গত বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওভাল অফিসে গিয়ে ১৭টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন জো বাইডেন। এর মধ্য দিয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বেশ কিছু বিতর্কিত নীতি বদলে দিয়েছিলেন বাইডেন। করোনা সংকট মোকাবেলা, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন সংক্রান্ত ইস্যুগুলোসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নির্বাহী আদেশগুলো দেওয়া হয়।
তবে, ওই নির্বাহী আদেশগুলোর মধ্যে একটি ছিল বেশ চমকপ্রদ। সেটি হলো- রাজনৈতিকভাবে সব ধরনের নিয়োগকারীদের প্রশাসন ছেড়ে যাওয়ার পর দুই বছরের জন্য লবিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং তার পাশাপাশি নৈতিকতার অঙ্গীকারে স্বাক্ষর করা। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো তখন বলেছিল, সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং বজায় রাখার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন ওই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন বলে জানিয়েছেন।
দ্য হিলের এক প্রতিবেদন অনুসারে ওই আদেশে বলা হয়- চাকরির শর্ত হিসেবে, কর্মকর্তারা কোনভাবেই নিবন্ধিত লবিস্টদের কাছ থেকে উপহার গ্রহণ করতে পারবেন না। এছাড়া, তথাকথিত 'রিভলভিং ডোর' (লবিং করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি ত্যাগের অভ্যাস) এর উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়- যেসব নিয়োগকারীরা লবিং করতে সরকারি চাকরি ছেড়ে যাবেন তাদের ওই সময় থেকে দুই বছরের মধ্যে কোনো কাভারড এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ অফিসিয়ালদের (প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রেসিডেন্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ প্রভৃতি) কাছে লবিং করা বা কোনো বিদেশি সরকারের জন্য লবিং করা নিষিদ্ধ করা হলো।
অন্যদিকে, প্রশাসনে কাজ করা প্রাক্তন নিবন্ধিত লবিস্টরা নিজেদের নিয়োগের দুই বছরের মধ্যে যেসব বিষয়ে তারা আগে লবিং করেছিলেন বা জড়িত ছিলেন সেসব কোন ধরনের কাজেই অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তারা আগে লবিং করেছিলেন এমন কোনো এজেন্সিতেও চাকরি চাইতে পারবেন না।
এছাড়া, কর্মকর্তাদের তাদের প্রাক্তন নিয়োগকর্তার কাছ থেকে কোনো ধরনের বেতন বা অন্যান্য নগদ অর্থ গ্রহণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও ওই আদেশে তুলে ধরা হয়।
ওদিকে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের অফিস ত্যাগের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন যার মাধ্যমে তার প্রশাসনের সদস্যদের পাঁচ বছরের জন্য লবিং করার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।