দীর্ঘ ৫০ বছর পর যদি সমাধান না হয়, বাঁচার তাগিদে আমাদের বিকল্প উপায় বের করতেই হবে ।
বাংলাদেশ বাংলাদেশের মতোই চলবে। ভারত ভারতের মতোই চলবে। জাতীয় স্বার্থে কোনদেশই আপোষ করেনা। বাংলাদেশের উচিৎ হবেনা নিজের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে ভারতের জন্যে অপেক্ষা করা। তেমনই ভারতেরও উচিৎ হবেনা শিলিগুড়ি করিডর জুজুর ভয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করা।ভারতের উচিৎ হবে বাংলাদেশকে চীনের পক্ষ ভেবে নিয়ে শিলিগুড়ি করিডরের নিরাপত্তা কঠোরতমভাবে সুসংহত করা। উভয় দেশই জানে ভূরাজনীতিতে কোন স্হায়ী বন্ধু বা শত্রু নেই। বাংলাদেশ কোনযুক্তিতে অনির্দিষ্টকালের জন্যে ভারতের জন্যে অপেক্ষা করবে?
দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের; এই দুর্ভাগা জাতিটা বারংবার বিদেশী দালালদের হাতে নিজেদের ভাগ্যকে বলি দিয়েছে। তা না হলে চীনের মত একটা উন্নয়ন সহযোগী দেশকে পেয়েও তাকে এই জাতিটার ভাগ্যন্নোয়নের অংশীদার করতে পারলো না। শুধুমাত্র এদেশীয় ভারতের পা চাটা দালালদের কারনে চীন (আজকের আধুনিক মালয়েশিয়া গড়ার অবদান চীনের, বাংলাদেশও অনুরুপ উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে আধুনিক হইতে পারতো চীনের সহযোগিতায়) হয়তো আর সেই রকম বিনিয়োগ নাও করতে পারে। শেখ হাসিনা ভারত ছেড়ে চীনের সাথে বন্ধুত্ব গড়লে আগামী দশ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিক দিয়ে যে স্থানে পৌছবে, ভারতের সাথে থাকলে এক হাজার বছরেও তা পারবে না বরং পিছিয়ে যাবে; আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা বন্ধুত্বের মর্যাদা সম্মান এত বেশি দিতে শিখেছি যে, সেই ভারতকেই আমাদের মাথার উপড় জোর করে চাপিয়ে রাখা হচ্ছে।
ধমকাচ্ছো নাকি?
ভারত কোনদিনই বাংলাদেশকে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা দিবে না। তারা শতভাগ নিজের স্বার্থ ছাড়া কোন দিনই প্রতিবেশীর স্বার্থ দেখে না। বাংলাদেশকেই তার সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে হবে ।‌‌‌‌ভারত কী মনে করলো সেটা ভাবা আমাদের জন্য জরুরি বিষয় নয়।
বিশ্বের ইতিহাসে স্থায়ী বন্ধু-শত্রু বলে কিছু নেই। যার যার স্বার্থে বন্ধু হয় শত্রু আর শত্রু হয় বন্ধু। আমেরিকা ও সম্পর্ক একসময় বন্ধুত্বের ছিলো- এখন তারা জাত শত্রু। ভারত আমেরিকার মধ্যে একসময় ভালো সম্পর্ক ছিলোনা- এখন তারা পরষ্পরের সহযোগী। এখানে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থটাই মুখ্য। সে হিসেবে ভারতও চিরকাল বাংলাদেশের বন্ধু থাকবে বিশ্বাস করা কঠিন। বাংলাদেশকে নিজেদের ভবিষ্যতের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এগোতে হবে। গত কয়েক বছরে দেশের যে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে তিস্তার পানির অভাবে তা অপূর্ণ থাকতে পারেনা। তিস্তার পানির উপর দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষের জীবন জীবীকা নির্ভরশীল। সুতরাং এই বিষয়টা উপেক্ষা করার বিষয় না। ভারতের সাড়া না ফেলে অন্য চিন্তা ভাবনা করা উন্নয়নের মহাসড়কে উঠা সরকারের দায়িত্ব।
amir
৩১ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার, ৫:৪৬তিস্তার পানি বন্টন, ভারত বিলম্ব করলে বাংলাদেশ বিকল্প পথে হাঁটবে------তারমানে বাংলাদেশে এখনও বিকল্প পথে হাঁটা শুরু করেনি, এত ভোগান্তির পরেও, ঝুলিয়ে রাখার পরেও বাংলাদেশের বোধোদয় হয়নি , আশ্চর্য!