× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশের নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৮ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কীভাবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং কীভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে ইইউ’র আগ্রহ আছে। চলমান ঘটনা প্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইইউ। তবে নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষককে বাংলাদেশে আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ইইউ। ইইউ চায় বাংলাদেশে অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এছাড়াও র‌্যাব’র বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য ইভান স্টেফানেক যে চিঠি দিয়েছেন তা তার ব্যক্তিগত বিষয় বলে মনে করেন ইইউ দূত।
গতকাল রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন হোয়াইটলি।


চার্লস হোয়াইটলি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে একটি আইন সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন যে, সামনের নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ। তার এই কথায় আমরা উৎসাহিত বোধ করছি। প্রতিবছর ৩০টি দেশে পর্যবেক্ষণের জন্য ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় এবং ২০২৩ সালে কোনও ৩০টি  দেশে পাঠানো হবে সেটি এখনও নির্ধারিত হয়নি।  

তিনি বলেন, র‌্যাব’র ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইইউ পার্লামেন্টে চিঠির ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। এটি ব্যক্তিগত চিঠি। একজন ব্যক্তির অবশ্যই ব্যক্তিগত মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। আমি মনে করি এটিও তাই। র‌্যাবকে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। র‌্যাব’র নিষেধাজ্ঞা তুলতে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি ইইউতে ২৫ বছর ধরে কাজ করছি। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে ৭০০ এর বেশি সদস্য আছে। একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি যেটি ভালো মনে করেছেন, সেটি লিখেছেন। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নয়।

তিনি বলেন, ওই চিঠি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট, ইউরোপিয়ান কমিশন বা ইউরোপিয়ান কাউন্সিল থেকে আসেনি। ওই সংসদ সদস্যকে কেউ সাহায্য করেছে কী-না এ বিষয়ে আমার জানা নেই। এখানে প্রথা হচ্ছে কোনো চিঠি লেখা হলে সেটির জবাব দেয়া হয়। আমি নিশ্চিত ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঠিক সময়ে ওই চিঠির উত্তর দেবেন। তবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের উদ্বেগ আছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে একটি রেজুলেশন গ্রহণ করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি আমাদের নজরে আছে। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণভাবে নিজ দেশে ফিরে যাক সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং কথা বলছি। আশা করি, একটি সমাধান আসবে। তবে বাংলাদেশ যেভাবে এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে, তা অনন্য।

তিনি আরও বলেন, ইইউ এবং বাংলাদেশ বহুমাত্রিক সম্পর্ক আরও উন্নত করার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশে রাজনীতির পরিবেশ স্থিতিশীলতা জরুরি। কারণ এটি বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে। বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়ন সন্তোষজনক। বাংলাদেশের অর্থনীতি দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। তথ্য-প্রযুক্তি খাতে ইইউ বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চাই।

তিনি বলেন, বিশ্ব জলবায়ু বিপর্যয়ের শিকার। জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় ইইউ ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করছে। আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব। এ সময় সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ক্যান্টিন, বাগান ও ডিজিট্যাল ল্যাব পরিদর্শন করেন এবং সদস্যদের কল্যাণে ডিআরইউ’র গঠনমূলক সকল উদ্যোগের ভূয়সী প্রসংশা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর