× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাইকোর্টের রায় উপেক্ষা করে ঢাবিতে শিক্ষক নিয়োগের পাঁয়তারা

শেষের পাতা

পিয়াস সরকার
২৯ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষক নিয়োগে আদালতের রায় অবমাননার অভিযোগ মিলেছে। শিক্ষক নিয়োগে আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও নিয়োগ দিচ্ছে ইনস্টিটিউটটি।

সূত্র মতে ২০১৯ সালের ৩০শে এপ্রিল লেদার ইনস্টিটিউটে গণিত বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে ৫ জন প্রভাষক এবং ৫ জন সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞাপনের সকল শর্ত পূরণ সাপেক্ষে বিভাগীয় সি অ্যান্ড ডি কমিটি ভাইভা পরীক্ষা নেয়ার জন্য সুপারিশ করে। কিন্তু তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কয়েকজন প্রার্থীকে ‘অযৌক্তিক’ কারণে ভাইভা কার্ড না দিয়ে অন্যদের ভাইভা নেয়। এ প্রেক্ষিতে বঞ্চিতদের মধ্যে গণিত বিষয়ের একজন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে গণিত বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া মামলা চলাকালীন সময়ে স্থগিত ঘোষণা করেন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায় উপেক্ষা করে গত ২০২০ সালের ১লা ডিসেম্বর আবারো গণিত বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরে আদালত অবমাননার মামলা করা হলে হাইকোর্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত করেন। এবং এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার পরও গত বছর ২৩শে সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেদার ইনস্টিটিউটে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যেখানে কোনো বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়নি।


কোন বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ হবে এবং কোন যোগ্যতা নিয়ে প্রার্থীরা আবেদন করবে তা উল্লেখ না থাকার এমন বিজ্ঞপ্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আর কখনো হয়নি বলে অভিযোগ মেলে। হাইকোর্টের রায় উপেক্ষা করে এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নেয় ৩০শে ডিসেম্বর। যেখানে সহকারী অধ্যাপক পদে ভাইভা দেন গণিত বিষয়ের মাহবুবুর রহমান খান এবং তুষার সরদার নামে ২ প্রার্থী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তাতে উনারা প্রশাসনিক পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। প্রশাসনিক পদে থাকা কেন অবৈধ হবে না এ মর্মে আরও একটি মামলা হচ্ছে খুব শিগগিরই। এসব ভুয়া বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণিত বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের জন্য যে পাঁয়তারা করছে তা মহামান্য হাইকোর্টকে আবারো অবমাননা করছে।

গণিত বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকার পরও গণিত বিষয়ের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান খান এবং তুষার সরদার এই দু’জনের ভাইভা কীভাবে নেয়া হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে লেদার ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এই বিষয়গুলোর পুরোটাই তো বিশ্ববিদ্যালয় করে। প্রো-ভিসি ও শিক্ষক মহোদয় করেন। এটার পুরো বিষয়টাই ওনার অফিস থেকে করা হয়। এটা আমাদের এখানে কোনোকিছু নাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ড. মাকসুদ কামাল এ বিষয়ে বলেন, ভাইভা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী নিয়েছি। তবে নিয়োগের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয় নাই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর