পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ৫নং নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দীর্ঘ এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট ও কাদামিশ্রিত বালু। এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখলেও কয়েকদিন বাদে একইভাবে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে রাস্তা। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নিচকাটা গ্রামের ওয়াপদা রাস্তা থেকে শুরু করে টুঙ্গিবাড়িয়া আকনবাড়ি পর্যন্ত রাস্তার হেরিংবোন বন্ড (এইচবিবি) ২য় পর্যায়ে প্রকল্পের আওতায় এর নির্মাণকাজ চলছে। দীর্ঘ এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরিতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ লাখ ১৩ হাজার ৭৫০ টাকা। পটুয়াখালীর মেসার্স হাওলাদার কনস্ট্রাকশন ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ২০২১ সালের ১১ই ডিসেম্বর রাস্তার কাজ শুরু করে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজের শুরু থেকেই ২-৩ নম্বর ইট ও কাদামাটির বালু ব্যবহার করে কাজ করায় স্থানীয়দের আপত্তির মুখে খারাপ ইট দিয়ে সাময়িক কাজ বন্ধ করলেও বর্তমানে একই নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
নিচকাটা গ্রামের বাসিন্দা মো. দেলোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট। ইটের খোয়া হাত দিয়ে চাপ দিলেই গুঁড়াগুঁড়া হয়ে যায়। এ ছাড়াও রাস্তায় বালু ব্যবহারের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে নদীর চর থেকে তুলে আনা কাদামাটি মিশ্রিত বালু। এসব সামগ্রী রাস্তায় ব্যবহারে আপত্তি করলেও ঠিকাদারের লোকজন এতে কর্ণপাত করছে না। উল্টো চাঁদাবাজি মামলা দেয়ার হুমকি প্রদান করে। একই গ্রামের বাসিন্দা জসীম উদ্দীন বলেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথম রাস্তা পাকাকরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু খারাপ ইট দিয়ে রাস্তা তৈরি হলে বেশিদিন টিকবে না। এজন্য নির্মাণে বাধা দিলে ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। মেসার্স হাওলাদার কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদার মো. আবুল কালাম আজাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিম্নমানের ইট ও নদীর চর থেকে তুলে আনা কাদামাটি মিশ্রিত বালু দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করিনি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল রাস্তা যাতে নির্মাণ না হয় সে জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মোহর আলী বলেন, এ বিষয় ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে সরজমিনে দেখার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।