× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঘাটাইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ উপজেলা প্রশাসনের

বাংলারজমিন

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২৯ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ১ লাখ ২৩ হাজার ২৪৪টি বিত্তহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে জমি ও পাকা ঘর প্রদান করা হয়। ওই প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় ঘাটাইল উপজেলায় ২৭৬টি পরিবারকে পাকা ঘর বুঝিয়ে দেন উপজেলা প্রশাসন। এবার সেই সব ভূমিহীন মানুষকে স্বাবলম্বী করার ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের যে বা যিনি যার যার পেশায় দক্ষ ও প্রশিক্ষিত তাদের সেসব পেশায় টেকসই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেন। জানা য়ায়, এ পর্যন্ত উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নের ১৭টি এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছে ২৭৬টি পরিবার। আরও ৬০টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণকাজ শেষ হলেই সেগুলো ভূমিহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। ইতিমধ্যে উপজেলার রসুপুর ইউনিয়নে শালিয়াবহ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে আশ্রয়ণ প্রকল্প সংলগ্ন দেড় একর আয়তনের একটি খাস পুকুর প্রভাবশালীদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের কাছে লিজ দেয়া হয়েছে।
গঠন করে দেয়া হয়েছে জেলে সমবায় সমিতি। এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে পরিবার রয়েছে ২১টি। তারা এখন পুকুরে মাছ চাষ করে নিজেদের অভাব দূর করার স্বপ্ন দেখছেন। জেলে সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেন, খাস পুকুরটি আমাদের লিজ দেয়ায় অনেক উপকার হয়েছে। পুকুরে মাছ চাষ এবং শ্রমিকের কাজ করে উপার্জিত অর্থে আমাদের অভাব ঘুচবে। তিনি এ উদ্যোগের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়াও উপজেলার অন্যান্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের আলাদা আলাদাভাবে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অনেকেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের আশেপাশের পতিত জমিতে সবজি চাষ করছেন। অনেকেই মুদি দোকান করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, ইউএনওসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের নিজ নিজ পেশায় দক্ষ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও জানান, ভাসমান হিজরা সম্প্রদায়ের ৬ জনকে আশ্রয়ণের ঘর প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলার আশ্রয়ণে ঠাঁই পাওয়া গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের ব্যবস্থা করে টেকসই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সমাজের একটি মানুষকে গৃহহীন ও খাদ্য সংকটে ভুগতে হবে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর