ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৬ষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে পাল্টে যাচ্ছে ১৪টি ইউনিয়নের নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে নবাবগঞ্জ উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘বিদ্রোহীদের ভারে নৌকা ডোবার আশঙ্কা’ শীর্ষ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে টনক নড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের। সভা ডেকে বিদ্রোহীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার করেননি তাদেরকে বিভিন্ন প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। শুধু তাই নয়। যারা এখনো নির্বাচনের মাঠে বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি করে নৌকা ডোবার জন্য বিদ্রোহী হিসেবে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণসহ বয়কট করা হয়েছে। তাদেরকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কিসমত, যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান আওলাদ হোসেন, ডক্টর শাফিল উদ্দিন মিয়া এবং ইঞ্জিনিয়ার আরিফুর রহমান শিকদারসহ জেলা ও উপজেলা শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এ হুঁশিয়ারির পর অনেকে প্রত্যাহার না করলেও নৌকার পক্ষে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। উপজেলার আগলা ইউনিয়নের একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান বিএনপি সভাপতি আবেদ হোসেন, বিএনপি সমর্থিত সাবেক ছাত্রদল সভাপতি গালিমপুর ইউনিয়নের দুই বারের চেয়ারম্যান তপন মোল্লা, বঙনগর ইউনিয়নের একাধিকবার নির্বাচিত বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান এরশাদ আল মামুন, জয় কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিএনপি’র সমর্থিত দুই বারের চেয়ারম্যান আলহাজ মাসুদুর রহমান মাসুদ তারা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে নির্বাচন থেকে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। অপরদিকে শোল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা চেয়ারম্যান দেওয়ান তুহিনুর রহমান তুহিন, যন্ত্রাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বাবু নন্দলাল সিং, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান রনি কলাকোপা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে তাদের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান আওলাদ হোসেন বলেন, দোহার-নবাবগঞ্জের অভিভাবক উন্নয়নের কাণ্ডারী সালমান এফ রহমান অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল সাজাতে যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তা তৃণমূলে বাস্তবায়ন করতে হলে মাঠ পর্যায়ে দক্ষ জনবান্ধব সাংগঠনিক নেতা প্রয়োজন। তাই তিনি এ সকল প্রার্থীদের যোগ্য মনে করেছেন, নৌকা প্রতীক দিয়ে নির্বাচনের মাঠে নামিয়েছেন, আমরা বিশ্বাস করি তার সুযোগ্য নেতৃত্বে যারা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তারা এমপি মহোদয়ের দিকনির্দেশনামূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে।