প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিনে নির্বাচন স্থগিত হওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল। শেষ পর্যন্ত এ রকম কোনো নির্দেশনা জারি করেনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। যার ফলে নির্বাচন হচ্ছে। তাই দুই পক্ষই হিসাবনিকাশ করে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছে। জেলা-বিভাগীয় সংগঠক পরিষদ তাদের প্যানেল থেকে বরগুনার আলমগীর ও নেত্রকোনার কামরুন্নেছা দিনার সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। দুইজনই এই প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন। ফলে ফোরাম সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ফেনী জেলা ক্রীড়া সংস্থার আমির হোসেন বাহার। ফোরামের প্যানেলে সদস্য হিসেবে ছিলেন আনসারের রায়হানউদ্দিন ফকির।
সার্ভিসেস সংস্থার এই কর্মকর্তা নিজ থেকে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদুর রহমান রানা। এই পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন এডহক কমিটির বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার।
তবে কবির শিকদারের প্রার্থিতা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের দুই প্রার্থী কারণ মনোনয়ন সংগ্রহের আগে তিনি নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। যা জমা পড়েছে গতকাল। এছাড়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর ফেডারেশনের প্যাড এবং পদ ব্যবহার করে নির্বাচন স্থগিতের জন্য ক্রীড়া পরিষদের আবেদনও করেছেন শিকদার। এদিকে ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সহ-সভাপতি প্রার্থী দিনা বলেন, ‘ব্যাডমিন্টনের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। তাই মিলেমিশে কাজ করার স্বার্থে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারীদের ক্ষমতায়নে নির্দেশনার দিকটি বিবেচনা করে এবং ব্যাডমিন্টন খেলার উন্নয়নে আমি কাজ করে যেতে চাই।’ এই প্যানেলের সদস্য পদ থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আনসারের রায়হানউদ্দিন ফকির। বাহার বলেন, ‘আমার সময়ে বিশ্ব জুনিয়র র্যাঙ্কিংয়ে সিবগাতুল্লাহ ১১তম, মেয়েদের দ্বৈতে ১১তম, এককে ২০তম এবং নারীদের দলগতে ৩৪ নম্বর অর্জন করেছে বাংলাদেশ।’ তাছাড়া আমি ফেডারেশনকে শাটলারদের অভয়ারণ্য বানাতে চাই।’ অন্যদিকে জোবায়েদুর রহমান রানার প্যানেল থেকে চারটি মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে। রানার সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই পদে মনোনয়ন জমা ছিল। সেখান থেকে তিনি সহ-সভাপতি উত্তোলন করেছেন। ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এই সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। রানা বলেন ‘ফেডারেশনের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। শাটলারদের মানোন্নয়ন ঘটাতে চাই।’ ফলে দৃশ্যত: সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থী। চার সহ-সভাপতি পদের বিপরীতে প্রার্থী সাতজন, দুই যুগ্ম সম্পাদকের বিপরীতে তিনজন, এক কোষাধ্যক্ষ পদের বিপরীতে দুইজন ও ১৬ সদস্যের বিপরীতে ২৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ৩১শে জানুয়ারি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ১০২ কাউন্সিলরের ভোটে ২৪ পদের নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হবে।