× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শার্শার কিশোর সাকিব হত্যা মামলা / এক আসামির আদালতে স্বীকারোক্তি আরেকজন তিনদিনের রিমান্ডে

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার

যশোরের শার্শার গোগা গ্রামের কারিকরপাড়ার ইজিবাইক চালক কিশোর সোলাইমান সাকিব হত্যা মামলায় আরও এক আসামিকে আটক করেছে পিবিআই। আটক বিপ্লব হোসেন চৌগাছা উপজেলার দক্ষিণ সাগর গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে। গত রোববার বিকালে যশোর শহরের পালবাড়ী মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর  সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হলে বিপ্লব হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে, একইদিন মামলার অপর আসামি ঝিরকগাছার চান্দেরপোল গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মোল্যার ছেলে আসামি মনিরুল ইসলামের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত আসামি মনিরুল ইসলাম ঝিরকগাছার চান্দেরপোল গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মোল্যার ছেলে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল আসামির রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নিহত সাকিবের নানা আকবার আলী ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তার মেয়ে মনোয়ারা খাতুনের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর তার ছেলে সাকিব নানা বাড়ি থেকে লেখাপড়া করতো। সাকিব মাঝেমধ্যে তার নানার ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ায় চালাত। গত ১৭ জানুয়ারি সাবিক নানার ইজিবাইকে যাত্রী নিয়ে বাগআঁচড়া যায়। সন্ধ্যায় সাকিবকে তার নানা ইজিবাইক নিয়ে দ্রুত বাড়ি চলে আসতে বলে। রাত বেশি হওয়ায় সাকিবের মোবাইলে কল দিলে বন্দ পাওয়া যায়। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে সাকিবকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় স্বজনেরা। পরদিন সকালে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে উলাশীর বড়বাড়িয়া মাঠের কুল বাগানের পাশ থেকে সাকিবের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাকিবকে হত্যা করে তার ইজিবাইকটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে নিহত সাকিবের নানা অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই রেজোয়ান হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক ও ইজিবাইক উদ্ধার করেন। ২০শে জানুয়ারি আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে দুইজন হত্যা ও চোরাই ইজিবাইক কেনার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। এদিন আটক মনিরুলের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আসামি মনিরুলের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক রোববার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই দিন আসামি বিপ্লবকে আটকের পর একই আদালতে সোপর্দ করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর