গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা দামের সরকারি পুরাতন বই গোপনে সাড়ে ২৭ হাজার টাকায় বিক্রি দেখিয়েছে শিক্ষা কর্মকর্তা এইচএম মাহবুবুল ইসলাম। এ খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। একই সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
গতকাল সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে শোকজের বিষয়টি জানানো হয়। সোমবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এইচএম মাহবুবুল ইসলামকে শোকজ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রোকসানা বেগম বলেন, বইগুলো বিক্রির ঘটনায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা দামের অব্যহৃত মজুত বই গোপনে সাড়ে ২৭ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠে। গত রোববার দুপুরে সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভবনের স্টোর রুম থেকে ও অন্যান্য গুদাম থেকে পুরাতন বইগুলো একাধিক ট্রাকে ভর্তি করার সময় ঘটনাটি জানা জানি হয়।
এসময় বেশকিছু শ্রমিক গুদাম থেকে পুরাতন বইগুলো ট্রাকে ভর্তি করছিল। জানতে চাইলে বই নিতে আসা দুই ব্যববসায়ী জানান, ২০১৬ থেকে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের পুরাতন বই ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় নিলামে কিনেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, গত ১৬ জানুয়ারি নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দিশা ট্রেডার্সের কাছে ৩-৪টি গুদামের সংরক্ষিত বইগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। অথচ এসব বইয়ের বাজার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার বেশি হবে বলছেন সচেতন মহল। ফলে গোপন চুক্তিতে বই বিক্রি করায় সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হলেও পকেট ভারী হয়েছে শিক্ষা কর্মকর্তা এইচএম মাহাবুবুল ইসলামের। এই কর্মকর্তার এমন ভেল্কিবাজীতে স্থানীয়দের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়াসহ মিশ্র প্রতিক্রিয়ার শুরু হয়েছে।