দেশ বিদেশ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীর বিপুল চাহিদা

আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া থেকে

২০২২-০১-২৯

দেশের ২য় বৃহত্তম শ্রমবাজার এশিয়ার ইউরোপ খ্যাত মালয়েশিয়ায় করোনা ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগেও বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মচারীদের চাহিদা বাড়ছেই। বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে বাংলাদেশিরা মাসে প্রায় লাখ টাকা আয় করছে।  এতে বাড়ছে বাংলাদেশে পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ। ৩য়বারের মতো ক্ষমতায় এসে আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বাংলাদেশিরা খুবই কর্মঠ ও পরিশ্রমী, তারা যেকোনো কাজ করতে পারে আর অপরদিকে মালয়েশিয়ানরা অলস তারা রোদে যেতে পারে না ভারী কাজ করতে পারে না। এ সময় মাহাথির মজা করে আরও বলেন, মালয়েশিয়ান মেয়েরা যেভাবে বাংলাদেশি ছেলেদের বিয়ে করে সংসার করছে পরে মনে হয় আর মেয়েই খুঁজে পাবে না বিয়ের জন্য। বাংলাদেশি কর্মীদের অব্যাহত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দীর্ঘ ৩ বছরেরও বেশি সময় কলিং ভিসা বন্ধ থাকার পর গত ডিসেম্বরে শুধুমাত্র বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য দু্থদেশের মন্ত্রী পর্যায়ে এমওইউতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কোতাবারু প্রদেশের মিজান গ্র্যান্ড কনস্ট্রাকশন গ্রুপে কর্মরত কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মো. মাইনুদ্দিন বলেন, মালয়েশিয়ায় সব সেক্টরের প্রচুর কর্মী প্রয়োজন, সবচেয়ে বেশি কর্মী প্রয়োজন নির্মাণ সেক্টরে, শ্রমিকের অভাবে কারখানা ও সার্ভিস সেক্টরে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।  আর এই নির্মাণ সেক্টরে ইনকামও বেশি অন্যন্যা সেক্টর থেকে। একজন সাধারণ কর্মী ৮ ঘণ্টা বেসিক ডিউটি ও অভারটাইম করে ৩ থেকে ৫ হাজার রিংগিত আয় করছে। তবে যারা কাজ জানেন এবং এখানে সাব কন্ট্রাক্টরি করেন তাদের ইনকাম লক্ষাধিক টাকা।
মিজান গ্র্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সুপারভাইজার চাঁদপুরের শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘ সময় ধরেই এ কোম্পানিতে কাজ করছি, অনেকে মনে করে কনস্ট্রাকশন সেক্টরে পরিশ্রম বেশি এটা আসলে সত্য নয়, কারণ এখানে কংক্রিট মিক্সিং থেকে পরিবহন সব কাজ করা হচ্ছে আধুনিক টেকনোলজির যন্ত্রপাতির সাহায্যে। পরিশ্রমের কাজ নেই। তিনি আরও বলেন, এই নির্মাণ প্রজেক্টে সাড় ৩ থেকে ৪ হাজার রিংগিত মাসে আয় করা যাচ্ছে। যা অন্য সেক্টরে এত ইনকাম হয় না।
মিজান গ্র্যান্ড এর স্বত্বাধিকারী বাংলাদেশি দাতু মিজানুর রহমান বলেন, আমার অর্ধশত কোটি টাকার  ৮টি কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট চালু রয়েছে, আরও কৃষি খামার আছে বেশ কয়েকটি, এসব খাতে আরও ২ হাজার কর্মী প্রয়োজন,  বর্তমানে সহস্রাধিক কর্মী কর্মরত আছে, কিন্তু প্রমিক সংকটের কারণে আমার প্রজেক্টের কাজ বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি না তাই জরুরি ভিত্তিতে আমার প্রজেক্টের জন্য কর্মী প্রয়োজন।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status