× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পাকুন্দিয়ায় ইভিএম-এ ইউপি নির্বাচনের মহড়া আজ

বাংলারজমিন

আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে
২৯ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার

কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ শনিবার উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৯৩টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোতে ইভিএম-এ মাধ্যমে মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হবে। সোমবারের মূল নির্বাচনের আগে এটাকে মহড়া হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মক ভোটিংয়ের মাধ্যমে ভোটারদের ইভিএম-এ ভোটদানের সঙ্গে পরিচয় করানো হবে যেন তাদের মূল নির্বাচনে ইভিএম-এ ভোট দিতে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম-এর মাধ্যমে মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হবে বলে জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম জানিয়েছেন। এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সময়ে এসে প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে। প্রার্থীরা বিরামহীন ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ক্ষণে ক্ষণে বদলাচ্ছে নির্বাচনের দৃশ্যপট। দলীয় প্রতীকের নির্বাচন হলেও চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোট ৫৩ জন প্রার্থীর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ২০ জন।
দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী, ৭টি ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী, ৩টি ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এবং ১টি ইউনিয়নে জাসদ প্রার্থী রয়েছেন। ৩৩জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে তিন বর্তমান চেয়ারম্যানসহ ১৩ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং ৭ ইউনিয়নে বিএনপির ১০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। বাকি ১০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তাদের মধ্যেও একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী রয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঘিরে ইউনিয়নগুলোতে চরম গৃহদাহ চলছে ক্ষমতাসীন দলটিতে। প্রার্থী ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। দলের এই বিভক্তির কারণে বিরাজমান দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের বিষয়টি ফের আলোচনায় ওঠে এসেছে। দল মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীদের গোপন সমর্থন দিয়ে নিজেদের দল ভারী করার কৌশল নিয়েছে দু’টি গ্রুপই। এতে বিদ্রোহী শিবিরে দেখা দিয়েছে চাঙাভাব। নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন তারা। সরব প্রচারণায় এরই মধ্যে বিদ্রোহীরা জমিয়ে তুলেছেন ভোটের মাঠ। শত্রুর শত্রুকে মিত্র বানানোর এমন খেলায় চরম বেকায়দায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ এই দ্বন্দ্বের জেরে বিবাদ, সংঘাত ও সংঘর্ষের আশঙ্কাও বাড়ছে। প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনায় সেই উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার শামীম আহম্মদ (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাজী আ. আওয়াল ভূঁইয়া (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম (হাত পাখা) এবং পাঁচ স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহীন আলম জনী (চশমা), বুলবুল আহমেদ (মোটর সাইকেল), মুহাম্মদ আব্দুছ ছাত্তার (ঘোড়া), একেএম ফজলুল হক বাচ্চু (আনারস) ও ফরহাদ আহমেদ আপন (অটোরিকশা)।
চরফরাদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে ১০ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল মান্নান (নৌকা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. মজিবুর রহমান (হাতপাখা) এবং তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম মানিক (চশমা), মো. সোহরাব উদ্দিন (আনারস) ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দীন (মোটরসাইকেল)।
এগারসিন্দুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য পদে ১৬ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী নূরু জ্জামান মিয়া বাবু (নৌকা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. রায়হান মিয়া (হাতপাখা) এবং তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বজলুল করিম বাবুল (আনারস), মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন (ঘোড়া) ও মো. আসাদুজ্জামান (মোটরসাইকেল)।
বুরুদিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে ১০ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডের (একটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যতীত) সদস্য পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহবুবুর রহমান (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মতিউর রহমান (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী জয়নাল আবেদিন (হাতপাখা) এবং চার স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজজামান (আনারস), বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজমুল হুদা রুবেল (ঘোড়া), মো. রজব আলী (মোটরসাইকেল) ও মো. মোস্তফা কামাল আকন্দ (চশমা)।
পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে ১৮ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন (নৌকা) এবং ছয় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আ. মান্নান মনাক (অটোরিকশা), আসাদুজ্জামান আসাদ (টেবিল ফ্যান), এমদাদুল হক জুটন (আনারস), মো. জালাল উদ্দিন বাচ্চু (ঘোড়া), মো. আরফান উদ্দিন (চশমা) ও মো. মাছুম মিয়া (মোটরসাইকেল)।
নারান্দী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে ১২ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম (নৌকা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. আরিফ হোসেন ভূঞা (হাতপাখা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ প্রার্থী মো. আজিজুল রহমান তপন (মশাল) এবং তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এনামুল হক সাজু (অটোরিকশা), মো. মুছলেহ উদ্দিন (আনারস) ও রুহুল আমিন (চশমা)।
হোসেন্দী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে ১০ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ২৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহাম্মদ হাদিউল ইসলাম (নৌকা) এবং চার স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মানসুরুল হক (চশমা), মো. মহিববুল্লাহ আল মাহদী (মোটরসাইকেল), বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান আকন্দ (আনারস), মোহাম্মদ নাজমুল কবির (ঘোড়া)।
চন্ডিপাশা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে ১৫ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন (নৌকা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. নূরুল ইসলাম (হাতপাখা) এবং চার স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জিল্লুর রহমান (ঘোড়া), মো. বোরহান আহমদ আপন (মোটরসাইকেল), মো. নাজমুল হুদা (চশমা) ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শামছু উদ্দিন (আনারস)।
সুখিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে ১১ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হামিদ টিটু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. নূরুল ইসলাম (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম (হাতপাখা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক তোতা (আনারস)।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর