× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনশনের সমাপ্তি, এরপর কি? /যেভাবে দৃশ্যপটে জাফর ইকবাল

প্রথম পাতা

ওয়েছ খছরু ও আরাফ আহমেদ, সিলেট থেকে
২৭ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার

অবসান হলো একশ’ তেষট্টি ঘণ্টার উদ্বেগ-উত্তেজনার। টানা আট দিনের অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা। চাপা উত্তেজনা অনেকটাই 
শিথিল হয়ে আসে ভোরবেলা। দৃশপটে জনপ্রিয় লেখক ও শিক্ষক ড. জাফর ইকবাল। স্ত্রীকে নিয়ে যখন অনশনরত শিক্ষার্থীদের পাশে যান তখন বদলে যায় পরিস্থিতি। তার অনুরোধে অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা হলেও তা আর হয়ে উঠেনি। সূত্রমতে সরকারের তরফেই ড. জাফর ইকবালের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
ঢাকায় বসে সার্বিক বিষয় মনিটরিং করছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। সিলেটে তিনি বেশি পরিচিত। শাবির ঘটনায় তিনিও চিন্তিত হয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীদের দাবি এক দফা। পথ খুঁজলেন নানক। শীর্ষ মহলে করলেন আলোচনা। ড. জাফর ইকবালের নাম এলো আলোচনায়। তিনিই পারবেন ক্ষোভ কমিয়ে অনশন ভাঙাতে। দলের নেতারা জানান, মঙ্গলবার জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আসীম কুমার উকিল এবং সুভাষ সিংহ রায় অধ্যাপক জাফর ইকবালের বাসায় গিয়ে দেখা করেন। সেখানে ড. জাফর ইকবালের সঙ্গে পুরো পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। শেষ পর্যন্ত তাকে সিলেট যেতে রাজি করাতে সক্ষম হন। গতকাল ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনেও ড. জাফর ইকবাল এ ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার আগে আওয়ামী লীগের একটি দল সিলেটে পাঠানো হয়। তারা সিলেটে বসেই সার্বিক বিষয় মনিটরিং করেন। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি দল অবস্থান করছিলেন সিলেটে। তারা সার্বিক বিষয় মনিটরিং করছিলেন শহরে বসেই। ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা করণীয় নির্ধারণ করতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক বিধান কুমার সাহার সঙ্গে বৈঠক করেন। কয়েক দফা হয় বৈঠক। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে থাকা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। নানামুখী চাপে তটস্থ হয়ে পড়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে অনশন ভাঙার অনুরোধ করেন। কিন্তু এতে সাড়া দেননি অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা। রাত ৯টার দিকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। ফলে পরিস্থিতির নতুন মোড় নেয়। এই অবস্থায় রাত ১০টার দিকে ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে সড়ক পথে রওয়ানা দেন প্রফেসর ড. জাফর ইকবাল। সঙ্গে স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক। তারা আসার খবরে ক্যাম্পাসে প্রাণচাঞ্চল্য ফেরে। কারণ- শাহ্‌জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনের দীর্ঘ সময় শিক্ষকতা করেন প্রফেসর ড. জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হক। প্রায় তিন বছর আগে তিনি ও তার স্ত্রী অবসর নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে চলে যান। চলে গেলেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসা পড়ে আছে বলে জানান ড. জাফর ইকবাল। জানান, ‘প্রায় তিন বছর আগে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু এই ক্যাম্পাসে কিছু হলে দুঃখ পাই। এ কারণে ঢাকা থেকে শিক্ষার্থীদের পাশে ছুটে এসেছি। আমরা শিক্ষক থাকার সময় অনেক আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু কখনোই এভাবে ছাত্রদের পুলিশ নির্যাতন করতে পারেনি।’ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ‘শাবি ক্যাম্পাস থেকে চলে গেলেও এখনো আস্থার জায়গায় রয়েছেন ড. জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক। ফলে ভোররাতে যখন তিনি ক্যাম্পাসে আসেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় আর আতঙ্ক কেটে যায়। শিক্ষার্থীরা বলেন, তিনি যখন আশ্বস্ত করেছেন তখন আমরা বিশ্বাস করি। আর অনশন ভাঙার প্রতিশ্রুতি দেই। আমাদের বিশ্বাস আছে; অন্তত ড. জাফর ইকবাল ছেড়ে যাবেন না।’ আর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সার্বিক দিক বিবেচনা করে ড. জাফর ইকবালকেই খুঁজে বের করলেন। জাফর ইকবালের হাত ধরেই এলো ক্যাম্পাসে স্বস্তি।

ড. জাফর ইকবাল সকালেই আশ্বাস দিয়েছিলেন, আন্দোলনকারীদের অর্থ দেয়ার অভিযোগে যে ৫ জন সাবেক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের জামিন হবে। আর হয়রানি হবে না। গতকাল বিকালই ওই ৫ শিক্ষার্থীর জামিন দিয়েছেন আদালত।
যেভাবে অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা: সকাল তখন ১০টা। পিনপতন নীরবতা। ড. জাফর ইকবালও পথ চেয়ে আছেন। সাইরেন বাজিয়ে ছুটে এলো দুটি এম্বুলেন্স। সঙ্গে একটি মিনিবাস। দাঁড়ালো অনশনস্থলে। এরপর স্ট্রেচারে করে নামানো হলো দু’শিক্ষার্থীকে। এসেই শুরু করলেন কান্না। হাউমাউ করে কান্না। জড়িয়ে ধরলেন ড. জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ড. ইয়াসমীন হককে। কাঁদলেন শিক্ষার্থীরা। চোখে জল এলো জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রীরও। এরপর একে একে স্ট্রেচারে করে নামানো হলো অসুস্থ ২০ শিক্ষার্থীকে। অনশনস্থল থেকে অসুস্থ হয়ে তারা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। বেশি সময় নিলেন না। ১০টা ২০ মিনিটে হাতে নিলেন পানির বোতল। প্রথমে এগিয়ে এলেন অনশনরত এক শিক্ষার্থীর দিকে। মুখে পানি তুলে দেয়ার আগে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লো ওই শিক্ষার্থী। কান্নায় ভেঙে পড়লো। ড. ইয়াসমিন তাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। এরপর জাফর ইকবাল মুখে তুলে দিলেন পানি। এভাবে এক এক করে তিনি সবার মুখে পানি তুলে দিয়ে অনশন ভাঙান। অনশন ভাঙার পর শিক্ষার্থীরা প্রায় সবাই কাঁদেন। বলেন, ‘স্যার আপনার ওপর ভরসা রাখলাম। আপনি পাশে থাকলে ভয়হীন থাকি। এই ভিসি আমাদের অভিভাবক না।’ উঠে দাঁড়ালেন জাফর ইকবাল। অনশনরত প্রায় সব শিক্ষার্থী শুয়ে আছেন। হেঁটে হেঁটে মাঝখানে গেলেন। বলেন, ‘আমি খুব খুশি। তোমরা অনশন ভেঙেছো। তোমরা জান বাজি রেখে যে লড়াই করেছো সেটি দেশবাসী দেখেছে। তোমাদের এই লড়াই সবার কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। উচ্চ পর্যায় থেকে আমাকে এখানে পাঠানো হয়েছে। ওরা আমাকে কথা দিয়েছে সব দাবি মেনে নেবে। সুতরাং একটু অপেক্ষা করতে হবে। আর সাবেক যেসব ছাত্রদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি আজই হবে। তোমরা চিন্তা করো না। এখন তোমাদের চিকিৎসা প্রয়োজন। সবাই আবার হাসপাতালে চলে যাবে। জীবন আগে। জীবন না বাঁচলে তো লড়াই করা যায় না।’ এই ক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে সবার কাছে হাততালি প্রত্যাশা করেন পাশে থাকা অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হক। এ সময় অনশন, আন্দোলনরত সব শিক্ষার্থী হাততালি দিয়ে ক্ষণটিকে উদ্‌যাপন করেন। এর আগে ঢাকা থেকে রাত ৪টায় শাহ্‌জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পা রাখেন ড. জাফর ইকবাল। তাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনশনে থাকা ৭ শিক্ষার্থী। অনেকটা আবেগ আপ্লুত ড. জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমীন হকও। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিনি পুরো ঘটনা শোনেন। কী ঘটেছিল, তাদের উপর কী কী আচরণ করা হয়েছে সব শোনেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের তরফ থেকেই জানানো হয়- ‘স্যার আপনি যা বলবেন আমরা তাই করবো। আমরা আর কাউকে বিশ্বাস করি না।’ অনুরোধ করলেন ড. জাফর ইকবাল। বললেন, তোমাদের এই অবস্থায় দেখে মন ভালো নেই। ৮ দিন হলো তোমরা মুখে খাবার তুলে নাও নি। তোমরা মৃত্যুর দিকে চলে যাচ্ছো। আমার সহ্য হচ্ছে না। অনুরোধ করবো- তোমাদের সবকিছু আমি দেখবো। উপর থেকে আমাকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে। সব দাবি পূরণ হবে। আগে অনশন ভাঙো। তোমরা কিছু খেলে তারপর আমিও খাবো।’ কিছুটা সময় নিলেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। হাসপাতালে থাকা অসুস্থদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলেন সবাই। হাসপাতালে যারা আছে তাদের অনশনস্থলে এনে একসঙ্গে অনশন ভাঙানোর সিদ্বান্ত নিলেন।
অনশন ভাঙানোর পর এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. জাফর ইকবাল। তিনি বলেন- ‘এখানে আসার আগে আমার সঙ্গে সরকারের অনেক উচ্চ মহল থেকে কথা বলেছে। আমি তাদের অনুরোধ করবো, তারা আমাকে যে কথা দিয়েছেন সে কথাগুলো যেন রক্ষা করেন। আমি আর এই ছাত্রদের ভেতর কোনো পার্থক্য নাই। ‘আমাকে যে কথাটা দিয়েছেন তা যদি রক্ষা করা না হয়, তাহলে বুঝে নেবো তারা শুধু ছাত্রদের সঙ্গে নয়, আমার সঙ্গে এবং এই দেশের যত প্রগতিশীল মানুষ আছে সবার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। কাজেই আমি আশা করবো তারা যেন আমাকে যে কথা দিয়েছেন সে কথাগুলো রাখেন।’ ভিসি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষকের এ রকম মেরুদণ্ডহীন হওয়ার কোনো কারণ নাই।’ ভিসি ফরিদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন করার দরকার নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনের জন্য অনশন করার দরকার নাই। কারণ যে মানুষটার জন্য তারা অনশন করে যাচ্ছে, তার জন্য প্রাণ দেয়া সমীচীন না।’ ড. জাফর ইকবাল বলেন, পুলিশ শিক্ষার্থীকে মারবে কেনো? শিক্ষকরা কোথায় ছিলেন? আগে আমাকে মারতে হবে। এরপর শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলতে হবে। সাবেক যে ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের আজই জামিন দেয়া হবে বলে জানান ড. জাফর ইকবাল। এবং ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হয়ে আসবে। ক্যাম্পাসে মুক্তিবুদ্ধির চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা বিরাজমান থাকতে হবে। এছাড়া গত কয়েকদিন শিক্ষার্থীদের উপর নানাভাবে অত্যাচার করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এজন্য তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে বলেন, ‘আই এম সরি। তোমরা দেশ কাঁপিয়ে দিয়েছো। তোমাদের দাবি যৌক্তিক। এই দাবির আন্দোলনে আমাদেরও নামার দরকার ছিল। ঢাকা থেকে সেভাবে অনুমান করতে পারিনি। ক্যাম্পাসে এসে দেখে তো হতভম্ব হয়ে গেলাম। তবে, আমি খুব খুশি। তোমরা অনশন ভেঙেছো। জীবন আগে। বাঁচলে তো বিজয় হবে। তিনি বর্তমান ভিসিকে দানবের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ভিসির পদত্যাগের জন্য জীবন দিয়ে আন্দোলন করা ঠিক না। তোমাদের আন্দোলন তোমরাই চালিয়েছিলে। বহিরাগত কেউ ছিলনা। এবং তোমরা দেখিয়ে দিয়েছো দেশবাসীকে।

অধ্যাপক ইয়াসমিন বলেন, ‘স্টুডেন্টদের গায়ে পুলিশ হাত দেবে, কিন্তু টিচার কিছু বলবে না, টিচার হিসেবে আমার কাছে এর কোনো মাফ নাই। টিচার হওয়ার জন্য আমার যে ক্ষমতা এতে পুলিশ এলে কিন্তু কিচ্ছু করবে না। আমি একজন শিক্ষক। আমি পুলিশ আর স্টুডেন্টদের মাঝে দাঁড়িয়ে আছি। ‘আছি। আমি একদম শক্‌ড। আমি অসম্ভব শক্‌ড। আমি এই শক কবে কাটিয়ে উঠবো জানি না।’ উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তোমরা কেউ এ রকম হয়ো না। তোমাদের মধ্যে অনেকে শিক্ষক হবা। খবরদার তোমরা যদি এ রকম কেউ হইছো।’ অনশন করা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব বলেন, ‘অনশন থেকে সরে এলেও আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এই ভিসির পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। দ্রুতই নিজেরা বসে আন্দোলনের ধরন ও কর্মসূচি ঠিক করবো। কোন্‌ পদ্ধতিতে আন্দোলন চলবে সেটি আমরা বসে সিদ্বান্ত নেবো।’ এদিকে, সংবাদ সম্মেলনের পর ড. জাফর ইকবালের সামনেই চিকিৎসাধীন থাকা শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অন্যরা অনশনস্থল থেকে হলে ফেরেন। এরইমধ্যে টানা ৮ দিনের কর্মসূচির সমাপ্ত হলো। তবে, ভিসির বাসভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে আগের মতোই। এছাড়া, প্রধান ফটকের সামনেও পুলিশ রয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার জন্যই পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যখন বলা হবে তখন ক্যাম্পাস ছেড়ে পুলিশ চলে যাবে বলে জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর