ইন্দোনেশিয়ার এক নৈশক্লাবে সংঘর্ষ ও অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পশ্চিম পাপুয়া প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে। এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। অন্য ভিকটিমরা মারা গেছেন আগুনে আটকা পড়ে। সোরোং শহরে ডাবল ও ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
কিভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এটা জানা গেছে, বিরোধপূর্ণ দুটি গ্রুপ চাপাতি ও তীর নিয়ে একে অন্যের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এরপরই ওই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।
বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় মেট্রো টিভি’তে পুলিশের মুখপাত্র বলেছেন, ওই শহরে যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষ একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে প্রথমবারের মতো সেই সংঘর্ষে এতগুলো প্রাণহানি হলো। সোমবার দিবাগত রাত ১১টায় ওই নৈশক্লাবে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হলে সেখান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এরপর বিশাল ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ড হয়। এতে ভবনটির প্রথম তলা পুড়ে গেছে।
আগুন নিভানোর পর মঙ্গলবার সকালে ওই ভবনের ভিতরে বিভিন্ন কক্ষ থেকে কমপক্ষে ১৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাতেই সেখানে বিরোধপূর্ণ দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তারপর থেকে সমস্যা সমাধানের জন্য পুলিশ মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে। আর যাতে কোনো সংঘর্ষ না হয়, এ জন্য শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।