চট্টগ্রামের পটিয়ায় জাল দলিল তৈরি করে এক ব্যক্তির ফসল নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের মোহাম্মদ আশেকের ফসলি জমি একটি প্রভাবশালী মহল জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। এ ঘটনায় তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ২টি মামলা করেছেন। মামলা চলমান অবস্থায় একই এলাকার প্রতিবেশী সাইফুল করিম চৌধুরীর পুত্র রেজাউল করিম চৌধুরী প্রকাশ বাবুল ভুয়া খতিয়ান তৈরি করে ১৪ শতক জায়গার কচুক্ষেত ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছেন। এতে কৃষকের প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বুধবার দুপুরে পটিয়ায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কৃষকের পরিবার এ অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, কৃষক পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি উপজেলার রশিদাবাদ গ্রামের বাবুল নামের একব্যক্তি ভুয়া খতিয়ান সৃজন করে। বিএস নামজারি খতিয়ান নং ১১৮৯।
১৯৮৮ সালের ২৪শে জানুয়ারি জাল দলিল (নং-৯১৮৮) সৃজন করে। ওই দলিলে গ্রহীতা দেখানো হয়েছে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিণখাইন গ্রামের আবু তালেকসহ দুইজন। এর মধ্যে হাছি মিয়া নামক ব্যক্তির জায়গা ক্রয় করে ১৮৮ নং দলিল সম্পাদন করা হয়। জাল দলিল সৃজনের বিষয়ে কৃষক পরিবারের পক্ষ থেকে পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে একটি আপত্তি জানানো হয়। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। কৃষক মোহাম্মদ আশেক জানিয়েছেন, তার দাদা মাওলানা খলিলুর রহমান ১৯৭৫ সালে ১০৫ বছর বয়সে মারা যান। অথচ জাল দলিল সৃজন করা হয়েছে ১৯৮৮ সনে। এরপর তাদের দখলীয় জায়গা জোরপূর্বক দখল করতে একটি প্রভাবশালী মহল তৎপরতা চালায়। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সংসদ শামসুল হক চৌধুরীকে জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে রেজাউল করিম চৌধুরী প্রকাশ বাবুল জানিয়েছেন, একটি দলিলে নুরুল করিম ও সাইফুল করিম নামের দুইজনের নামে খতিয়ান সৃজন হয়েছে। তবে কীভাবে নুরুল করিমের নাম খতিয়ানে এসেছে তা আমি জানি না। তবে আমাদের কাগজপত্র ঠিক রয়েছে।