আইসিসি’র বর্ষসেরা খেতাবে পাকিস্তানের জয়জয়কার। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের পর এবার শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে শাহীন আফ্রিদি। তবে শাহীনই সবচেয়ে বড় পুরস্কারটা জিতেছেন- বর্ষসেরা ক্রিকেটার। যেটি ‘স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি’ নামে পরিচিত। অন্যদিকে মেয়েদের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের স্মৃতি মন্দানা। এর আগে রিজওয়ান বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি এবং বাবর বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের খেতাব পেয়েছেন।
‘স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি: আইসিসি মেনস ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহীন শাহ আফ্রিদি, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন এবং ইংল্যান্ডের জো রুট। ম্যাচজয়ী ইনিংস, দুর্দান্ত স্পেল, অতিমানবীয় পারফরম্যান্স এবং অনবদ্য নেতৃত্ব- মনোনীতদের এই চারটি বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে।
স্বদেশি রিজওয়ান, উইলিয়ামসন, রুটকে পেছনে ফেলে ২১ বছর বয়সী শাহীনই জিতলেন পুরস্কারটা। গত বছর তিন ফরম্যাটেই দুর্দান্ত বোলিং করেন শাহীন আফ্রিদি। বাঁহাতি এই পেসার টেস্টে ৯ ম্যাচেই ১৭.০৬ গড়ে নেন ৪৭ উইকেট। আর ৬ ওয়ানডেতে তার শিকার ৮ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে তোলার পেছনে অনবদ্য ভূমিকা ছিল শাহীনের। ৬ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
স্মরণীয় স্পেলভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন শাহীন। ওই ম্যাচে ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন শাহীন। তার পেসে কুপোকাত হয়ে ফেরেন ভারতের শীর্ষ তিন ব্যাটার কে এল রাহুল, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। যে স্পেল নিয়ে এখনো গর্ব করেন শাহীন। তিনি বলেন, ‘এ বছর মনে রাখার মতো বেশ কিছু পারফরম্যান্স ছিল। টেস্টে ৫ উইকেট পেয়েছি। কিন্তু আমার কাছে সবচেয়ে স্মরণীয় ভারতের বিপক্ষে জয়। ঐতিহাসিক এক ম্যাচ ছিল ওটা। এই ম্যাচে অনেক আগ্রহ থাকে মানুষের। ভারতের বিপক্ষে ভালো করাটা আমার ২০২১ সালের সেরা মুহূর্ত।’