ভোলার লালমোহন উপজেলার ৭নং পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ১৯ বছর পর চেয়ারম্যানের পদ হারাচ্ছেন আবু ইউসুফ। দীর্ঘ এ সময়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য একের পর এক ব্যক্তিদের দিয়ে বিভিন্ন মামলা করে নির্বাচন বন্ধ করে রেখেছেন তিনি। ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ ইউপি সদস্য। তবুও নির্বাচনের দেখা মেলেনি এ ইউনিয়নে। ২০০৩ সালে ১০ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটে জয়ী হন চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ। এরমধ্যে তিনি ২০১৯ সালে ২২শে সেপ্টেম্বরে কাউকে না জানিয়ে ভারতে যান। দেশে ফেরেন ওই বছরের ৬ই অক্টোবর (ইমিগ্রেশন বিশেষ পুলিশের শাখার তথ্যানুযায়ী)। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বাৎসরিক সভা ও মাসিক সভা করার কথা থাকলেও তা নিয়মিত করেননি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ২৭শে জানুয়ারিতে এক ইউপি সদস্যের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চেয়ারম্যান আবু ইউসুফকে ৩ মাসের জন্য বহিষ্কার করেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন চেয়ারম্যান ইউসুফ। ওই রিটের শুনানিতে বহিষ্কারাদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। তবে চেয়ারম্যানের করা ওই রিটটি ২০২১ সালের ২৫শে নভেম্বর খারিজ করে দেন আদালত। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এতে করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার করা আগের আদেশটিই বহাল থাকে। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়নি। আমি এখনো চেয়ারম্যান পদে বহাল রয়েছি।