দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজন করতে একের পর এক যুক্তি দিয়ে যাচ্ছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ইতিমধ্যেই সদস্য দেশগুলোকে মোটা অঙ্কের অর্থের লোভ দেখিয়েছেন তিনি। এবার বললেন, আরেক কথা। এভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হলে নাকি ইউরোপে অভিবাসনের আশায় প্রাণ হারাবে না কেউ!
বুধবার ফ্রান্সের স্ত্রাসবুরে ইউরোপীয় কাউন্সিলের সংসদীয় পরিষদে ফিফা সভাপতি বলেন, ‘পুরো বিশ্বকে সঙ্গী করার উপায় খুঁজতে হবে আমাদের। আফ্রিকানদের আশা জোগাতে হবে, যেন তারা ভালো জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ না করে।’
ইনফান্তিনোর দাবি, দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ হলে সুবিধাবঞ্চিত ফেডারেশনগুলো লাভবান হবে। অংশগ্রহণের সুযোগও বাড়বে। ফুটবলের মাধ্যমে উন্নয়ন হবে আফ্রিকা ও এশিয়ার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিত সুযোগ দেয়া, সম্মান দেয়া, দান নয়।
পুরো বিশ্বকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে হবে।’
জৌলুশ আর অর্থের টানে লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকা থেকে দলে দলে ফুটবলার ছুটে আসেন ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে। ইনফান্তিনো এর সমাপ্তি চান। তিনি বলেন, ‘ইউরোপে আর নতুন সম্ভাবনা ও অনুষ্ঠানের দরকার নেই। ফুটবলের উচিত না সারা বিশ্বকে বলা- তোমরা সব টাকা আর সেরা খেলোয়াড়দের আমাদের দিয়ে দাও, আর খেলা টিভিতে দেখ। আমাদের উচিত ফুটবলকে বৈশ্বিক করা, আমাদের উচিত ইউরোপে যে মান সৃষ্টি করা হয়েছে, সেটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া।’
ইনফান্তিনোর এমন পরিকল্পনার বিরোধিতা আগেই করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা ও লাতিন আমেরিকার নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল। দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ হলে খেলোয়াড়দের ওপর দিয়ে ধকল যাবে তাতে নিশ্চিতভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে ক্লাবগুলো। আর্থিকভাবেও লাভবান হবে না উয়েফা ও কনমেবল। তাই প্রথম থেকেই এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে সংস্থা দুটি।