বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)-এর আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র, গাজীপুরের আয়োজনে গতকাল গ্রীষ্মকালীন বা সারা বছর চাষ উপযোগী বারি পিয়াজ-৫ এর উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক মাঠ দিবস কেন্দ্রের গবেষণা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্প’-এর অর্থায়নে আয়োজিত এ মাঠ দিবসে ১শ’ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
সকালে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বারি’র আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র, গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হরিদাস চন্দ্র মোহন্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারি’র মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র, গাজীপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিবেদিতা নাথ। এ ছাড়াও মাঠ দিবসে বারি’র আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র, গাজীপুরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
মাঠ দিবসে বক্তারা জানান, বারি পিয়াজ-৫ আগাম ও নাবি খরিপ মৌসুমে আবাদ উপযোগী স্বল্পমেয়াদি গ্রীষ্মকালীন তবে সারা বছর চাষের উপযোগী উচ্চ ফলনশীল জাত। প্রতিটি গাছের উচ্চতা ৫০-৫৫ সেন্টিমিটার এবং প্রতিটি গাছে ১০-১২টি পাতা হয়। কাণ্ড গোলাকার এবং লালচে বর্ণের।
প্রতিটি কাণ্ডের গড় ওজন প্রায় ৯০-১০০ গ্রাম হয়ে থাকে। বাংলাদেশে পিয়াজের জাতীয় গড় ফলন হেক্টর প্রতি ১০.৫৬ টন হলেও বারি পিয়াজ-৫ এর হেক্টর প্রতি ফলন ১৬-২২ টন। গ্রীষ্মকালীন বারি পিয়াজ-৫ আগাম চাষে মার্চ থেকে জুন এবং নাবি চাষে আগস্ট থেকে অক্টোবর মাসে চাষ করা যায়।