চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার দেয়া বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, গত ২৭শে জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা নির্বাচন ভবনে এক প্রেস কনফারেন্স করে আমার চিকিৎসা ব্যয় বছরে ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি অবশ্য খরচের প্রকৃত হিসাব প্রদান করেননি। তিনি আমাকে রোগাক্রান্ত ব্যক্তি উল্লেখ করে বলেছেন, আমি কখনও আইসিইউতে বা কখনও সিসিইউতে থাকি। কিন্তু ইচ্ছা করলেই কেউ আইসিইউতে বা সিসিইউতে থাকতে পারে না। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে বিশদভাবে অবহিত করা প্রয়োজন মনে করি।
প্রকৃতপক্ষে আমি নির্বাচন কমিশনার হওয়ার সময় থেকেই প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত। ক্যানসার কালক্রমে শরীরের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। আমি সিঙ্গাপুর ও ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চার জন চিকিৎসকের মেডিকেল বোর্ড আমাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনারদের চিকিৎসাবিধি অনুযায়ী আমার চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে। তবে গত দুই বছরে আমি চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে বিদেশ যাইনি। বরং এই দুই বছরে চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ নিজের খরচে আমি আমেরিকা গিয়েছি। বর্তমানে কর্মরত নির্বাচন কমিশনারগণ এবং অবরসরপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনারগণ সকলেই প্রাপ্যতা ও বিধি অনুযায়ী কমিশন থেকে চিকিৎসা খরচ নিয়ে থাকেন। কেএম নূরুল হুদা নিজেও নির্বাচন কমিশন থেকে চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার হিসাবে অসুখের যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া আমার মৌলিক অধিকার। চিকিৎসার কারণেই আমি এখন পর্যন্ত বেঁচে আছি। নির্বাচন বিষয়ে আমার ভিন্নধর্মী অবস্থানের নিমিত্ত সিইসি তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য চিকিৎসার বিষয় উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে এহেন নিকৃষ্ট পথ বেছে নিয়েছেন।
mohibur
২৯ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার, ২:০৮right