লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে নিষেধাজ্ঞা না মেনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। নিষেধাজ্ঞার সময়ে জাটকা আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত করা সমপূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলেও উপজেলার মাছের প্রায় সব আড়ত এবং হাটবাজারে জাটকা বিক্রি হচ্ছে। মৎস্য বিভাগের নিয়মিত অভিযান না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে দাবি সচেতন মহলের। উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা ঠিকমতো তদারকি না করায় রামগতি উপজেলায় সয়লাব হয়ে গেছে জাটকা আহরণ ও বিক্রি। মৎস্য কর্মকর্তার উদাসীনতাকেই দায়ী করেন সচেতন মহল। এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিন হাটবাজারে অবাধে জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। ভোর না হতেই শুরু হয় বেচাকেনা। দূর-দূরান্ত থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও আড়তদারদের কাছ থেকে জাটকা ইলিশ কিনে স্থানীয় হাটবাজারে বিক্রি করছেন।
রামগতির মেঘনা নদী থেকে প্রতিনিয়ত জেলেরা জাটকা ধরে আড়তে ও হাটবাজারে বিক্রি করে। বিভিন্ন প্রকারের ইলিশ মাছের পাশাপাশি জাটকাগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ভোলা ও বরিশালের বাজারে প্রতিনিয়ত নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। উপজেলার রামগতি বাজার, আলেকজান্ডার, রামদয়াল, বিবিরহাট ও জমিদারহাট সহ ছোট-বড় সকল
হাটবাজারে এই জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। স্থানীয় ব্যবসায়ী খলিল মাঝি বলেন, রামগতির মেঘনা নদীতে জাটকা শিকার করে স্থানীয় আড়ত ও হাটবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিবছর প্রশাসন কিছু কিছু অভিযান চালালেও এ বছর তেমন অভিযান চোখে পড়েনি। দ্রুত জাটকা নিধন বন্ধের দাবি জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু চৌধুরী বলেন, জাটকা বিক্রির বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সর্বদা সজাগ রয়েছে। মৎস্য অফিসে জনবল সংকটের কারণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অভিযানের ব্যাপারে মৎস্য অফিসকে নির্দেশনা দেয়া আছে।