ক’দিন আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইটারে তথাকথিত হিন্দুত্বভা এবং হিন্দুবাদকে আশ্রয় করে রাজনৈতিক বক্তব্য পেশের প্রবণতাকে কাপুরুষের আশ্রয় বলে বর্ণনা করেছিলেন। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যপারে পরিস্কার দিক নির্দেশ দিয়েছে। দেশের কোনো রাজনীতিবিদই তাঁদের ভাষণে আর হিন্দু, হিন্দুত্বভা অথবা হিন্দুইজম নিয়ে বিদ্বেষমূলক প্রচার চালাতে পারবে না। সুপ্রিম কোর্ট তাদের আদেশে স্পষ্ট বলেছে, এই বিপজ্জনক প্রথা রোধ করার জন্য সমাজের সর্বস্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন। রাজনীতিবিদদের হুঁশিয়ারি দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এরপর যদি কেউ এর প্রয়োগ করে সুবিধা নিতে চায় তাহলে অ্যাপেক্স কোর্ট কড়া ব্যবস্থা নেবে। তাদের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, বিশিষ্ট দার্শনিক ড. সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণনের একটি পর্যবেক্ষণের উল্লেখ করেছে। এই দার্শনিক লিখেছিলেন সিন্ধু নদের পশ্চিম প্রান্তে যাঁরা বসবাস করতেন তাঁরাই হিন্দু নামে পরিচিত হয়েছেন। এই পর্যবেক্ষণকে সম্বল করে সুপ্রিম কোর্ট যে কোনও ধরনের সংকীর্ণতা মুক্ত থাকার কথা বলেছে।
ভারতে প্রায়ই হিন্দুত্বভার সঙ্গে ব্রাহ্মণত্ববাদকে গুলিয়ে ফেলা হয়। সুপ্রিম কোর্ট ভারতীয় জনগণকে সম্প্রদায়ের উর্ধে গিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে বলেছে। একই সঙ্গে রাজনীতিবিদদের সংকীর্ণতা পরিত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে।
Kazi
২৩ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ৯:৩৪এই আদেশ কতোটুকু পালন করা হয় দেখার অপেক্ষায় রইলাম। তবে এই ইজম ও সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে ভারত যে অনেক পিছিয়ে পড়েছে তা চোখ বুঝে আন্দাজ করা যায়। বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে থাকা ভারতের ক্ষমতা পেয়েছিল বিজেপির সরকার। ক্ষমতাসীন হয়েই সাম্প্রদায়িক বিভাজনের শ্লোগান দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হচ্ছে আর একই কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পিছিয়েছে । আজ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্যেই উন্নতি অর্জন করেছে।