নির্বাচিত কলাম
বেহুদা প্যাঁচাল
মেট্রোরেল: যে আশা পূরণে ব্যর্থ
শামীমুল হক
৪ মে ২০২৪, শনিবারআমার দেখা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সুশৃঙ্খল মেট্রোরেল। প্ল্যাটফরমগুলোতে সবসময় দাঁড়িয়ে আছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। একটু ময়লা কোথাও দেখতে পেলেই ছুটে যাচ্ছে তারা। চলন্ত সিঁড়ি আর লিফ্ট রয়েছে যাত্রীদের জন্য। আর সাধারণ সিঁড়ি তো আছেই। সারিবদ্ধভাবে মানুষ টিকিট কাটছেন। কোনো হইচই নেই। আবার সারিবদ্ধভাবে টিকিটটি পাঞ্চ করে প্ল্যাটফরমে প্রবেশ ও বের হচ্ছেন। নিয়ম মেনে যাত্রীরা ট্রেনে উঠছেন। কোনো সমস্যা হলে যাত্রীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন মেট্রোরেলের কর্মীরা। সবচেয়ে বড় কথা প্ল্যাটফরমে প্রবেশ করলে মনে হয় এটি বাংলাদেশ নয়। অন্যকোনো দেশে আছি। স্ক্রিনবোর্ডে দেখানো হচ্ছে ট্রেন স্টেশনে পৌঁছাতে আর কয় মিনিট লাগবে। আবার মেট্রোরেলে ঘোষণা আসছে ট্রেনটি কোথায় যাবে। পরবর্তী স্টেশন কোনটি। সবই যেন নিয়মে বাঁধা। শোনা যাচ্ছে, এই মেট্রোরেল নাকি নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। যদি এমনটা হয় তাহলে তো পোয়াবারো। নারায়ণগঞ্জ চলে আসবে রাজধানীর আরও কাছে। তবে অনেকেই আশা করছেন রাজধানীর অন্যান্য রুটেও মেট্রোরেল সংযুক্ত করা হোক। এই সুবিধা যেন গোটা ঢাকাবাসী পান সেই ব্যবস্থা নেয়া হোক। কেউ কেউ বলছেন, সড়ক খাতে যত সব প্রকল্প নেয়া হয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে সফল হলো মেট্রোরেল
অফিস থেকে বেরিয়ে সোজা মেট্রোরেলে চড়লাম। মতিঝিল অফিস থেকে কাওরান বাজার মেট্রোরেল স্টেশনে পৌঁছাতে মাত্র ১৬ মিনিট সময় লেগেছে। আরে দোস্ত ১৬ মিনিটে তো মতিঝিল থেকে বাসে উঠতেই পারতাম না। কাওরান বাজার মেট্রোরেল স্টেশনে মোবাইল ফোনে একজন বলছিলেন তার কোন বন্ধুকে। ফোনের এ প্রান্তের কথা শুনেই বুঝা যায় মেট্রোরেল নিয়ে তার অভিব্যক্তি। শুধু এই ব্যক্তিই নন, লাখ লাখ যাত্রী প্রতিদিন মেট্রোরেলে যাতায়াত করছেন। একবার যিনি মেট্রোরেলে চড়েছেন তিনি আর অন্য কোনো বাহনে চড়বেন না- এটা হলফ করে বলা যায়। যেমন আমি এখন প্রতিদিন মেট্রোরেলে চলাচল করি। আফসোস হয় এই মেট্রোরেলের ব্যবস্থা কেন আরও আগে বাংলাদেশে করা হয়নি। পৃথিবীর বহু দেশে মেট্রোরেল চলাচল করছে বহু আগে থেকেই। এই তো পাশের দেশ ভারতের কলকাতায় বহু আগে পরিবহনে মেট্রোরেল যুক্ত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ পারেনি। আসলে কেউ চিন্তাই করেনি। বর্তমান সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক ও উন্নত করতে মেট্রোরেলের চিন্তা মাথায় আনে। শুধু তাই, এক্ষেত্রে যানজট নিরসনের বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়। কেউ কি কোনোদিন ভেবেছিল উত্তরা উত্তর থেকে মাত্র ৩৩ মিনিটে মতিঝিল পৌঁছাতে পারবে? না। কিন্তু সেটা এখন সম্ভব হচ্ছে। একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি নিয়মিত মেট্রোরেলের যাত্রী। থাকেন মিরপুর। মুখে হাসি নিয়ে গর্ব করে বলছিলেন- মেট্রোরেল আমার জীবনটাকেই বদলে দিয়েছে।
আগে মিরপুর থেকে মতিঝিলে যেতে সময় লাগতো কমপক্ষে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। এর উপর বাসে বসে থাকার যন্ত্রণা। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা তো আছেই। তার উপর কন্ডাক্টর আর ড্রাইভারের বাজে আচরণ ছিল বাড়তি পাওনা। এসব পেরিয়ে মিরপুর থেকে মতিঝিল এসে একটি কাজ করে আবার বাসায় ফিরতে রাত হয়ে যেতো। এই মেট্রোরেল আসার পর আমি কমপক্ষে পাঁচটি কাজ করতে পারছি। মিরপুর থেকে সোজা মতিঝিল। সেখানকার কোনো প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারের কাজ শেষে আবার মেট্রোরেলে চলে যাই শাহ্বাগ। সেখানকার কাজ শেষে ফের যাই ফার্মগেট। এভাবে আগের চেয়ে পাঁচগুণ আয় বেড়েছে দিনে। অর্থাৎ আগে যেখানে দিনে একটি কাজ রাখতাম এখন দিনে পাঁচটি কাজ রাখছি। এবং খুব সহজে সেসব কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছি। এর জন্য মেট্রোরেল আমার কাছে আশীর্বাদ। আগেই বলেছি আমি মেট্রোরেলে চলাচল করি। কিন্তু কীভাবে করি? আমার বাসা রায়েরবাগ। সেখান পর্যন্ত তো মেট্রোরেল চলাচল করে না। তাহলে? যেদিন মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল শুরু করে সেদিনই স্থায়ী কার্ড করে নেই। ক’দিন পরপর রিচার্জ করি। আমি রায়েরবাগ থেকে বাসে কোনোদিন মতিঝিল আবার কোনোদিন প্রেস ক্লাব নামি। যেখানেই নামি সেখান থেকে মেট্রোরেলে কাওরান বাজার চলে আসি অতি অল্প সময়ে। এতে লাভ হলো শাহ্বাগ, বাংলামোটর আর কাওরানবাজারের যানজটের আজাব থেকে মুক্তি পাই। কিন্তু রায়েরবাগ থেকে মতিঝিল কিংবা প্রেস ক্লাব আসতে আগের আজাব ভোগ করতে হয়। হানিফ ফ্লাইওভার করা হয়েছিল যানজটমুক্ত হয়ে মাত্র ৫ মিনিটে এই ফ্লাইওভার পাড়ি দেয়ার জন্য। প্রথম প্রথম ক’দিন এভাবেই চলছিল। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই গোটা ফ্লাইওভার যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে। যাত্রাবাড়ী কাজলা মুখ থেকে শুরু হয় যানজট। সেই যানজট পেরিয়ে কিছুটা এগুলে ফের সায়েদাবাদ কিংবা রাজধানী সুপার মার্কেটের ওখানে এসে গাড়ির গতি শ্লথ হয়ে যায়। আস্তে আস্তে ফ্লাইওভার পার হতে ঘণ্টা পেরিয়ে যায়।
ফ্লাইওভার পেরুলে মতিঝিল যেতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাত মিনিট। মেট্রোরেল আমাকে একপ্রান্তের যানজট থেকে রক্ষা করেছে। কিন্তু আরেকপ্রান্তের যানজট মাথায় নিয়েই আমাকে চলাচল করতে হয়। তাতেও আনন্দ। মেট্রোরেলের হাই ভোল্টেজের এসি একেবারে শীতল করে দেয় শরীরকে। আর সময় শীতল করে মনকে। তাই মাঝে-মধ্যে জোর গলায় বলি কেন যে, মেট্্েরারেল রায়েরবাগ পর্যন্ত দেয়া হলো না। কিংবা যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত নিলেও আমি ফ্লাইওভারের আজাব থেকে মুক্তি পেতাম। অবশ্য ফ্লাইওভারের এই যানজট নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় একাধিক রিপোর্ট হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। কেন এই যানজট লেগে থাকে? এর থেকে পরিত্রাণ কি? এটা দীর্ঘ সময়েও কর্তৃপক্ষ বের করতে পারেননি। কিংবা ইচ্ছা করে বের করেন না। ইদানীং অবশ্য গরমের কারণে দুপুর টাইমে সহজে ফ্লাইওভার পার হওয়া যাচ্ছে। সেটাও গুলিস্তান লেনে। কিন্তু চানখাঁরপুর লেনে তীব্র জট প্রতিদিনের চিত্র। যাকগে সেসব কথা। মেট্রোরেল যে মানুষকে কী সুবিধা দিয়েছে তার বর্ণনা ইতিমধ্যে গোটা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। তাইতো প্রতিটি মেট্রোরেলে যাত্রী গিজগিজ করে। যাত্রী আর যাত্রী। কিন্তু কারও কোনো ক্লান্তি নেই। সবার মুখেই যেন জয়ের হাসি। তারপরও মেট্রোরেল মানুষের মানে যাত্রীদের অনেক আশা পূরণে ব্যর্থ। প্রথম কথা হলো- পরিবহন কেন সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে। শুক্রবার মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা নিরাশ। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় মানুষ আনন্দ সময় কাটাতে চান।
ওইদিন স্বজনদের বাসায় যান অনেকে। আবার অনেকে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে যান। ওইদিন মেট্রোরেল চালু থাকলে তারা সহজে যাতায়াত করতে পারতেন। সবচেয়ে বড় কথা যানজটের যাঁতাকল থেকে মুক্তি পেতেন। আর মেট্রোরেল চলাচলের সময় নিয়েও রয়েছে নানা আলোচনা। যদিও গত রমজানের মাঝামাঝি একঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এ সময় বাড়ানোতে যাত্রীরা সন্তুষ্ট নন। মেট্রোরেলের চলাচল যদি রাত ১২টা পর্যন্ত করা হয় তাহলে ষোলকলা পূর্ণ হবে। এ দু’টি দাবি যাত্রীদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে রইলো। সুবিধা তো যাত্রীরা পাচ্ছেনই। তবে পরিপূর্ণ সুবিধা দেয়া হলে মানুষ আত্মতুষ্টিতে ভুগবে। মন খুলে চলবে। এই তো সেদিনের কথা অফিস থেকে রাত ৯টা ১০ মিনিটে বেরিয়েছি। কাওরান বাজার থেকে মতিঝিল যাবো। দ্রুত গিয়েও শেষ মেট্রোটি ধরতে পারিনি। আমি যখন প্ল্যাটফরমে পৌঁছালাম তখন মেট্রোরেল চলতে শুরু করেছে। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া উপায় ছিল না। আর কোনো মেট্রোরেলও নেই যে যাবো। এখানেও একটি কথা বলা যায়। উত্তরা উত্তর আর মতিঝিল থেকে একই সময় শেষ দু’টি ট্রেন ছাড়া যায় না? উত্তরা উত্তর থেকে ৯টা আর মতিঝিল থেকে ৯টা ৪০মিনিটে শেষ ট্রেন ছেড়ে যায়। এ বিষয়টিও ভাবার দাবি জানাচ্ছি কর্তৃপক্ষের কাছে। এবার আসা যাক মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর আলোচনায়।
বাংলাদেশে যত প্রতিষ্ঠানই আছে আমার দেখা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সুশৃঙ্খল মেট্রোরেল। প্ল্যাটফরমগুলোতে সবসময় দাঁড়িয়ে আছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। একটু ময়লা কোথাও দেখতে পেলেই ছুটে যাচ্ছে তারা। চলন্ত সিঁড়ি আর লিফ্ট রয়েছে যাত্রীদের জন্য। আর সাধারণ সিঁড়ি তো আছেই। সারিবদ্ধভাবে মানুষ টিকিট কাটছেন। কোনো হইচই নেই। আবার সারিবদ্ধভাবে টিকিটটি পাঞ্চ করে প্ল্যাটফরমে প্রবেশ ও বের হচ্ছেন। নিয়ম মেনে যাত্রীরা ট্রেনে উঠছেন। কোনো সমস্যা হলে যাত্রীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন মেট্রোরেলের কর্মীরা। সবচেয়ে বড় কথা প্ল্যাটফরমে প্রবেশ করলে মনে হয় এটি বাংলাদেশ নয়। অন্যকোনো দেশে আছি। স্ক্রিনবোর্ডে দেখানো হচ্ছে ট্রেন স্টেশনে পৌঁছাতে আর কয় মিনিট লাগবে। আবার মেট্রোরেলে ঘোষণা আসছে ট্রেনটি কোথায় যাবে। পরবর্তী স্টেশন কোনটি। সবই যেন নিয়মে বাঁধা। শোনা যাচ্ছে, এই মেট্রোরেল নাকি নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। যদি এমনটা হয় তাহলে তো পোয়াবারো। নারায়ণগঞ্জ চলে আসবে রাজধানীর আরও কাছে। তবে অনেকেই আশা করছেন রাজধানীর অন্যান্য রুটেও মেট্রোরেল সংযুক্ত করা হোক। এই সুবিধা যেন গোটা ঢাকাবাসী পান সেই ব্যবস্থা নেয়া হোক। কেউ কেউ বলছেন, সড়ক খাতে যত সব প্রকল্প নেয়া হয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে সফল হলো মেট্রোরেল।
মেট্রোরেল নিয়ে লিখলেও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে দু’টি কথা বলতে ইচ্ছা হচ্ছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কাওরানবাজার পর্যন্ত এসে কাজ থেমে আছে। কিন্তু এর আগেই ফার্মগেট পর্যন্ত উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু এ সড়কে গণপরিবহন চলতে পারে না। প্রাইভেট গাড়ি চলছে। অবশ্য কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষের জন্য কিছু বিআরটিসি বাস চালু করেছে। কিন্তু গণপরিবহন চলতে দিলে টোল আদায় থেকে সরকারের আয় বাড়তো। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ উপকৃত হতেন। এছাড়া সিএনজিচালিত ফোরস্ট্রোক গাড়ি চালাতে দিলে আরও বেশি সুবিধা হতো। যে কেউ ইচ্ছা করলেই যানজট এড়িয়ে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর চলে যেতে পারতেন অল্প সময়ে। এসব সুবিধা না থাকায় এক্সপ্রেসওয়ে এখনও মনে হয় জনগণের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে।
উপরে মেট্রো ট্রেন স্টেশনে উঠে ঠিক তেমনটিই মনে হয় যেন, সিংগাপুর কিংবা মালয়েশিয় আছি, আর নীচে ভাঙ্গা বাসে গরমের চাপাচাপিতে মিরপুর থেকে মতিঝিল যাবার সময় মনে হয় আফ্রিকার কাল মানিকদের কোন দেশেও নয়, স্বয়ং জাহান্নামে ডুবে গেছি। কারণ, আফ্রিকার অনেক দেশ উন্নয়নে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে গেছে। কাজেই ঢাকা শহর শুধু মেট্রোরেল দিয়ে বদলাবে না। এজন্য প্রয়োজন সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার। সব আগে মেট্রোরেলের নীচে জনপরিবহনে বাসের কুৎসিত চেহারা পাল্টাতে হবে। এতে পরিবেশ বাঁচবে, উন্নত হবে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা।
চমৎকার বাস্তবতা তুলে ধরেছেন প্রাজ্ঞ লেখক জনাব শামীমুল হক। চলুক কলম,ফুটুক সত্য আর অনিয়মের চিত্র। ধন্যবাদ।
চমৎকার বাস্তবতা তুলে ধরেছেন প্রাজ্ঞ লেখক জনাব শামীমুল হক। চলুক কলম,ফুটুক সত্য আর অনিয়মের চিত্র। ধন্যবাদ।
মেট্রো রেলে মোল্লযাত্রীদের আধিক্য অনেক বেশী থাকার কারনে সন্দেহ ও দুঃচিন্তা বারে।এই শ্রেনী সরকারের অগ্রযাত্রার কঠোর সমালোচক আর সরকার প্রদত্ত সুবিধাগুলির সব চেয়ে বেশী সুবিধাভোগী।
২০ বছর মেয়াদের STP- Dhaka ২০০৫ এর কর্মপরিকল্পনায় ঢাকায় তিনটি মেট্রোরেল এর উল্লেখ ছিল। লেখকের মেট্রোরেল তার একটি। ২০ বছর মেয়াদ ২০২৪ সালে শেষ হতে চললো। এই যে আমরা পিছিয়ে পড়লাম তার জন্য দায়ী কারা?
15000 taka beton paay emon lok ki uttara-motijheel metro rail babher korte parbe? 100x 25=2500+rickshaw-1500=tk4000.