× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা / ৭১ শতাংশ মানুষ সিগারেটের দাম উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়লে খাদ্য ব্যয় কমাবেন না

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ২৬, ২০২২, বুধবার, ৪:২৪ অপরাহ্ন

তামাকের ব্যবহার কমাতে সকল তামাক পণ্যের ওপর যথাযথ করারোপই সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তবুও তামাক পণ্যের দাম বেশি বৃদ্ধি করলে ব্যবহারকারীরা আগের মাত্রায় তামাক ব্যবহার বজায় রাখতে খাদ্য বা অন্য পণ্য বাবদ ব্যয় কমিয়ে দিতে পারেন বলে অনেকে আশঙ্কা করে থাকেন। সম্প্রতি উন্নয়ন সমন্বয়-এর উদ্যোগে পরিচালিত দেশব্যাপী জরিপভিত্তিক গবেষণায় দেখা গেছে, সিগারেটের দাম বাড়ানো হলে ৭১ শতাংশ মানুষ আগের মতো সিগারেট ব্যবহার অব্যাহত রাখতে খাদ্য বাবদ ব্যয় কমাবেন না। সিগারেটের দাম উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানো গেলে ৩০ শতাংশ সিগারেট ব্যবহারকারীই সিগারেট ব্যবহার ছেড়ে দিতে চেষ্টা করবেন। আরও ৩০ শতাংশ সিগারেট ব্যবহার কমিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

আজ বুধবার ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় পরিচালিত ‘তামাক পণ্যে কর বৃদ্ধির সম্ভাব্য প্রভাব’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ পরিসংখ্যানগুলো তুলে ধরা হয়।
গবেষকরা জানান, গত নভেম্বর ২০২১-এ দেশের পাঁচটি জেলার ৬৫০টি তামাক ব্যবহারকারী নিম্ন-আয়ের পরিবারের ওপর এই জরিপ পরিচালিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে এই আলোচনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, এমপি; ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এমপি । প্যানেল আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (সমন্বয়কারী, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল) হোসেন আলী খোন্দকার, মো. মোস্তাফিজুর রহমান (লিড পলিসি অ্যাডভাইজার, সিটিএফকে, বাংলাদেশ)।
এছাড়াও বিভিন্ন তামাক-বিরোধী সংস্থার প্রতিনিধি ও গবেষকবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।

তামাক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে খাদ্য বা অন্য পণ্য বাবদ ব্যয় কমিয়ে দেবার সম্ভাবনা নিতান্ত কম বলে আলোচকরা অভিমত ব্যক্ত করেন। কাজেই সংসদ সদস্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, তামাক-বিরোধী সামাজিক সংস্থাসহ সকল অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া উচিৎ বলে তারা মনে করেন।

ড. আতিউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার যে লক্ষ্য ঘোষণা করেছিলেন সেখানেও তামাক পণ্যের ‘বর্তমান শুল্ক কাঠামো সহজ’ করার মাধ্যমে তামাক ব্যবহার কমিয়ে আনার পাশাপাশি এগুলো বিক্রয় থেকে পাওয়া রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধির নির্দেশনা ছিলো। সে আলোকেই আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটসহ সকল তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপের প্রস্তাব করছেন তামাক-বিরোধী সংগঠন ও গবেষকবৃন্দ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর