সুপ্রতিষ্ঠিত যেকোনো অডিট ফার্ম দিয়ে ইভ্যালির সম্পত্তি নিরীক্ষা করাতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বোর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন। পরে মাহসিব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আদালত আগের আদেশে অডিট ফার্ম কেপিএমজিকে দিয়ে ইভ্যালির সম্পত্তি নিরীক্ষা করতে বলেছিলেন। বোর্ড আদালতকে জানায়, এ প্রতিষ্ঠান নিরীক্ষা করতে খরচ ধরেছে ৮৬ লাখ টাকা। এর থেকে কমে তারা নিরীক্ষা করতে পারবে না। শুনানি শেষে আদালত বলেন, বোর্ড চাইলে যেকোনো সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান (ফার্ম) দিয়ে নিরীক্ষা করাতে পারবে।
গত বছর ২২শে সেপ্টেম্বর এক গ্রাহকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে গত বছরের ১৮ই অক্টোবর রেজিস্ট্রার ফর জয়েন্ট স্টক কম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস নথি দাখিল করলে হাইকোর্ট ইভ্যালির ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে নিতে পাঁচ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেন। এ পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয় আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে। পর্ষদে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজকে। এ পর্ষদে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন আছেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে। এ পর্ষদের আবেদনেই অডিট ফার্ম পরিবর্তনের আদেশ দিলেন উচ্চ আদালত। এদিকে, গত ১৬ই জানুয়ারি ইভ্যালি অবসায়নে গঠিত বোর্ড তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশের দু’টি ব্যাংক থেকে দুই কোটি ৩৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা উত্তোলনের অনুমতি দেন আদালত। একইসঙ্গে ইভ্যালির ২২টি গাড়ি ভাড়া দিয়ে বা বিক্রি করে অর্থ আদায় করার সুযোগ দেয়া হয় বোর্ডকে। এ ছাড়া ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডি কোথায়, কীভাবে কত টাকা ব্যয় করেছেন তারও একটি তালিকা প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।