কক্সবাজারের পেকুয়ায় ধর্ষণের পর হত্যার শিকার রেখামনির পিতা আয়ুব আলী একমাত্র মেয়ে হাত্যার বিচারের আশায় ঘুরছেন আদালতের বারান্দা ও থানার দুয়ারে। ঘুরতে ঘুরতে এখন হতাশ হয়ে পড়েছেন। জানা যায়, রেখামনি হত্যার পর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবাদে ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। ওই সময় কয়েকদিন প্রশাসন সরব থাকলেও পরে তাদের তৎপরতা থেমে যায়। এরইমধ্যে ৬ মাস পার হয়েছে। কিন্তু গ্রেপ্তার হয়নি একজন আসামিও। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন রেখামনির পিতা-মাতা ও প্রতিবেশীরা।
এ নিয়ে গতকাল উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের হাজীর পাড়া নিজ বাসভবনে তাবাসসুম জান্নাত রেখামনির পিতা আয়ুব আলী লিখিত বক্তব্যে সংবাদিকদের বলেন, ‘গত বছর ২৪শে জুলাই আমি ও আমার স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুবাদে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ৪নং ওয়ার্ডের হলুরঘাট এলাকার মকছুদ আহমদের পুত্র আবুল কাশেম (২০), রাজাখালী ইউপির ২নং ওয়ার্ড মিয়াপাড়ার মৃত আবুল হোছাইন প্রকাশ বাশারের পুত্র আলমগীর (২২) হাজীর পাড়া এলাকার নুরুল হকের পুত্র রবিউল আলম (১৯), আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে বিষ খাইয়ে হত্যা করে। পরে আমার বড় ছেলে আমাকে ফোন করে এ খবর জানায়। পেকুয়া থানায় ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এই ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করি। এরপর থেকে দীর্ঘ ৬ মাস একজন আসামিও গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছি। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬শে জুলাই উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড হাজীর পাড়ার আয়ুব আলীর সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে তাবাসসুম জান্নাত রেখামনি (১৪)কে রাতে বাড়ি থেকে তুলে পরিত্যক্ত একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে এরপর বিষ খাইয়ে হত্যা করে। পরদিন সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। রেখামনি রাজাখালী বেশারাতুল উলূম কামিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এই ঘটনায় ৩ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার চকরিয়া সার্কেল তফিকুল আলম মানবজমিনকে বলেন, মামলার তদন্ত চলমান, আসামি ধরার জন্য পুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে।