× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিপিএল ২০২২ / উইকেটের রহস্যময় আচরণ নাকি ব্যর্থ ব্যাটাররা!

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৭ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে রান হয় না এই অভিযোগ পুরোনো। দেশিদের সঙ্গে খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটাররাও এটি জানেন বেশ ভালো করেই। বিপিএল ৮ম আসরে ঢাকায় প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। মিরপুরে দিনে দু’টি করে সবমিলিয়ে ৮টি ম্যাচ মাঠে গড়ায়। কিন্তু এবারো পরিস্থির কোনো পরিবর্তন হয়নি।  শেরেবাংলার উইকেট করেছে ভুতুড়ে আচরণ। দিনের ম্যাচগুলোতে ব্যাটারদের রান তোলা যেন ভীষণ কঠিন। আর রাতের ম্যাচে একই উইকেট ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য। রাতের ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ১৯০/৭।
সেখানে দিনের ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ১২৯/৬। বেশিরভাগ দলই উইকেটের চেয়ে ব্যাটারদের ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখছেন। এর কারণও স্পষ্ট। এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে হতাশ করেছেন দেশি ব্যাটসম্যানরা। তবে উইকেটের রহস্যময় আচরণকেও দায় দিচ্ছেন অনেকে। ব্যাট হাতে বিদেশিরা যে খুব ভালো করেছেন এমন নয়। কিন্তু দেশিদের বাজে ব্যাটিং চোখে পড়ার মত। বিশেষ করে তরুণ ক্রিকেটাররা নিজেদের যেন মেলেই ধরতে পারছেন না।
ঢাকা পর্বের মাত্র ৩ জন ব্যাটসম্যান একশ’র বেশি রান করেছেন। এর মধ্যে ৪ ইনিংসে সর্বাধিক ১২৪ রান করেছেন মিনিস্টার ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার পরেই আছেন চট্টগ্রামের বিদেশি ক্রিকেটার বেনি হাওয়েল। তার ব্যাট থেকে এসেছ ১১২ রান। তৃতীয় স্থানে আছেন ১০৫ রান করা ঢাকার তারকা তামিম ইকবাল। ব্যাটিং এখন পর্যন্ত সেরা পাঁচে দুই বিদেশি ও তিন দেশি ক্রিকেটার। অন্যদিকে বোলিংয়ে দারুণ উজ্জ্বল দেশি বোলাররা। সেরা পাঁচের চারজনই দেশি। শুক্রবার বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব শুরু হচ্ছে। সেখানে হবে মোট ৮ ম্যাচ। ৬টি দলই পৌঁছেছে বন্দর নগরীতে।
২১শে জানুয়ারি আসরের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১২৫ রান। জবাবে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় পেতে ১৮.৪ ওভার পর্যন্ত।  সেদিনই সন্ধ্যার ম্যাচে একই উইকেটে বদলে যায় চিত্র। মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা ৬ উইকেটে ১৮৩ রান করেও জিততে পারেনি। পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা টাইগার্স। প্রথম দিন উইকেটের এমন আচরণকে স্বাভাবিকই ধরা হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল দিনের ম্যাচে ব্যাটাররাই ব্যর্থ। কিন্ত দিন গড়াতেই সামনে আসে উইকেটের রহস্যময় আচরণ। পরের দিন আসরের তৃতীয় ম্যাচ শুরু হয় বেলা সাড়ে ১২টায়। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেট সানরাইজার্স মাত্র ৯৬ রানে সবক’টি উইকেট হারায়। এটি আসরে এখন পর্যন্ত দলীয় সর্বনিম্ন। জবাব দিতে নেমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স জিততে হারায় ৮টি উইকেট। খেলতে হয় ১৮.৬ ওভার।
পরের ম্যাচ শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায়। এবারও বদলে যায় উইকেটর চরিত্র। চট্টগ্রাম একই পিচে ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৬১ রান। জবাব দিতে নেমে ৩০ রানের বড় ব্যবধানে হারে ঢাকা। পরের দিন দিনের প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশাল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তোলে ১২৯/৮। জবাবে ঢাকা ৬ উইকেট হারিয়ে জয় পায়। সন্ধ্যায় একই পিচে আসরের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ১৯০/৭ চট্টগ্রামের। জবাবে খুলনা ৯ উইকেট হারিয়ে করে ১৬৫ রান। মিরপুরে প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচেও চিত্র বদলায়নি। দিনের ম্যাচে ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার ১০০ রানে অলআউট হয়। আর রাতের ম্যাচে সেই পিচেই প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে  ১৫৭ রান করে কুমিল্লা। তাই উইকেটের এই রহস্যময় আচরণ ঢাকার বাকি দুই পর্বে দলগুলোর ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারে। তবে উইকেটের এমন আচরণ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় বিসিবি’র দায়িত্বশীলরা!
ঢাকার প্রথম পর্বে উইকেটের সাহায্য পেয়ে দারুণ উজ্জ্বল বোলাররা। বিশেষ করে স্পিনাররা। সর্বাধিক ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন স্পিনার নাজমুল অপু। তারপরেই আছেন অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তার শিকার ৬টি। মিরাজের সমান উইকেট তুলে নিয়েছেন তরুণ পেসার শরীফুল ইসলাম। অফস্পিনার নাহিদুল নিয়েছেন ৫ উইকেট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর