× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনার চেয়ে ১০-২০ গুণ বেশি মৃত্যু অসংক্রামক রোগে

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ২৭, ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১:০৮ অপরাহ্ন

করোনার চেয়ে দেশে ১০ থেকে ২০ গুণের বেশি মৃত্যু হয় অসংক্রামক রোগে। সংক্রামক রোগের চেয়ে অসংক্রামক রোগে অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হলেও সংক্রামক রোগের প্রতি গুরুত্ব বেশি দেয়া হয়। দেশে মোট মৃত্যুর ৭০ শতাংশ মারা যায় অসংক্রামক রোগে। এদিকে গুরুত্ব না দিলে ২০৪০ সালে এই হার ৭০ থেকে বেড়ে ৮০ শতাংশে উঠে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আজ বৃহস্পতিবার প্রথম জাতীয় সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম পর্বে যোগ দিয়ে তারা এসব কথা বলেন। ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে তিনদিনের এ অনুষ্ঠান হচ্ছে। ২৬শে জানুয়ারি শুরু হওয়া এ সম্মেলন শেষ হবে ২৮শে জানুয়ারি। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামসহ ৩০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

সম্মেলনের প্রথম পর্বে স্বাস্থ্য অর্থ ইউনিটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন মাহমুদ বলেন, কোভিডে সারাবিশ্ব এই মুহূর্তে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আমাদের দেশে কোভিডে যে মৃত্যু, অসংক্রামক কোনো কোনো রোগে মৃত্যু তার চেয়ে ১০ থেকে ২০ গুণেরও বেশি।
শুধু ধূমপান জনিত কারণে দেশে প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু হচ্ছে সাড়ে তিনশ’ মানুষের। ক্যান্সার, টিভি, হার্ট ডিজিস সব অসংক্রামক রোগ এবং এগুলোর কারণে যে মৃত্যুরহার, প্রত্যেকটির মৃত্যুর হার কোভিডের মৃত্যুর থেকে ৫ গুণ। কিন্তু কেন যেন আমরা শুধু সংক্রমক রোগের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

বিভিন্ন গবেষণা তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে ৮.৪ মিলিয়ন মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত। সবাইকে পরীক্ষা করলে সংখ্যা বাড়তে পারে। তাদের শুরু ইনসুলেন্সের জন্য বছরে খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। শুধু ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অন্য বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
সরকারের স্বদিচ্ছার ঘাটতি তো নেই জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার টিকার জন্য এবার সরকারের ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর একটি তহবিল আছে, সেখান থেকেও বিভিন্ন সহযোগিতা দেয়া হয়ে থাকে। সবমিলিয়ে আমরা যদি হিসেব করি তাহলে ১০ ভাগের কাছাকাছি হবে।

একটি গবেষণার বরাত দিয়ে বলেন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৬৭.৫ ভাগ অর্থ জনগণ পকেট থেকে ব্যয় করে। এটি নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। এখানেও একটি হিসেব বারবার বাদ পড়ে যায়। যারা সরকারি কর্মচারী রয়েছেন তাদের জন্য সরকার প্রতিমাসে হেলথ অ্যালাউন্স দিয়ে থাকে দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার পর্যন্ত। এটির পরিমাণও ছয় হাজার কোটি টাকা। এটি কিন্ত কাউন্টে আনা হয় না। সবকিছু কাউন্ডে আনলে হয়তো সরকারের অংশগ্রহণ আরো বেশি হতো। থোক বরাদ্দ চলমান অর্থ বছরে কোভিডের কারণে যা খচর করেছে সেটি কাউন্ট করলে সরকারের অংশগ্রহণ অনেক বেশি হবে। অর্থাৎ সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয়ায় ক্ষেত্রে কোনো কার্পন্য নেই। যা বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকে আমারা সবসময় সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারি না। সরকারের স্বদিচ্ছার ঘাটতি তো নেই। আমরা অনেক বিষয়ে অগ্রগামী চিন্তা করছি। কিন্তু সেই চিন্তু গুলোকে সমন্বিত ভাবে পূরণ করতে পারলে অসংক্রামক রোগ থকে আমরা অনেকাংশে রক্ষা পেতে পারি।

গবেষণার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যত মৃত্যু হয় তার ৭০ ভাগই অসংক্রামক রোগে। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। ২০৪০ এটা এই হার হয়তো ৮০ শতাংশে উঠে যাবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস। আরও বক্তব্য রাখেন- সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, ইন্টান্যাশনাল সোসাইটি ফর আরবান হেলথ (আইএসইউএইচ) এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জো আইভি বাফর্ড, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এনসিডি টিম লিডার (ব্যাংলাদেশ) সাধনা ভাগওয়াত, ওয়ার্ড ওরবেস্টি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জন উইলডিং, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্ট্রর ডা. মুনির আহমেদ, ইউনিভার্সেল মেডিকেল রিসার্স সেন্টারের রিসার্স প্রধান অধ্যাপক ডা. রেদওনুর রহমান, বিএসএমএমইউর পাবলিক হেলথ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারিহা হোসেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর