× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শাবিতে বিক্ষোভ, ভিসি ভবনে ঢুকতে পারেননি প্রক্টর

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ২৪, ২০২২, সোমবার, ৬:২৩ অপরাহ্ন

ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিকেলে ক্যাম্পাসে গোলচত্বর এলাকা থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে ভিসিকে ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।  এদিকে- সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা ভিসি ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার নিয়ে যান। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ভিসি ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের জন্য আনা প্রক্টোরিয়াল বডির খাবারও ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে আওয়ামী লীগ দলীয় দুই সিটি কাউন্সিলর একইভাবে খাবার নিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা তাদেরও প্রবেশ করতে দেননি।।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
আবুল কাসেম
২৪ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার, ৬:৩৭

একজন মন্ত্রী ও ভিসির জীবন থেকে আমাদের জন্য শিক্ষা ----------------------------------------------- ডাক্তার মুরাদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সারাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভেতর থেকে অতি মেধাবীরাই মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। ডাক্তার মুরাদ হাসান সেই সৌভাগ্যবানদের একজন। তাঁর আরেকটি উল্লেখযোগ্য পরিচয় আছে। তিনি একজন গর্বিত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাঁর পিতা একজন বরেণ্য রাজনীতিবিদ ও প্রখ্যাত আইনজীবী ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক (জামালপুর-শেরপুর) ও মুজিব নগর সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি ১৯৮৬-২০০৩ মেয়াদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি জামালপুর ‘ল’ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, জাতীয় আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি এবং জামালপুর জেলা বারের ৬ (ছয়) বার নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। এমনই একজন স্বনামধন্য পিতার সন্তান ডাক্তার মুরাদ হাসান ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে স্টার মার্কসহ এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং বিএসএমএমইউ থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯ মে ২০১৯ – ৭ ডিসেম্বর ২০২১ সাল পর্যন্ত এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ৭ জানুয়ারি ২০১৯ – ১৯ মে ২০১৯ পর্যন্ত। অবশেষে ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ নৈতিক স্খলনের দায়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ দেশব্যাপী আলোড়ন তুলেছে। তিনি একটি টেলিভিশন টকশোতে খালেদা জিয়া ও তাঁর নাতনী জাইমা সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ আছে। তাছাড়া চলচ্চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে টেলিফোনে অশালীন কথপোকথনের একটি রেকর্ড ফাঁস হলে তিনি বিতর্কিত ও ব্যপকভাবে সমালোচিত হন এবং বেকায়দায় পড়েন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দেশের এমন একজন তুখোড় মেধাবীর নৈতিক স্খলন ঘটলো কেনো? অন্যদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ পাওয়ার দরকার পড়ে। তারমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি মেধাবী, নিয়মানুবর্তী ও সুশৃঙ্খল বিদ্যানুরাগী হতে হয়। এরপর দীর্ঘদিন শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ও সকলের সিনিয়ার হলে ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এবং  সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি। তিনি বর্তমানে ফেডারেশন অব বাংলাদেশে ইউনিভার্সিটি টিচার্স এ্যাসোসিয়েশনের  সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৭ সালের ২১ অগাস্ট, ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে প্রথম মেয়াদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে তার প্রথম মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার প্রায় দেড়মাস আগে তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালনকালে স্বেচ্ছাচারিতা, একগুঁয়েমি ও বেপরোয়া আচরণ করেছেন। বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় নজিরবিহীনভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অ্যাকশনের ফলে তা শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপাচার্যের একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে, যাতে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে 'অশালীন মন্তব্য' করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নতুন নিয়োগে আঞ্চলিকতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। (তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া) এরপর ছাত্র ছাত্রীরা তার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে জোরালো ভাবে উত্থাপিত হলে শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে বিদ্যার্জনে অনিহা প্রকাশ করে এবং তাঁর পদত্যাগ দাবি করে। শেষ পর্যন্ত ঘটনা গড়ায় সংসদ অধিবেশন পর্যন্ত। দুজন তুখোড় সাংসদ ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেছেন। বিভিন্ন পত্রিকার মারফতে জানা গেছে, 'সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের অপসারনের দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে। জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশিদ ও পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এই দাবি তুলেন।' (জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সিলেটভিউ২৪.কম ২৩ জানুয়ারী, ২০২২)। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, জীবনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে, সীমাহীন অধ্যাবসায় ও পরিশ্রম করে একজন সেরা মেধাবী ভিসির অশালীন আচরণ কেনো? শেষমেষ তাঁকে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের কাছে মাফ পর্যন্ত চাইতে হয়েছে। 'বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নারী শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। আজ বেলা ১২টায় জাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান তিনি।' (মানবজমিন অনলাইন ডেস্ক, ২৪জানুয়ারি, ২০২২)। তিনি বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি কী জানেননা যে, কোন কথাটা বিতর্কিত ও অশালীন? প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান এবং শাবিপ্রবির উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রায়ই একই ধরনের। বেঁফাস, বিতর্কিত ও অশালীন মন্তব্য ও কথাবার্তা যা নৈতিকতার বিচারে খুবই অন্যায়। জানিনা এদেশে আরো কতো বিদ্যান ব্যক্তি আছেন যাঁদের নৈতিক মান খুবই নিচুস্তরে। একজন সাধারণ মানুষ দুর্জন হলেও তার দ্বারা বৃহত্তর সমাজের তেমন কোনো ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকেনা। কেননা তার কাজের পরিধি ও প্রভাব খুবই সীমিত। কিন্তু একজন বিদ্যান মানুষের নৈতিক স্খলন ঘটলে বৃহত্তর সমাজ জীবনের সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা তাঁর কাজের পরিধি বিস্তৃত এবং তাঁর কাজের প্রভাব সমাজ জীবনে সুদুরপ্রসারি। কিন্তু, আমাদের জন্য অশনি সংকেত হচ্ছে আমাদের সমাজের বিদ্যান ব্যক্তিদের মধ্য কেউ কেউ নৈতিক স্খলনের দায়ে অভিযুক্ত। এই সংখ্যাটা যদি দিনকে দিন বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের উচ্ছন্নে যাওয়া সময়ের ব্যপার মাত্র। এখন কথা হচ্ছে কিভাবে আধুনিক শিক্ষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উন্নত নৈতিকতাও হাসিল করা যেতে পারে। যে নৈতিকতার স্খলনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তার সর্বপ্রথম শর্ত হচ্ছেঃ সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার উপর অবিচল ঈমান। দ্বিতীয়তঃ পরকালের জীবনের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস। আল্লাহর উপর দৃঢ় বিশ্বাসের ফলে একজন মানুষ একাধারে আল্লাহকে ভয় করবে এবং ভালোবাসবে। ইরশাদ হচ্ছে, 'হে ঈমানদারগণ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহ‌কে ভয় করো। মুসলিম থাকা অবস্থায় ছাড়া যেন তোমাদের মৃত্যু না হয়।' সূরা আলে ইমরান, আয়াতঃ১০২। অর্থাৎ মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আল্লাহ‌র প্রতি অনুগ্রহ ও বিশ্বস্ত থাকতে হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'আর যারা মুমিন আল্লাহর সঙ্গে তাদের ভালবাসা প্রগাঢ়।’ সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ১৬৫। আল্লাহর উপর ঈমানের ভিত্তিতে মানবতার মুক্তির দূত রহমাতুল্লিল আলামীন মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ মেনে চলতে হবে। ইরশাদ হচ্ছে, 'হে নবী! লোকদের বলে দাওঃ যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহ‌কে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ‌ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহ মাফ করে দেবেন। তিনি বড়ই ক্ষমাশীল ও করুণাময়।' সূরা আলে-ইমরান, আয়াতঃ৩১। রাসূলুল্লাহর স. আদর্শ হিসেবে কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হচ্ছে। 'হজরত হিশাম বিন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গোলামকে থাপ্পড় মারে; তার এ কাজের কাফফারা হলো গোলামটিকে আজাদ করে দেয়া। আর যে ব্যক্তি (শরিয়ত পরিপন্থী কথা-বার্তা থেকে) নিজের জিহ্বা হেফাজত করবে; তাকে (জাহান্নামের) আজাব হতে মুক্তি দেয়া হবে। যে আল্লাহর কাছে নিজের ওজর পেশ করবে; তা কবুল করা হবে।' 'হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ৪টি গুণ শুধু মুমিনের মধ্যে পাওয়া যায়। আর তা হলো- চুপ থাকা, বিনয়ী হওয়া, আল্লাহর জিকির করা, অনিষ্ট কাজের স্বল্পতা।’ যারা জবানের/জিহ্বার যথাযথ হেফাজত করতে পারবে প্রথমত তারা মুমিন হিসেবে পরিগণিত হবে। দ্বিতীয়ত দুনিয়ার যাবতীয় অনিষ্টতা থেকে মুক্ত থাকবে। আর পরকালে থাকবে সীমাহীন সফলতা। ‘প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি; যার হাত ও জিহ্বা থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ।' রাসূল স বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে তার জিহ্বা ও লজ্জা স্থানের সঠিক ব্যবহারের নিশ্চয়তা দিতে পারবে, আমি তাকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিতে পারব।' সবগুলো হাদিস সহীহ বুখারী গ্রন্থে পাওয়া যায়। পরকালের জীবনের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসের ফলে দায়িত্ববান হয়ে উঠে। পরকালের জীবনের সাফল্যের হিসেব করে দুনিয়ায় সে জীবন যাপন করে। ইরশাদ হচ্ছে, 'হে ঈমানদাররা, আল্লাহকে ভয় করো। আর প্রত্যেকেই যেন লক্ষ রাখে, সে আগামীকালের জন্য কি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আল্লাহ‌ নিশ্চিতভাবেই তোমাদের সেই সব কাজ সম্পর্কে অবহিত যা তোমরা করে থাক।' সূরা আল হাশর,আয়াতঃ১৮। এই আয়াতে কারিমায় বলা হয়েছে, ঈমানদাররা যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং আগামীকালের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। আগামীকাল অর্থ আখেরাত। দুনিয়ার এই গোটা জীবনকাল হলো, ‘আজ’ এবং কিয়ামতের দিন হলো আগামীকাল যার আগমণ ঘটবে আজকের এই দিনটির পরে। এ ধরনের বাচনভঙ্গির মাধ্যমে আল্লাহ‌ তা’আলা অত্যন্ত বিজ্ঞোচিতভাবে মানুষকে বুঝিয়েছেন যে, ক্ষণস্থায়ী আনন্দ উপভোগ করার জন্য যে ব্যক্তি তার সবকিছু ব্যয় করে ফেলে এবং কাল তার কাছে ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাদ্য আর মাথা গুঁজবার ঠাই থাকবে কিনা সে কথা চিন্তা করে না সেই ব্যক্তি এ পৃথিবীতে বড় নির্বোধ। ঠিক তেমনি ঐ ব্যক্তিও নিজের পায়ে কুঠারাঘাত করছে যে তার পার্থিব জীবন নির্মাণের চিন্তায় এতই বিভোর যে আখেরাত সম্পর্কে একেবারেই গাফেল হয়ে গিয়েছে। অথচ আজকের দিনটির পরে কালকের দিনটি যেমন অবশ্যই আসবে তেমনি আখেরাতও আসবে। আর দুনিয়ার বর্তমান জীবনে যদি সে সেখানকার জন্য অগ্রিম কোন ব্যবস্থা না করে তাহলে সেখানে কিছুই পাবে না। এর সাথে দ্বিতীয় জ্ঞানগর্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, এ আয়াতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নিজের হিসেব পরীক্ষক বানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত কোন ব্যক্তির মধ্যে ভাল এবং মন্দের পার্থক্যবোধ সৃষ্টি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আদৌ সে অনুভব করতে পারে না যে, সে যা কিছু করছে তা তার আখেরাতের জীবনকে সুন্দর ও সুসজ্জিত করছে, না ধ্বংস করছে। তার মধ্যে এই অনুভূতি যখন সজাগ ও সচেতন হয়ে ওঠে তখন তার নিজেকেই হিসেব-নিকেশ করে দেখতে হবে, সে তার সময়, সম্পদ, শ্রম, যোগ্যতা এবং প্রচেষ্টা যে পথে ব্যয় করছে তা তাকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে না জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়টি বিবেচনা করা তার নিজের স্বার্থেই প্রয়োজন। অন্যথায় সে নিজের ভবিষ্যত নিজেই ধ্বংস করবে। আখেরাতের জীবনের সাফল্য ব্যর্থতার চিন্তা যাঁকে তাড়িত করে তিনি কখনো তাঁর অধিনস্তদের সাথে খারাপ আচরণ করতে এবং বেহুদা, বেফাঁস ও অন্যের মনে কষ্ট দেয়ার মতো কথা বলতে পারেননা। সর্বোপরি নৈতিক স্খলনের সম্ভাবনা আছে এরকম সকল কাজ ও কথাবার্তা থেকে তিনি নিজেকে হেফাজত করে চলেন।

জামশেদ পাটোয়ারী
২৪ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার, ৭:১৯

শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার ছিল লোক দেখানো। আসল উদ্দেশ্য ভিসিকে খাবার পাঠানো।

অন্যান্য খবর