বাংলা চলচ্চিত্রের আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা ময়ূরী। নব্বইয়ের দশক থেকে এখন পর্যন্ত তার তিন শতাধিক ছবি মুক্তি পেয়েছে। তবে এখন আর অভিনয়ে নেই। নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। নিজের মতো করে জীবন উপভোগ করছেন। তার দেখা পাওয়াও খুব দুষ্কর। গণমাধ্যমেরও মুখোমখি হতে চান না একদমই। পরিবারকে নিয়েই তার এখন যত ব্যস্ততা।
তবে সম্প্রতি দীর্ঘদিনের আড়াল ভেঙে তিনি আবারো দেখা দিয়েছেন। ফিরেছেন চেনা আঙিনায়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে মিশা-জায়েদ এবং কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের পরিচিতি সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। তবে নির্বাচনে কোনো পদে দাঁড়াননি। জানা গেছে, সমিতির ভোটার হওয়ায় তাকে দুইটি প্যানেলেই আমন্ত্রণ জানানো হয়। দুটি অনুষ্ঠানেই ময়ূরীকে বেশ উৎফুল্ল দেখা যায়। অনেকদিন পর সহকর্মীদের কাছে পেয়ে আবেগাপ্লূতও হয়ে পড়েন। মৌসুমীকে জড়িয়ে ধরে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরালও হয়েছে। এছাড়া অনেকের সঙ্গে খোশগল্প করেন। হয়তো ভাগাভাগি করেছেন নিজের সুখ-দুঃখের কথা। কারণ শিল্পীদের কাছে চলচ্চিত্রাঙ্গন যে আরেকটি পরিবারের মতো। গতকাল নির্বাচনের দিনও তিনি উপস্থিত ছিলেন। সবার সঙ্গে কুশলবিনিময় করতে দেখা যায় তাকে। সর্বশেষ ১৩ বছর আগে চলচ্চিত্রের শেষ কাজটি করেছিলেন ময়ূরী। এরপর সংসার জীবনে মনোযোগী হয়েছেন। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করেছেন ময়ূরী। পেশায় মাদ্রাসার শিক্ষক স্বামী মোহাম্মদ জুয়েল আহমেদকে নিয়ে সুখেই আছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ময়ূরী বেশ সক্রিয়। নিজের সংসার জীবন, আনন্দ-দুঃখ শেয়ার করেন। ময়ূরীর দুই সন্তান, তাদের নিয়ে এখন সমস্ত চিন্তা-ভাবনা। চলচ্চিত্র নিয়েও ভাবেন এই নায়িকা। অশ্লীল সিনেমার কারণে সমালোচিত হলেও এরআগে এক ভিডিওবার্তার মাধ্যমে দাবি করেছিলেন, কখনো অশ্লীলতা করেননি। ‘মরণ কামড়’, ‘মরণ নিশান’, ‘ইজ্জতের লড়াই’, ‘টক্কর’, ‘বোবা খুনি’, ‘আজব গজব’, ‘ডাকু ফুলন’, ‘মৃত্যুর মুখে’সহ অনেক আলোচিত ছবির এই নায়িকা সেই ভিডিওতে আরও বলেন, আমি অশ্লীলতা করিনি। তারা (নির্মাতা-প্রযোজক) কাটপিস লাগিয়ে শুটিংগুলো করেছে। আপনারা যে যা দেখেছেন, আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি কখনোই এতো বাজে কিছু করিনি, যেটা সমাজের মানুষ দেখতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, আমি করেছি। কিন্তু এতোটাও খারাপ কিছু করিনি।