৯ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দুর্নীতির সূচকে সবচেয়ে কম নম্বর পেয়েছে মালয়েশিয়া। এ সময়ে প্রথমবার ৫০-এর নিচে স্কোর করেছে দেশটি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) মতে, মালয়েশিয়াতে দুর্নীতির চিত্র আরো খারাপ হয়েছে। ২০২১ সালে এ দেশটি সূচকে স্থান পেয়েছে ৬২তে। আগের বছরের চেয়ে ৫ ধাপ পিছিয়েছে তারা। মঙ্গলবার অনলাইন ব্রিফিংকালে টিআই বলেছে, বার্ষিক গ্লোবাল করাপশন ইনডেক্সে (সিপিআই) মালয়েশিয়া অর্জন করেছে ৪৮ পয়েন্ট।
২০১২ সালের পর এবারই প্রথম তারা ৫০ এর নিচে স্কোর করেছে। এই সূচকে সিপিআই বিভিন্ন দেশকে শূন্য থেকে শুরু করে ১০০ পর্যন্ত স্কোর বা নম্বর দিয়েছে। এর মধ্যে শূন্য দেয়া হয়েছে ভয়াবহ দুর্নীতি হয় এমন দেশকে।
পক্ষান্তরে যেসব দেশকে বেশি দুর্নীতিমুক্ত বা স্বচ্ছ মনে করা হয়েছে তাদেরকে দেয়া হয় ১০০ নম্বর। এ খবর দিয়েছে অনলাইন মালয় মেইল।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বর্তমান গবেষণা পদ্ধতি চালু করে ২০১২ সালে। এতে আগের বছরগুলোর ফলাফলের সঙ্গে তুলনা বাদ দেয়া হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-মালয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মোহন বলেছেন, আমরা যে স্কোর দিয়েছি, তা সরকারগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি সেটা না করা হয়, তাহলে তাহলে এ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ হবে কঠিন।
এর আগে ২০২০ সালে মালয়েশিয়ার স্কোর ছিল ৫১ পয়েন্ট। তখন তাদের অবস্থান ছিল ৬২তম। ২০১৯ সালে স্কোর ছিল ৫৩ পয়েন্ট এবং অবস্থান ছিল ১৮০টি দেশের মধ্যে ৫১তম। এ বছর এ সূচকের শীর্ষে আছে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড। তাদের সবার স্কোর ৮৮। এর ফলে এসব দেশের সঙ্গে ‘ক্লিন’ ইমেজ যুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে ভেনিজুয়েলা, সিরিয়া, সোমালিয়া ও দক্ষিণ সুদান আছে সূচকের তলানিতে যথাক্রমে ১৪, ১৩, ১৩ ও ১১ পয়েন্ট পেয়ে। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভাল করেছে সিঙ্গাপুর। তারা ৮৫ স্কোর করে আছে ৪র্থ অবস্থানে। আর মালয়েশিয়ার পরে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে ৯৬তম অবস্থানে আছে ইন্দোনেশিয়া। ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে ১১০তম অবস্থানে আছে থাইল্যান্ড।
বর্তমান ও পূর্ববর্তী সরকারের রাজনৈতিক দুর্নীতি এবং মানবাধিকার শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গাফিলতির কারণে মালয়েশিয়া পিছিয়ে পড়েছে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়া। এতে রাজনৈতিক অর্থায়ন বিষয়ক আইনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত দুটি সরকারের এই আইনটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করার কথা ছিল। কিন্তু এখনও এ বাস্তবতা তারা অনুধাবন করতে সক্ষম হননি।