পিরোজপুরের কাউখালীতে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘর নির্মাণে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা নেয়া ও আরও টাকা দাবির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক অসহায় নারী। গতকাল সকালে তিনি স্থানীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন। ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম সাহিদা বেগম। তিনি উপজেলার চিরাপাড়া গ্রামের শামসুল হকের স্ত্রী।
জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ওই নারী পিরোজপুর জেলা পরিষদ থেকে একটি পাকা ঘর বরাদ্দ পান। ওই ঘরের নির্মাণ কাজের দায়িত্বে রয়েছেন কাউখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দুস্থ হিসেবে মুজিববর্ষ উপলক্ষে তার নামে সম্প্রতি পিরোজপুর জেলা পরিষদ থেকে একটি পাকা ঘর বরাদ্দ হয়। ওই ঘর নির্মাণের জন্য কাউখালীর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন তার (নারী) বাড়ির কাছে নির্মাণসামগ্রী রাখেন। ওই ইট তার (নারী) বাড়িতে নেয়ার জন্য তার কাছে ৭ হাজার টাকা দাবি করেন।
ওই টাকা না দিলে কাজ করবেন না বলে হুমকি দেন। পরে তিনি তাকে (ভাইস চেয়ারম্যান) ৭ হাজার টাকা দেন। এর কয়েকদিন পর ইট কেনার কথা বলে আরও ৬ হাজার টাকা দাবি করেন ওই ভাইস চেয়ারম্যান। ওই নারী টাকা দিলে কাজ বন্ধ রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান। পরে নিরুপায় হয়ে তিনি ৬ হাজার টাকা দেন। এর ২-৩ দিন কাজ করে কাজ বন্ধ করে দেন। কাজ করতে বললে আবারও ৩০ হাজার টাকা লাগবে বলে ভাইস চেয়ারম্যান তাকে জানান। এরপরও ফোন দিলে ভাইস চেয়ারম্যান ওই নারীকে বার বার ফোন না দিতে বলেন এবং টাকা না দিলে কাজ কোনো দিনও হবে না বলে ওই নারীকে জানান। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানান।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমনের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়। কাজের মেয়াদের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে। টাকা নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, সাইডে রাজমিস্ত্রি মজনুকে কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সে যদি কোনো টাকা পয়সা নিয়ে থাকে আমি ব্যবস্থা নিবো। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অসুস্থতার কারণে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি সূত্র জানান, অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়েছেন।
চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লায়েকুজ্জামান তালুকদার মিন্টু জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগটি তদন্তের জন্য আমার কাছে পাঠিয়েছেন। যথাসময়ে তদন্ত করে