শ্রীনগরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বৈরী সাক্ষী মরহুম আবুল হোসেনের পরিবার। উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের এই সম্ভ্রান্ত পরিবারটি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শ্রীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বৈরী সাক্ষী আবুল হোসেনের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৫০) বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
রফিকুল ইসলাম জানান, তার পিতা নিজের জীবন বাজি রেখে ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বৈরী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আমি এলাকায় ব্যবসা করে সংসার পরিচালনা করি। গত ২৩শে জানুয়ারি সন্ধ্যায় আমার ভাতিজা আজিবরসহ কয়েকজনকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে সদ্য নির্বাচিত ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল আমিন ও তার লোকজন। ভাতিজাকে মারধরের পর তারা আমার ইয়ামাহা এফজেড ফেজার মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। পরে এই ঘটনায় আমার ভাতিজা আজিবর বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
মঙ্গলবার আমি আমার ভাতিজা আজিবরকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলে উত্তর কামারগাঁও এলাকার জামাল মোড়লের বাড়ির সামনে পৌঁছামাত্র নুরুল আমিন মোড়ল (৪৫), বিপুল মোড়ল (৩০), বারেক মোড়ল (৬৫), রাফি মোড়ল (২২), রায়হান মোড়ল (২৪) সহ বেশ কয়েকজন আমার গতিরোধ করে আমার ভাতিজার দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে চাপ প্রয়োগ করে এবং অকথ্য গালিগালাজ করতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে মারপিট করতে উদ্যত হয়। এ সময় নুরুল আমিন মোড়ল হুমকি দিয়ে বলেন, আমি মেম্বার থাকাকালীন সময়ে এই এলাকায় তুই কোনো ব্যবসা বাণিজ্য করিতে পারবি না। এর অন্যথা হলে তোকেসহ তোর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে চরম মাশুল দিতে হবে। এই ঘটনায় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বৈরী সাক্ষীর পরিবারটি ভীত হয়ে পড়েছে। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।