাদেশ। ১৪৮ রান তাড়া করতে নেমে ৬১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় তারা। এই জয়ে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
ওদিকে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ভারত। আগামী ২৯শে জানুয়ারি সেমিতে উঠার লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে টসে জিতে আরব আমিরাতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। আমিরাতের ব্যাটিং লাইনআপে প্রথম আঘাত হানেন আশিকুর জামান। তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাতে আমিরাতের দুই ওপেনারকে ফেরান তিনি। দলীয় ৬ রানে সুরিয়া সাতিশ ও কাই স্মিথকে হারায় মরুর দেশের দলটি। তৃতীয় উইকেটে ধ্রুব পারাশার ও আলিশান শরাফুর ৪৪ রানের জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। অধিনায়ক শরাফু ৬৩ বলে মাত্র ২৩ রান নিয়ে ফেরেন সাজঘরে। রাকিবুল হাসানের বলে ৩৩ রানে ফেরেন ধ্রুব। এরপর পূণ্য মেহরার ৬৪ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে আরব আমিরাত পায় ১৪৮ রানের সংগ্রহ।
৯.১ ওভার বল করে ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন রিপন মন্ডল। ২টি করে উইকেট নেন আশিকুর জামান ও তানজিম হাসান সাকিব। রাকিবুল ও আরিফুল পান ১টি করে উইকেট।
ব্যাট হাতে দাপুটে শুরু করে
বাংলাদেশের দুই ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম ও ইফতেখান হোসেন। দুজন মিলে গড়েন ৮৬ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৩৭ রানে ইফতেখান আউট হলে ভাঙে জুটিটি। এরপর মাহফিজুল ৬৯ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে জয় তুলে নেন। ১০ বল খেলে ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন প্রান্তি নওরোজ নাবিল।
২৪.৫ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। কোয়ার্টার-ফাইনাল নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশার পারদটা উচ্চাঙ্গে থাকবে। গত আসরের ফাইনালিস্ট দুই দলের লড়াইটা জমজমাট হওয়ারই কথা। বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয় ভারতের যুবারা। তবে করোনার কারণে ভারতের নিয়মিত একাদশের একাধিক খেলোয়াড় রয়েছেন আইসোলেশনে।