বরগুনার আমতলী উপজেলার ৪ নং হলদিয়া ইউনিয়নের কুলাইর চর গ্রামের দুষমী সাবানিয়া খাল লিজ দেয়ায় কৃষকদের ভোগান্তির কোনো শেষ নাই। কৃষকরা জানান, দুষমী সাবানিয়া খালের দুইপাড়ের কয়েক শত একর তিন ফসলি কৃষি জমি রয়েছে। দুষমী সাবানিয়া খালের পানি দ্বারা কৃষকরা শুকনো মৌসুমের রবিশস্য, মৌসুমি ফসল তরমুজ, মুগডাল, চিনা বাদাম, মিষ্টি আলুসহ বোরো-ইরি ধানের চাষাবাদ করেন। গত দুই বছর ধরে উক্ত এলাকার রাশেদুল ইসলাম (রেজাউল) উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় থেকে বাংলা ১৪২৮ সাল থেকে ১৪৩০ সাল পর্যন্ত দুষমী সাবানিয়া খালের লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন এবং কৃষকদের ঐ খালের পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না। কৃষকরা তরমুজ ও ইরি মৌসুমে খালের পানি ব্যবহার করতে গেলে কৃষকদেরকে মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন রাশেদুল ইসলাম রেজাউল। এমনকি এলাকার কৃষকদের গরু-ছাগলকে পানি পান করাতে দিচ্ছেন না। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষকদের বিরুদ্ধে পরপর ৪টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে রেজাউলের বিরুদ্ধে। রাশেদুল মিথ্যা মামলায় কয়েকজন কৃষককে হাজতবাসও করিয়েছেন।
এ ঘটনায় কৃষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা অবিলম্বে খালের লিজ বাতিল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও লিজ গ্রহীতা রাশেদুলের বিচার দাবি করছেন। মানববন্ধনে ও বিক্ষোভ মিছিলে এলাকার ইউপি সদস্য জিয়াউল ইসলাম জোসেফ তালুকদারসহ শত শত কৃষক উপস্থিত ছিলেন। হলদিয়া ইউপির কুলাইর চর এলাকার ইউপি সদস্য মো. জিয়াউল ইসলাম জোসেফ তালুকদার বলেন এই খালটি লিজ দেয়ায় কৃষকরা জমি চাষাবাদ করতে পারছেন না। কৃষক জামাল খান, মান্নান খান, বাবুল মোল্লা বলেন, খালের লিজ বাতিল না করলে কৃষকরা মাঠে মারা যাবে। হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক মুঠোফোনে জানান, লিজ নিয়ে রাশেদুল ইসলাম রেজাউল কৃষকদের খালের পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। কৃষকরা খালের পানি ব্যবহার করতে গেলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. নাজমুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন- কৃষকদের অভিযোগ পেয়েছি। সরজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।