× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ধর্ষণের ভিডিও ছড়ানোর দায়ে বৃদ্ধের ১৪ বছর জেল

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
২৭ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার

দুই কিশোরীকে কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ এবং ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়ার অপরাধে আল-আমিন ওরফে আকিল নামে এক বৃদ্ধকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। একইসঙ্গে তার ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। গতকাল দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আল-আমিনের বাসা নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই এলাকায়। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। ফলে তার অনুপস্থিতিতেই ঘোষণা করা হয় এ রায়। তবে পৃথক আরেকটি মামলায় সে ওই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তও। আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৩শে অক্টোবর প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগানোর কথা বলে এলাকার ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে কবিরাজি চিকিৎসার নামে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে আল-আমিন। এরপর থেকে ওই কিশোরীকে নিয়মিত ধর্ষণ করা হতো।
একই বছরের ১৫ই নভেম্বর ১৩ বছরের আরেক কিশোরীকে কৌশলে কবিরাজি চিকিৎসার নামে ধর্ষণ করে সে। দুজনকে ধর্ষণেরই ভিডিও করে রাখে ওই বৃদ্ধ। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে দুই কিশোরী মারা যাবে বলে তাদের দেখানো হয়েছিল ভয়। এরই মাঝে আবারো ধর্ষণের জন্য দুই কিশোরীকে ওই বৃদ্ধ কাছে ডাকে। কিশোরীরা ডাকে সাড়া না দেয়ায় পূর্বের ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইলে ছড়িয়ে দেয় সে।
এ বিষয়ে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোছা. ইসমত আরা বলেন, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ভুক্তভোগী এক কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে নাটোরের আদালতে বৃদ্ধ আল-আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর নাটোরের আদালত থেকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারার অংশটির বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। পরে রাজশাহীতে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন হলে এটি এখানে আসে। এখানে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করলেন আদালত। এডভোকেট ইসমত আরা জানান, রাজশাহীর আদালতে শুধু ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার বিচার হলো। ধর্ষণের জন্য মামলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারার অংশটির বিচার চলছে নাটোরের আদালতে। ওই অংশটুকুর রায় এখনো হয়নি। মামলা একটি হলেও ধারা আলাদা থাকার কারণে বিচার দুই আদালতে চলমান ছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর