× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কুড়িলে উচ্ছেদ /ঢাকায় কোনো জলাধার ভরাট করতে দেয়া হবে না: আতিক

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ২৭, ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৬:৩৪ অপরাহ্ন

রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকায় জলাধার উদ্ধার করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিয়েছে স্থানীয়রাও। বৃহস্পতিবার কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম দেখেন জলাধারের জমিতে লেখা, ‘সাইট ফর ফাইভ স্টার হোটেল অ্যান্ড শপিং কমপ্লেক্স - মিলনায়তন হোল্ডিং লিমিটেড।’ তখন মেয়র আতিক রেলমন্ত্রী ও রেলের ডিজিকে ফোন দিয়ে জানতে চান ‘খিলক্ষেত, এয়ারপোর্ট রোড, নিকুঞ্জসহ আশপাশের সব এলাকার পানি এখানে জমা হয় কি না? এখানে স্থাপনা হলে এ এলাকা ডুবে যাবে। জমি রেলের হলেও জলাধার দখল করে কোনোভাবেই এটা হতে দেব না।’এরপরই ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে আগে থেকেই জড়ো হওয়া জনতা প্রতিবাদ জানিয়ে আধাপাকা স্থাপনা ভাঙা শুরু করেন। এসময় ডিএনসিসির বুলডোজার দিয়ে স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়।
এসময় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে জলাধার ভরাট করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। জলাশয় ভরাট না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। নগরীর দখল হয়ে যাওয়া সব জলাধার উদ্ধার করা হবে। এগুলো উদ্ধার করে চারপাশ দিয়ে নগরবাসীর হাঁটার পথ তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, চোখের সামনে গুরুত্বপূর্ণ অনেক জলাধার ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। এসব হতে দেয়া যাবে না। নগরীর কথা ভাবতে হবে। নগরবাসীর কথা চিন্তা করতে হবে। অন্যস্থায় বর্ষার পানিতে আশপাশের এলাকা তলিয়ে যাবে।  
রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার সংলগ্ন জলাধারের জায়গা বরাদ্দ নিয়ে পাঁচ তারকা হোটেল এবং শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য বিলবোর্ড টানিয়ে স্থাপনা গড়ে উঠছিল। রেলের এই জায়গাটি কিভাবে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে রেলমন্ত্রী ও রেলের ডিজির কাছে তা জানতে চান মেয়র। আতিক বলেন, জলাশয় আমাদের খুব প্রয়োজন। এ জলাশয়কে ঘিরেই আমরা একটি প্ল্যান করেছি, এখানে আমরা একটি ওপেন স্পেস করে দেব। আশেপাশের সব এলাকার পানি এখানে এসে জমা হয়। এমন একটি জলাশয়ের জায়গা বাংলাদেশ রেলওয়ে পাঁচ তারকা হোটেল এবং শপিং মল করার জন্য কীভাবে বরাদ্দ দিল, এটা আমার বোধগম্য নয়। ১.৮৪ একর জমি, যেটা জলাশয় সেটা তারা কীভাবে বরাদ্দ দেয়? আইনি লড়াইসহ যা যা করার তা আমরা করব। এসব জলাধার দখল করা অন্যায়, আপনারা ঢাকা শহরটাকে আর শেষ করবেন না। অন্তত বরাদ্দ দেয়ার আগে মাঠপর্যায়ে এসে দেখে যান।
উচ্ছেদ অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলামসজ স্থানীয় কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
Khokon, chatra.
২৭ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১১:০০

যদি কেউ দখল ও ভরাট করে নিয়ে নেয় তা হয়তো আপনাদের ভাই, চাচা মামু, খালু ? কারণ আপনারাই ক্ষমতায় আপনারাই ভোগের অধিকারী ও খাবেন এবং কথাও বলবেন। গরীব দুঃখীদের এতো সাহস নেই যে, তারা দখল করে নিবে দেশের সম্পদ ? যারা সেখানে বাস করে গরীব দুঃখী তারা মোটা অংকের চাঁদা দেন মামু খালুদের !

অন্যান্য খবর