কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামের নুরুল ইসলাম চৌধুরীর পুত্র প্রবাসী আমিরুল ইসলাম চৌধুরী শিমু গত বছরের ৪ঠা এপ্রিল কাতারে আকস্মিক মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর প্রায় ১০ মাস পর তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য জোর দাবি তুলেছেন স্ত্রী রোজিনা আক্তার। স্ত্রীর অভিযোগ স্বামী শিমুকে তার মামাতো ভাইয়েরা একই ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের আব্বাছ আলীর ছেলে যথাক্রমে উজ্জল, খায়রুল, আজহারুল ইসলাম ও খছরু গং কাতারে নির্যাতন ও মারধর করলে তার মৃত্যু হয়।
স্ত্রী রোজিনা আক্তার জানান, তার স্বামী কাতারে মৃত্যুর ৯ দিন পর ফোনে বিষয়টি অবগত করেন শিমুর আরেক মামাতো ভাই প্রবাসী কামাল। এর পর লাশ দেশে নিয়ে আসা হলে সে সময় ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বামীর লাশ দাফন করতে দেবেন না বলে স্ত্রী রোজিনা অনড় থাকলে তখন গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতে শিমু চৌধুরীর মামাতো ভাই নাসির উদ্দিন বিচারের আশ্বাস দিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন।
পরবর্তীতে নিহত শিমু চৌধুরীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫ লাখ টাকা দেয়ার রায় ঘোষণা করা হয়। একপর্যায়ে দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরছ ও সংসার চালানো কঠিন হয়ে ওঠে রোজিনার। বর্তমানে মানবেতর জীবন পার করছেন তারা।
নিরুপায় হয়ে এতিম দুই সন্তানকে নিয়ে রোজিনা আক্তার সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করেন। কিন্তু এই সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে উল্টো প্রতিপক্ষরা তাকে এবং তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
রোজিনা আক্তার আরও জানান, তার স্বামীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তসহ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক, প্রশাসন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় বরাবর শিগগিরই একটি লিখিত আবেদনপত্র দিচ্ছেন তিনি।