× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শনাক্ত ৩১ শতাংশ ছাড়িয়েছে /৯৭,৩৯৪ রোগী বাসায়

প্রথম পাতা

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
২৪ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার

সংক্রমণ বিদ্যুৎ গতিতে ছড়াচ্ছে। বাড়ছে মৃত্যুও। নমুনা পরীক্ষায় এখন প্রতি তিন জনে একজন করোনা রোগী ধরা পড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২২৩ জনে। নতুন শনাক্তের ৬০ শতাংশই ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা। বিভিন্ন হিসাব করে দেখা গেছে, শনাক্তকৃত সংক্রমিত এ মুহূর্তে ৯৭ হাজার ৩৯৪ জন করোনা রোগী হাসপাতালে নেই। তাহলে তারা হয় বাসায় আছেন।
নতুবা সংক্রমণ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের সঠিক মনিটরিং হচ্ছে কিনা প্রশ্ন। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২ হাজার ৬৫৮ জন করোনা রোগী। হাসপাতালে প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, একটু একটু করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জায়গা নতুন ধরন ওমিক্রন দখল করে নিচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন হিসাব করে দেখা গেছে, সুস্থ, মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তিদের বাদ দিলে শনাক্তকৃত সংক্রমিত ৯৭ হাজার ৩৯৪ জন করোনা রোগী এ মুহূর্তে হাসপাতালে নেই। দেশের হাসপাতালে এ মুহূর্তে ভর্তি আছেন ২ হাজার ৬৫৮ জন শনাক্তকৃত রোগী। এরমধ্যে করোনা ইউনিটের সাধারণ সিটে ২ হাজার ২৫৭ জন, আইসিইউতে ২৭৬ জন এবং এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন ১২৫ জন।

গতকালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ফের করোনার শনাক্তের হার দ্রুত বাড়ছে। দৈনিক শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশে পৌঁছেছে। যা আগের দিন ছিল ২৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮ হাজার ২২৩ জনে। নতুন শনাক্তের ৬০ শতাংশই ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯০৬ জন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৬১৪ জন। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮২ জন এবং এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে ৮৫৭টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ৫১টি নমুনা সংগ্রহ এবং ৩৪ হাজার ৮৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২১ লাখ ১৬ হাজার ৮৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে ৬ পুরুষ এবং ৮ জন নারী। দেশে মোট পুরুষ মারা গেছেন ১৮ হাজার ৪১ জন এবং নারী ১০ হাজার ১৮২ জন। তাদের মধ্যে বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের ২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১ জন রয়েছেন। মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে ঢাকায় ৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ১ জন, বরিশালে ১ জন, সিলেটে ২ জন, রংপুরে ১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন রয়েছেন। মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে ১১ জন সরকারি হাসপতালে এবং ৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। নতুন শনাক্তের মধ্যে ঢাকা মহানগরের রয়েছেন ৬৫৮১ জন। যা একদিনে মোট শনাক্তের ৬০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৭২৯২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫৪৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫২৫ জন, রংপুর বিভাগে ১৬৫ জন, খুলনা বিভাগে ৪৮৭ জন, বরিশাল বিভাগে ১৭৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ৫২৯ জন শনাক্ত হয়েছেন।

ডেল্টার জায়গা দখলে নিচ্ছে ওমিক্রন: একটু একটু করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জায়গা নতুন ধরন ওমিক্রন দখল করে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ কথা বলেন। ওমিক্রনের লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে তিনি বলেন, ওমিক্রনের যে উপসর্গগুলো আছে, তারমধ্যে ৭৩ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে নাক দিয়ে পানি ঝরছে। মাথাব্যথা করছে ৬৮ শতাংশ রোগীর। অবসন্নতা অনুভব করছেন, ক্লান্তি অনুভব করছেন ৬৪ শতাংশ রোগী। হাঁচি দিচ্ছেন ৬০ শতাংশ রোগী। গলা ব্যথা হচ্ছে ৬০ শতাংশ রোগীর, কাশি দিচ্ছেন ৪৪ শতাংশ রোগী। নাজমুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়গুলো কিন্তু আমাদের মাথায় রাখতে হবে। এর সঙ্গে কিন্তু সিজনাল যে ফ্লু হচ্ছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা হচ্ছে তার সঙ্গেও কিন্তু মিল রয়েছে। কাজেই যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করেই আমাদের চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। রোগীর সংখ্যা যদি প্রতিদিনই বাড়তে থাকে এবং স্বাস্থ্যবিধিকে অমান্য করে আমরা যদি নিজের মত করে চলতে থাকি তাহলে কিন্তু রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে। সেটি কিন্তু সামগ্রিক ভাবে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে-গত তিন-চার মাসের চেয়ে হাসপাতালে রোগী অনেক বেড়েছে এবং এটি অব্যাহত রয়েছে। এই অতিমারিকে আমরা যদি পরাস্ত করতে চাই তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বইমেলার বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যারা বইমেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের আমরা অনুরোধ করবো মেলা শুরুর আগে তাদের যেন টিকা গ্রহণে কার্যক্রমটি তারা সমাপ্ত করেন। বইমেলায় যারা যাবেন, ষাটোর্ধ্ব যারা আছেন, ফ্রন্ট লাইনার যারা আছেন, তারা যেন তাদের বুস্টার ডোজের টিকা গ্রহণ করে নেন। মেলায় অবশ্য নাক-মুখ ঢেকে সঠিক নিয়মে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবে মাস্ক খুলে বইমেলাতে বিচরণ করা যাবে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
রবিউল ইসলাম
২৩ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ১১:৩৪

আমি গতি ১৮/০১/২২ইং ওমরাহর জন্য কভিড পরিক্ষা করাই,আমার শরীরে কোন লক্ষন না থাকা সত্ত্বেও রেজাল্ট আসে কভিড পজেটিভ,সে জন্য আমি বিশ্বাস করতে পারছি না,এতে লোক কভিডে আক্রান্ত, কভিডে আক্রান্ত হলে অবশ্যই লোকজন হাসপাতালে ভর্তি হতো।সবকিছুই এখন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হয়।

অন্যান্য খবর