নীলফামারীতে উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিক বহনকারী একটি অটোরিকশার সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। গতকাল সকালে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে সৈয়দপুর-নীলফামারী রেল সড়কের দারোয়ানী রেল স্টেশনের কাছে। দারোয়ানী রেল ষ্টেশন সংলগ্ন মসজিদের ইমাম মাহামুদুল হাসান জানান, সকাল ৭টার দিকে প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে অরক্ষিত রেলক্রসিংটি পার হওয়ার সময় খুলনা থেকে চিলাহাটীগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুছড়ে যায় এবং ২০-২৫ ফুট দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে ২ জন এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত নাসরিন আক্তার, কুলসুম বেগম, রওশন আরা ও অটোরিকশা চালক অহিদুল ইসলাম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। নিহত এবং আহত সকলেই নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের ধনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একইসঙ্গে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গোটা গ্রামের মানুষ যেন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। শান্তনা দেয়ার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন তারা। এলাকার মানুষজন নিহত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়ে যে যার মতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ৮ই ডিসেম্বর সকালে একই রেলপথের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের বউ বাজার নামক স্থানে রেল লাইনে খেলতে গিয়ে  ট্রেনে কাটা পরে একই পরিবারের ৩ শিশু এবং তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে ছালমান ফার্সি ওরফে শামীম আহমেদ নামের এক যুবক নিহত হন। এদিকে গতকাল সকালে সৈয়দপুর-রংপুর সড়কের চিকলী নামক স্থানে বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে বাসচালক শাহিনুল ইসলাম বড় বাবু (৩৫) নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি নীলফামারী শহরের হাড়োয়া নীলকুঞ্জ এলাকায়।