ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমিকার মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে অবশেষে সেই বিয়ের দাবিতে অনশন করা পোশাককর্মীকেই ১৬ লাখ টাকার কাবিনমূলে বিয়ে করেছেন প্রেমিক সুমন হোসেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিয়ে করলেও এখনো মামলা থেকে রক্ষা পাননি তিনি। এদিকে তার ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট আউটলেটের অংশীদার স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেয়ার নোটিশ প্রদান করেছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এতেও মহাবিপাকে পড়েছেন তিনি। জানা যায়, ধামরাইয়ের কাওয়ালিপাড়া এলাকার রাজা মিয়ার মেয়ে পোশাককর্মী রাজিয়া আক্তারকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ এনে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে একই এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে ইসলামী ব্যাংক কাওয়ালিপাড়া বাজার এজেন্ট আউটলেটের অংশীদার সুমন হোসেনের বাড়িতে। এতে তাকে ওই বাড়িতে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়লে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
বাধ্য হয়েই বাবা রাজা মিয়া আদালতে এবং অনশনকারী পোশাককর্মী ধামরাই থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এতে পালিয়ে বেড়ান বিয়ের প্রলোভনকারী সুমন হোসেন। বিষয়টি জানতে পেরে ইসলামী ব্যাংক তাকে পরপর কয়েকটি নোটিশ প্রদান করেন। একপর্যায়ে ব্যাংক তাকে স্বেচ্ছায় এজেন্ট আউটলেটের অংশীদার ছেড়ে দেয়ার চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করেন। এ খবর পেয়ে ব্যাংকের অংশীদার ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে ১৬ লাখ টাকার কাবিন করে সেই অনশনকারী পোশাককর্মীকেই বিয়ে করেন সে। বিয়ের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকের সুনাম নষ্টকারীকে কোনো ব্যাংক রাখে না। বিশেষ করে নারী সংক্রান্ত হলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আরও গুরুত্বসহকারে দেখেন বলে জানান তিনি। স্থানীয়রা জানান, বিয়ের দাবি নিয়ে আসা ওই পোশাককর্মীকে তখনই বিয়ে করা উচিত ছিল সুমন হোসেনের। এখন মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে বিয়ে করেছে বলে জানান তারা।