নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে ও পরে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বার্তা নতুন করে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করেছে। শামীম ওসমানকে কাছে ডেকে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে ‘অল থ্যাঙ্কস টু ইউ’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশন চলাকালে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়। পরে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে শামীম ওসমান নিজেও তা নিশ্চিত করেন। বিষয়টি শুরুতে চাপা থাকলেও গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধে তিনি বলেন, করোনার কারণে সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর ৫ থেকে ৬ ফুট কাছে কেউ যেতে পারেন না। বিরতির সময় আমি ওনার (প্রধানমন্ত্রী) পেছনের সিটে বসা ছিলাম। ওই সময় আমার পাশে আইনমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকান।
তখন তিনি আমাকে দেখে বলেন, ‘অল থ্যাঙ্কস টু ইউ’। কিন্তু শুরুতে আমি ভেবেছিলাম হয়তো আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যেহেতু আজকে নির্বাচন ক?মিশন নি?য়ে এক?টি আইন পাস হয়েছে। কিন্তু পরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী আবার বলেন, ‘সমস্ত থাঙ্কস শামীম ওসমানকে’। এ বিষয়ে শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘আমাকে ধন্যবাদ দেয়ার পরে আমি কাছে যাই। তখন আমি আমার কিছু কষ্টের কথা বলি। আমার বাবা-মা ও ভাইদের কিছু ঘটনা (কবরস্থানে শশ্মানের মাটি ফেলা) শেয়ার করি। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কষ্ট নিও না। আল্লাহ ওনাদের বেহেশত নসিব করবেন। আর ওনারা তো (খান সাহেব ওসমান আলী, একেএম সামসুজ্জোহা, নাগিনা জোহা, নাসিম ওসমান) শুধু তোমার বাবা-মা না। আমাদের পেছনেও তাদের অবদান আছে। তোমার বাবা (একেএম সামসুজ্জোহা) আমাদের মুক্ত করতে গিয়ে রক্ত দিয়েছেন। আল্লাহ চাচাকে বেহেশ্ত নসিব করুন। আর চাচির (নাগিনা জোহা) কাছে আমরা মানুষ হয়েছি।’ শামীম ওসমান বলেন, ‘কথার শেষের দিকে তিনি আমাকে কাছে ডেকে নেন। আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। তিনি আমাকে প্রাণভরে দোয়া করেন। একজন রাজনীতিকের কাছে এর চেয়ে বড় পাওনা আর কী হতে পারে।’ আমি মনে করি তার দোয়া মানে দেশের ১৬ কোটি মানুষের দোয়া। কারণ তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তার (প্রধানমন্ত্রী) মাতৃস্নেহে আমার কষ্ট লাঘব করেছে।’ এর আগে ২০১৪ সালেও নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর সংসদে দাঁ০ড়িয়ে ওসমান পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।