খেলা

‘স্মার্ট’ নাহিদুলে মুগ্ধ রোডস

স্পোর্টস ডেস্ক

২০২২-০১-২৭

ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ নাহিদুল ইসলাম। ডান হাতের স্পিন জাদুতে খ্যাতি কুড়াচ্ছেন বেশ। চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগেও (বিপিএল) দুর্দান্ত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই বোলার। প্রথম ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ২০ রানে নেন দুই উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে একাই গুঁড়িয়ে দেন নাহিদ। ৩ উইকেট নিয়ে স্পর্শ করেন শহীদ আফ্রিদির রেকর্ড। এমন বোলিংয়ের পর কোচ স্টিভ রোডসের বাহ্‌বা কুড়ান নাহিদুল।
মঙ্গলবার বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৪ ওভারে ৫ রান দিয়ে নাহিদ ফেরান সৈকত আলী, সাকিব আল হাসান ও ক্রিস গেইলকে। ওভারপ্রতি দেন গড়ে ১.২৫ রান। ২৪ বলের মধ্যে ডটের সংখ্যা ছিল ১৯। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিকে ছুঁয়েছেন নাহিদ। এর আগে ২০১৫ সালের বিপিএলে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫ রান দিয়েছিলেন সিলেট সুপার স্টারসের আফ্রিদি। তবে উইকেট সংখ্যায় এগিয়ে নাহিদ, আফ্রিদি উইকেট নিয়েছিলেন ২টি।
মঙ্গলবার নাহিদুলকে দিয়ে ইনিংস শুরু করান কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। নাহিদের প্রথম ওভারেই ফেরেন সৈকত আলী। স্লগ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে নাহিদ ফেরান বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব, টাইমিং করতে পারেননি ঠিকঠাক। মিড-অন থেকে পেছনে ছুটে ভালো ক্যাচ নেন ইমরুল।
অষ্টম ওভারে ফিরতি স্পেলে ফেরেন নাহিদুল, এবার দেন ১ রান। নবম ওভারে নিজের চতুর্থ ওভার করতে এসে নাহিদুল পেয়ে যান ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইলের উইকেট। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসা ক্যারিবিয়ান সুপারস্টার নাগাল পাননি বলের, হন স্টাম্পিং।
২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক নাহিদুল ইসলামের। শুরুর দিকে ব্যাটার হিসেবে পরিচয় থাকলেও নিজের কার্যকরী অফস্পিন দিয়ে তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার। ৫৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে করেছেন বল করেছেন ৪৫ ইনিংসে। ২০.১৬ গড় এবং ৫.৮১ ইকোনমি রেটে শিকার করেছেন ৩৬ উইকেট।
অন্যদিকে মঙ্গলবারের ম্যাচে কুমিল্লার হয়ে ২ উইকেট নেন তানভীর ইসলাম। ফেরান নুরুল হাসান সোহান (১৪ বলে ১৭) এবং জ্যাক লিনটটকে (৫ বলে ৮)।
নাহিদ এবং তানভীরের বোলিংয়ের প্রশংসা করেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পরামর্শক স্টিভ রোডস। তিনি বলেন, ‘নাহিদুল ও তানভীর এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেনি। কিন্তু দু’জনই স্মার্ট। তারা তাদের বোলিং সম্পর্কে জানে, জানে তারা কী করতে পারে। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করে। অনুশীলনে তাদের দেখে আমি মুগ্ধ। তারা বুদ্ধিমান ক্রিকেটার।’
এছাড়া ২ উইকেট নেন শহীদুল ইসলাম, শূন্য রানে ফেরান উইন্ডিজ তারকা ডোয়াইন ব্রাভো এবং জিয়াউর রহমানকে। করিম জানাতও নেন দুই উইকেট। আফগান পেসারের বলে ক্রিজ ছাড়েন তৌহিদ হৃদয় (১৪ বলে ১৯) এবং নাঈম হাসান (ডাক)। মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ওপেনারের ব্যাট থেকেই আসে বরিশালের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান। আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেয়া ১৫৯ রানের টার্গেটে ৯৫ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় বরিশাল। আর ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা পায় ৬৩ রানের বড় জয়।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান জড়ো করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট ১৯ রান, করিম জানাত ২৯ রান করেন। দলীয় সর্বোচ্চ ৪৮ রান আসে মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাট থেকে।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status