খুলনা মহানগর বিএনপি নেতা ফখরুল আলমের চোখের আলো আস্তে আস্তে নিভে যাচ্ছে। খুলনার চক্ষু বিশেষজ্ঞরা অপরাগতা জানিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছেন। ডাক্তাররা বলছেন, প্রচণ্ড আঘাতের কারণে কর্ণিয়া ডিসপ্লেস হয়েছে। যে কারণে যন্ত্রণা হচ্ছে, দেখতে সমস্যা হচ্ছে। ব্যয়বহুল একটি সার্জারির মাধ্যমে তারা চেষ্টা চালাবেন সারিয়ে তোলার। কিন্ত সফলতা সম্পর্কে কোনো নিশ্চয়তাই দিতে পারছেন না।
১৯৭৯ সালে এসএসসি পাসের পর ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন ফখরুল আলম। মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ভূমিকা পালন করেন। খুলনা মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সর্বশেষ খুলনা মহানগর বিএনপির বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
গত ৫ই জানুয়ারি দেশব্যাপী গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করে বিএনপি। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালনে ওইদিন সকাল ১১টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হন খুলনা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পুলিশ কর্মসূচি পালনে বাধা দিলে উপস্থিত কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করা হলে আকস্মিকভাবে পুলিশ এসে সমাবেশে লাঠিচার্জ করে। বেপরোয়া লাঠিচার্জ বিভিন্ন পর্যায়ের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে ওইদিন আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। হঠাৎ খুলনা থানার ওসি মামুনের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ এসে কোনো কারণ ছাড়াই লাঠিচার্জ শুরু করে। ওসি নিজেই বিএনপি নেতা ফখরুল আলমের মাথা লক্ষ্য করে নির্মমভাবে লাঠির আঘাত করে। তিনি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। কপাল ও বাম চোখ ফেটে রক্তপাত হতে থাকে। খুলনার শীর্ষস্থানীয় সব চোখের ডাক্তার দেখানো হয়েছে। তিনি এখন চোখে দেখতে পারছেন না এবং প্রতিনিয়ত যন্ত্রণা বাড়ছে। এ জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে। এর আগে গত বছর মার্চে একই কায়দায় একইস্থানে বিএনপির কর্মসূচিতে দলীয় নেতা বাবুল মুন্সীকে লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত করে পুলিশ। আহত হওয়ার ১০ দিন পর তিনি মারা যান। খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা জানান, ফখরুলকে ঢাকায় ধানমণ্ডি আই হসপিটালে দেখানো হয়েছে। অন্যান্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সার্জারির প্রয়োজন হবে যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
taposh
২৭ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৯:৩১ফকরুল আলমের ঘটনা খুবই মর্মান্তিক । দোয়া করি আল্লাহ উনাকে সুস্থ করে দিক । কিন্তু যখন মনে পরে ২১শে অগাস্ট আইভি রহমানের মত জনপ্রিয় মানুষকে গ্রেনেড মেরে হত্যা করা হয় ...... সেই হত্যার বিচার বিএনপি করেছিল কি ?