× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চৌদ্দগ্রামে সরকারি স্কুলে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগে অভিভাবকদের মানববন্ধন

বাংলারজমিন

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
২৮ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এইচ জে সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রূপম সেনগুপ্তসহ পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ভর্তিতে বাণিজ্য-অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবকবৃন্দ। গতকাল সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ বঙ্গবন্ধু স্কয়ার এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ভুক্তভোগী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ষষ্ঠ শ্রেণিতে অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম থাকলেও বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রূপম সেনগুপ্ত সরকারের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ৪ ধরনের ফরম বিক্রি করেন। দুই ধরনের ফরমে ক্রমিক নং কম্পিউটারাইজড আর দুই ধরনের ফরমের ক্রমিক নং হাতে লেখা ছিল। আর হাতের লেখা ক্রমিক নং ফরমে অনিয়ম করেন রূপম সেনগুপ্ত।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এতে করে একজন ছাত্র লটারিতে একাধিকবার চান্স পায়। একাধিকবার চান্স পাওয়া ছাত্রের একটি রোল রেখে বাকিগুলো ওই হাতের লেখা ক্রমিক নং দেওয়া ফরমের মাধ্যমে তাদের অভিভাবকদের থেকে ২০-৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে চান্স না পাওয়া ছাত্রদের ভর্তি করান। এছাড়াও তিনি আরও অভিযোগ করেন, অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করা হলে এ ধরনের অনিয়ম করা সম্ভব হতো না।
এছাড়াও রূপম সেনগুপ্ত ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি বাবদ ১২৬০ টাকা করে আদায় করছেন। মোহাম্মদ মোশারফ নামের এক অভিভাবক বলেন, কুমিল্লা জিলা স্কুল ও ফয়েজুন্নেছা স্কুলসহ দেশের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই শিফটে ক্লাস হয়। সরকারি হওয়ার পরে শিক্ষার্থী ভর্তি সংরক্ষিত বা সীমিত করার কারণে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার ৩ ভাগের ২ ভাগ শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয়টিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না। উপজেলা সদরে পৌর এলাকায় বিকল্প কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই। ফলে আমাদের সন্তানরা অনেক দূরে গিয়ে ভর্তি হতে হচ্ছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পেরে এখানেই লেখাপড়ার ইতি টানছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রূপম সেনগুপ্ত বলেন, বোর্ড থেকে অনলাইনের এখনও কোনো সফ্‌টওয়্যার না দেওয়াতে ফরমের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হয়েছে। এতে কোনো অনিয়ম হয়নি। এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মনজুরুল হক বলেন, ‘মৌখিকভাবে এ ধরনের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে কোনো সত্যতা পাইনি। তারপরও সংক্ষুদ্ধ কোনো অভিভাবক লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর