পঞ্চগড়ের বোদায় একদিনের ব্যবধানে কবর থেকে আরও ১৪টি কঙ্কাল চুরি হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে কৈইকিল্লাহ দিঘী কবরস্থান থেকে এ কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। কৈইকিল্লাহ দিঘী কবরস্থানে বোদা উপজেলার সাকোয়া ও চন্দনবাড়ি দুইটি ইউনিয়নের মৃত ব্যক্তিদের দাফন করা হয়। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী. বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী ও চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রধান গতকাল দুপুরে ওই কবরস্থান পরিদর্শন করেছেন। কবরস্থান পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক রাতে প্রতিটি কবরস্থানে পাহারার ব্যবস্থা নিতে চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেন। এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কঙ্কাল চোর চক্রটি ধরতে স্থানীয়দের সহায়তা চেয়ে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। ওই কঙ্কাল চুরির সঙ্গে জড়িত চক্রটির সন্ধান দিতে পারলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার একই ইউনিয়নের দোলুয়ার দিঘী কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি হওয়ায় ওই ইউনিয়নের মানুষ প্রতিদিন সকালে কবরস্থানে এসে স্বজনদের কবরগুলো ঠিক আছে কি না তা দেখচ্ছেন।
বুধবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন কবরস্থান এলাকায় গেলে কয়েকটি কবর খনন করা অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা স্থানীয় আরও কিছু লোকজনকে খবর দেন। পরে সকলে মিলে কবরস্থান ঘুরে ১৪টি কবর খনন করা দেখতে পান। স্থানীয়দের ধারণা দুর্বৃত্তরা কবর থেকে কঙ্কাল চুরি করতেই এসব কবর খনন করেছে। গেল ৮ মাস থেকে ২ বছরে যাদের মৃত্যু হয়েছে এমন ব্যক্তিদের কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে ওই কবরস্থানের এক পাশে নাম পরিচয়হীন একজন পাগলবেশে ছিল। গতকাল সকালে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে সে তার পরনের দুইটি কম্বল ফেলে পালিয়েছে। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।