× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে ইইউর ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ২৫, ২০২২, মঙ্গলবার, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার, র‍্যাব এবং পুলিশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোরেলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত ২০শে জানুয়ারি স্লোভাকিয়ার এমপি স্টেফানেক ইভান এ চিঠি দিয়েছেন। আইনের শাসন না থাকা, বিচার বহির্ভূত হত্যা এবং দুর্নীতির মতো ইস্যুগুলোর উল্লেখ করে তিনি নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেছেন।
এ খবর দিয়েছে চ্যানেল ২৪।

স্টেফানেক ইভান একই সঙ্গে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক সাব কমিটির সদস্য। ওই চিঠিতে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার, কথা বলার স্বাধীনতা, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। চিঠিতে তিনি সম্প্রতি র‍্যাবের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কথা তুলে ধরেন। তিনি আরো লিখেছেন, উপরে উল্লিখিত বিষয়ে আমি আপনার কাছে অনুরোধ করবো, আপনার ক্ষমতা ব্যবহার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, সংক্ষেপে র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে সহায়ক হোন। আমি বাংলাদেশ পুলিশ ও সরকারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ায় সাহায্য চাইছি। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল মাঝে মাঝেই অমানবিক ‘প্র্যাকটিস’ ব্যবহার করে, যা এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রিপোর্ট করেছে।
এর মধ্যে আছে নির্বাচনের ফল জালিয়াতি করা অথবা রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমনপীড়ন করা।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে স্টেফানেক ইভান বলেন, বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলছে। বিশেষ করে এক্ষেত্রে ২০১৮ সালের মে মাসে টেকনাফে কাউন্সিলর আকরামুল হককে হত্যার প্রসঙ্গ রেফারেন্স হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এসব কারণে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই জোসেফ বোরেলকে চিঠিতে স্টেফানেক ইভান লিখেছেন, অনেক বছর ধরে র‍্যাবের বিরুদ্ধে বার বার নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি সিনেট পরিষদ। বাংলাদেশে ভয়াবহ দুর্নীতি রয়েছে। আর পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। দুর্ভাগ্যজনক হলো- আরেকটি উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান। তা হলো বাংলাদেশি বহু নাগরিক নিখোঁজের। এই সংখ্যা কয়েক শত, ৫ শতাধিক।

নাগরিকদের একটি গ্রুপ এই সংখ্যা প্রামাণ্য হিসেবে তুলে ধরেছে। আরো দুঃখজনক বিষয় হলো, অনেক নিখোঁজ ব্যক্তিকে পরে পাওয়া গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, তখন তাদের দেহে কোনো প্রাণের চিহ্ন নেই। এ বিষয়ে তদন্ত করছে জাতিসংঘ।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের এই সদস্য বলেছেন, এর আগে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ফলে মুক্তভাবে কথা বলার স্বাধীনতার কণ্ঠ রুদ্ধ করা হয়েছে। অনলাইনে ভিন্ন মতাবলম্বীদের অপরাধী বানানো হয়েছে এবং লঙ্ঘন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক আইন।

এক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটসের বিবৃতি উদ্ধৃত করেন স্টেফানেক ইভান। তা হলো- এসব নিয়ম লঙ্ঘনের মধ্যে আছে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে ১১৩৪ টি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি রাজনৈতিক বিরোধীপক্ষের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় নির্যাতনকে। স্টেফানেক ইভান বলেছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশের তকমা থেকে উন্নতি ঘটবে বাংলাদেশের। পার্শ্ববর্তী অনেক দেশকে পিছনে ফেলছে এ দেশটি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, দেশটির এই উন্নতির সঙ্গে চিহ্নিত হয়ে আছে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতি।

বেদনার সঙ্গে আমাকে বলতেই হচ্ছে, ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে দমন করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে, সংবাদ মাধ্যম আছে আতঙ্কে। রাজনৈতিক বিরোধীদের করা হয় অপমান। ফলে এই পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। আর এ জন্যই আমি আপনাকে অনুরোধ করছি, দেশটিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
তাপস
২৭ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১:২৮

জনাব mahmud, "স্লোভাকিয়া তো ১৯৭১ এ জামাত ইসলামের পক্ষে ছিল" - এই গাঁজাখুরি কোথায় পেলেন? ১৯৭১এ তো স্লোভাকিয়া নামের কোনো রাষ্ট্র ছিলই না। স্লোভাকিয়া তখন ছিল চেকোস্লোভাকিয়া রাষ্ট্রের অংশ। আর রাশিয়ান ব্লকের অংশ হিসেবে চেকোস্লোভাকিয়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেই ছিল। আজগুবি গুলপট্টি নাহয় ***আড্ডায় গিয়ে মারুন।

Al-Amin
২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ১০:৫৭

রিপোর্ট টি ১০০% সঠিক।

সিরাজুল ইসলাম
২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ১১:০১

রিপোর্ট এর সত্যতা আছে।।

Mustafa Kamal
২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ৮:০৭

আ"লীগ সরকার এতদিন যে সাপ নিয়ে খেলেছিল সেই সাপই তাদেরকে দংশন করবে।

mahmud
২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ৭:১৪

স্লোভাকিয়া তো ১৯৭১ এ জামাত ইসলামের পক্ষে ছিল।

মনোয়ার
২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ৪:৪৫

অনেক দেশের ইমিগ্রেশন কম্পিউটার ইতিমধ্যেই নিম্নোক্ত বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে বলে দেখায়। 1. মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক - (প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা) 2. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান - (ডির, এনটিসি) 3. লেফটেন্যান্ট জেনারেল আকবর হোসেন - (Comndt, NDC) 4. মেজর জেনারেল টি এম জুবায়ের - (ডিজি, এনএসআই) 5. মেজর জেনারেল মুজিবুর রহমান - (ডিজি, এসএসএফ) 6. মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ - (অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল) 7. মোঃ মনিরুল ইসলাম - (Adl IGP) 8. মোঃ হারুনুর রশীদ - ( অতিঃডিআইজি) 9. বিপ্লব কুমার সরকার (ডিসি, ডিএমপি, তেজগাঁও)

ফরিদ আহম্মেদ
২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ৪:৩০

আশা করি আমেরিকার মত ইইউ ও বাংলাদেশের জনগনের পক্ষে দারাবে।

আবুল কাসেম
২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ৩:২৭

কার যুক্তিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ও বিরোধী মতের মানুষদের দমনপীড়নের পথে চলছে আল্লাহই ভালো জানেন। তবে ইতিহাস বলে বামরা একদেশদর্শী, চরম মাত্রায় আগ্রাসী, অমানবিক ও অসহিষ্ণু। নিষ্ঠুর পথে নির্মুল করো, ফাঁসি চাই এসব তাদের শ্লোগান। সোভিয়েত ইউনিয়ন, গণচীন ও বিভিন্ন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ভিন্ন মতের মানুষদের নিষ্ঠুরভাবে দমনপীড়ন করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর আমাদের অগণতান্ত্রিক পথে চলতে তাঁরাই অগ্রসর হয়েছে, উৎসাহিত করেছে। এখনো তাঁদের প্রভাব অপ্রতিরোধ্য। সেজন্যই কি নির্বাচনে চলে অনাকাঙ্ক্ষিত মেকানিজম। গনতান্ত্রিক অধিকার ও মূল্যবোধ দলিত হয়। ভোটের অধিকার হারা হচ্ছে ভোটার। তবে মনে রাখতে হবে বর্তমান বিশ্ব আমাদের একটি গ্রামের মতো। নিমিষেই একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তথ্য আদান-প্রদান হয়। কেউ ঘরের ভেতর হাঁচি-কাশি দিলেও তা মুহূর্তের মধ্যে প্রকাশ হয়ে পড়ে। মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচনে ভোটাধিকার হরণ ও গনতন্ত্রের কবর রচনা কোনটাই কারো অজানা নয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শৃঙ্খল থেকে মুক্তির উপায় কি? নিখোঁজ হওয়া লোকদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব কার? মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা ও অঙ্গীকারের বিপরীতে কেনো কার পরামর্শে চলছে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদান কারীরা।

TAWHID MOLLAH
২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ১:৩৮

এ থেকে উত্তরনের কোন রাস্তা দেখছি না। বাংলাদেশ দিন দিন ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কোন লাইন দেখছি না রক্ষা পাওয়ার।

শহীদ
২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ১২:০৯

আশা করছি এবার স্লোভাকিয়ার ইতিহাস উদ্ধার করবে।

অন্যান্য খবর