প্রথম পাতা
হাসিনার সামনে দুটো অপশন, ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় কিংবা দেশে ফেরা
মতিউর রহমান চৌধুরী
২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবারক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে দুটো অপশন খোলা। হয় ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নতুবা দেশে ফিরে আসা। এই মুহূর্তে আর কোনো বিকল্প নেই। ৭৭ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী এখন ভারতে অবস্থান করছেন। শতাধিক মামলা রুজু হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরমধ্যে হত্যা মামলাই বেশি। গণহত্যার মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতেও যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তার পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় ভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা উবে গেছে। ভারতীয় আইন অনুযায়ী বিনা ভিসায় তিনি ৪৫ দিন থাকতে পারবেন। এর মধ্যে কেটে গেছে ২৭ দিন। যা কিছু করার এর মধ্যেই করতে হবে শেখ হাসিনাকে। শেখ রেহানার অবশ্য পরিস্থিতি ভিন্ন। তার কাছে রয়েছে বৃটিশ পাসপোর্ট। তিনি ইচ্ছা করলে বৃটেন কিংবা অন্য যেকোনো দেশে যেতে পারেন। ভারত এখন কী করবে। তারা কি শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে? যেমনটা দিয়েছিল ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর। ছয় বছর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আশ্রয়ে ছিলেন হাসিনা। যতদূর জানা যায়, ভারত এখন উভয় সংকটে। তারা কি তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক তৈরি করবে? যে সম্পর্ক এখন অনেক তিক্ততায় পরিণত হয়েছে! ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট আগের থেকে অনেক অনেক বেশি এখন। বহির্বিশ্বেও ভারতের সামপ্রতিক তৎপরতা নিয়ে নানা প্রশ্ন দানা বাঁধছে। হাসিনার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। ৩৬ দিনে শেখ হাসিনার শাসন খতম হয়ে যাওয়ার পর ভারত বাংলাদেশের উপর নানা চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সংখ্যালঘু কার্ড ব্যর্থ হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের মানুষজন হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দিয়েছে। ঢালাও অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা প্রচারণা জারি রয়েছে। এই পটভূমিতে ভারত কি শেখ হাসিনাকে প্রোটেকশন দেবে? পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় শেখ হাসিনা এখন উদ্বাস্তু। অন্য কোনো দেশে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা খুবই কঠিন। চীন এবং ভারত হাসিনাকে নিয়ে বাজি ধরেছিল। দুটো দেশই হেরেছে। মাঝখানে জিতে গেছে অন্য একটি দেশ। চীন সতর্ক হয়ে গেছে। ভারত হাসিনাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে এখনো। কিন্তু ইতিহাস অন্য কথা বলে। ১৯৭৫ সনের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ধারণা করা হয়েছিল ভারত ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাবে। কেউ কেউ নানা অ্যাকশনের কথাও বলেছিলেন। বাস্তবে দেখা গেল উল্টোটা। লালকেল্লা ময়দানে জাতীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে বার্তা পৌঁছেছিল ঢাকায় অভ্যুত্থান হয়েছে। মুজিব ডেড। ধীর-স্থির প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজে অংশ নিলেন। তেমন একটা প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল না। অবশ্য একটা দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা গেল। তখন বাংলাদেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার সমর সেন দিল্লিতে। তাকে ডেকে পাঠানো হলো। বলা হলো- এক্ষুণি ঢাকায় যেতে হবে। ঢাকা-দিল্লি বিমান যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ঢাকায় কারফিউ। সমর সেন দিল্লি থেকে কলকাতা এলেন বিমানে। বেনাপোল সীমান্ত ক্রস করে বাই রোডে সোজা এলেন ঢাকায়। গন্তব্য বঙ্গভবন। সেখানেই থাকতেন আগস্ট অভ্যুত্থানের খলনায়ক, ষড়যন্ত্রকারী খন্দকার মোশ্তাক আহমেদ। দুপুর গড়িয়ে তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। তাহেরউদ্দিন ঠাকুর মোশ্তাককে খবর দিলেন- সমর সেন বঙ্গভবনে পৌঁছে গেছেন। এর পরের দৃশ্য পত্রিকার প্রথম পাতায় পরদিন দেখা গেল। সমর সেন বঙ্গভবনে পৌঁছেই খন্দকার মোশ্তাকের সঙ্গে কোলাকুলি করলেন। অন্য কী বার্তা দিয়েছিলেন তা অবশ্য জানা যায়নি। এখনকার পরিস্থিতি কী। শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের পর ভারত কি আসলেই কোনো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? যা থেকে ধরে নেয়া যায় তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করবে? বাস্তব অবস্থা দেখে যে কেউ এই ধারণা করতেই পারেন। ভারত যেটুকু পেয়েছে শেখ হাসিনার কাছ থেকে সেটুকু ধরে রাখতে চায়। তাই বলে হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ দেখাতেও তারা কসুর করছে না। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে ভারত অনেক কিছুই নিয়েছে। দিয়েছে স্বল্প। অবশ্য ক্ষমতায় থাকার একচেটিয়া লাইসেন্স দিয়েছে। নির্বাচনগুলোতে প্রভাব বিস্তার করেছে। এক পর্যায়ে তারাই বাংলাদেশের রাজনীতির নিয়ামক শক্তি হিসেবে কলকাঠি নেড়েছে। কখনো গোপনে, কখনো প্রকাশ্যে। চোখ বুজে টিকিয়ে রেখেছে হাসিনার অগণতান্ত্রিক শাসনকে। পরিণতিতে হারিয়েছে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে। দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর হাসিনার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা দেন নি। এই অবস্থায় হাসিনা যদি ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে বসেন তখন তাদের নীতি কী হবে তা নিয়ে উভয় সংকটে প্রশাসন। রাজনৈতিক পণ্ডিতরা দ্বিধাবিভক্ত। হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চাপ বাড়বে ভারতের উপর। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এরকমই একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ভারতের উদ্বেগ সেভেন সিস্টার নিয়ে। হাসিনার জমানায় স্বস্তি এসেছে। প্রতি বিপ্লবের পথে গিয়ে যেটুকু অর্জন তা হারিয়ে যেতে পারে। এই আশঙ্কাও তাদের মধ্যে রয়েছে। তাদের ভয়, হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ দেখাতে গিয়ে চীনের আগমন ঘটে কিনা! সে নিয়েও তাদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেকটা নীরবেই তাদের অবস্থান সুসংহত করেছে। ঢাকার রাষ্ট্রক্ষমতায় এখন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যার সঙ্গে রয়েছে পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের সরাসরি যোগাযোগ। তিনি চাইলে অন্তত একশ’টি দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে যখন তখন কথা বলতে পারেন। এ কারণে ভারত সতর্ক পা ফেলছে। জুলাই বিপ্লবের পর ইউনূসের সরকারকে স্বীকৃতি দিতে ভারত সময় নষ্ট করেনি। হাসিনার পতনে ভারত বিরক্ত। তাই বলে তারা দরজা বন্ধ করে রাখছে না। যে যাই বলুন, বিপ্লবের পরে প্রতি বিপ্লবের ছায়া। তারা যে রসদ যোগাচ্ছে না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা নরেন্দ্র মোদির সরকারকে আবেগতাড়িত না হয়ে বাস্তব সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দিয়েছেন। পরিবর্তিত এই অবস্থায় হাসিনার দেশে ফেরা ছাড়া আর কী বিকল্প রয়েছে? গণহত্যার অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত হতে চলেছেন। পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশ তাকে গ্রহণ করতে চাইবে না। সময় যত গড়াচ্ছে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয়দের মনোভাবেও পরিবর্তন আসছে। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের সঙ্গেই ভারতের সুসম্পর্ক নেই। যেটুকু ছিল বাংলাদেশের সঙ্গেই। ভুল নীতি কৌশল গ্রহণ করে সেটুকু হারাতে চায় না ভারত। কোটা বিরোধী আন্দোলন হাসিনার ভবিষ্যৎ যেমন ফিকে করে দিয়েছে তেমনি বাংলাদেশে ভারতের অবস্থান অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়। সামপ্রতিক বন্যা নিয়ে বাংলাদেশিদের প্রতিক্রিয়া দেখে ভারতের নেতৃত্ব বেশ চিন্তিত বলেই মনে হচ্ছে। উত্তরে চীন, পশ্চিমে পাকিস্তান। পূর্বে আরেকটি নিরাপত্তা ফ্রন্ট ভারত খুলবে কি-না তা নিয়ে হিসাবনিকাশ চলছে। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এটা যদি করা হয় তা হবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের গভীর নজর রয়েছে সর্বশেষ ঘটনাবলির উপর।
There is a third option - she can commit suicide.
ভারতকে তার নিজেকে মূল্যআয়ন করতে হবে। ভারত যে একটি তৃতীয় বিশ্বের দেশ এবং তাঁকে মালদ্বীপ পর্যন্ত পাত্তা দেয়না ,কেন?
ভারত বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের উপর শেখ হাসিনাকে চাপিয়ে দিয়ে শাসন করেছে। শেখ হাসিনার শাসন মুলত ছিল ভারতের সম্প্রসারিত ক্ষমতার অংশ, শেখ হাসিনা মাধ্যম মাত্র। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হলো ভারত। এটা আওয়ামী লীগ নেতাদের কথাতেই পরিষ্কার। আওয়ামী লীগের নেতাদের কথার সূত্র ধরে বলা যায়, আওয়ামী লীগ মানেই ভারত, ভারত মানেই আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা মামলার ভয় করে না; বাংলাদেশে ফিরে আসলে উনি রাস্তায় থাকতেই সব মামলা খারিজ হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ক্ষমতায় ফিরে আসলে আরও ভয়ঙ্কররূপেই ফিরে আসবে বলে সাধারণ মানুষ মনে করে।
ভারত সম্পর্কিত বিশ্লেষণ খুবই সুন্দর। ভারতের পররাষ্ট্র নীতি বরাবরই ছিল আওয়ামীলীগের উপর নির্ভরশীল। তারা কখনোই বাংলাদেশের মানুষের উপর নির্ভরশীল ছিল না।
স্বৈরাচারী , ফ্যাসিস্ট, মানবতাবিরোধী অপরাধকারী, স্যাডিস্ট, সাইকোপ্যাথ, খুনী, দম্ভকারী, ফেরাউন লাইক, জালিম, দেশদ্রোহী, সাপ্রদায়িক, দাঙ্গাবাজ, চোর, লুটপাটকারী, গণঘৃণাপ্রাপ্ত হাসিনাকে আমরা ফেরত চাই না। কারণ অভ্যুত্থান পরবর্তী এই দেশে এখনো কোন স্টেবল বা আওয়ামীলীগ ও জালিম এর বিরুদ্ধে বিপ্লবী মনোভাব পোষণকারী সরকার তৈরি হয় নাই। দেশের সিভিল প্রশাসন, মিলিটারি, এবং সুশীল সমাজের মধ্যে এখনো সিংহভাগ এখনো সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামীলীগের দোসর ও মানসপুত্ররা ঘাপটি মেরে বহাল তবিয়তে বসে আছে। তাই একবার যদি খুনি , ডাইনীটা দেশে পা রাখতে পারে তবে সাথে সাথেই ঐসকল ঘাপটি মেরে থাকা জালিমের সহযোগী বর্বর লোকজনরা নানামুখী ঝামেলা শুরু করবে এবং দেশের শত্রু ইন্ডিয়া তখন নানাভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা চালায়ে বুড়ি ফেরাউনটার যথাযথ বিচার ও শাস্তি নিশ্চিতে তুমুল বাধা প্রয়োগ করবে এবং আখেরে দেখা যাবে খুনি দেশের শত্রুটা কোনরূপ শাস্তি ছাড়াই আবার দেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হবে। আমরা চাই, ওর বাপের দেশ ভারতই ওকে রেখে দিক, এবং বাংলাদেশের মানুষ তাদের আসল শত্রুকে আরও ভালোমত চিনে নিক।
বাংলাদেশের জনমানুষের আশা-আকাঙ্খা ভারতের উপলব্ধি করে বাংলাদেশ ইস্যুতে তার পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তন করা উচিত। কোন ব্যক্তি বা দল নয়, বাংলাদেশের মানুষের সাথে ভারতের সম্পর্কন্নোয়ন জরুরি। ভারত যদি খুনি হাসিনাকে ফেরত না দিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় সেটা হবে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল। যা দু’দেশের জন্যই ক্ষতির কারণ হবে। ভারতের উচিত খুনি হাসিনাকে ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো। এর মাধ্যমেই কেবল ভারত বাংলাদেশের মানুষের ক্ষোভ কিছুটা হলেও লাঘব করে সম্পর্কন্নোয়নে সক্ষম হবে।
ড. ইউনুছ স্যার এর নিরাপত্তা বাড়ানো হউক, কারণ ভারত চাইবে স্যারকে শেস করে দিতে। আল্লাহ সবাইবে হেফাজত করুণ, আমীন।
নিরাপরাধ ৪০+- শিশু সহ হাজার হাজার মানুষের হত্যাকারি এ মহিলা ফেরাউনকে এদেশে এনে বিচার করবার মতো শক্তি এ দেশের আছে কিনা? জানি না !!!!! ক্ষমতার জন্য নিরাপরাধ শিশু সহ হাজার হাজার মানুষ হত্যাকারী, শতশত মানুষদের গুম করে নৃশংস ভাবে হত্যাকারি এ মহিলার সঠিক বিচার যদি হয় তাহলে কয়বার তাকে ফাঁসিতে ঝুলালে সঠিক হবে? তাও জানি না!!!! তবে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া উচিৎ। আশা করি ভারত তার প্রতিবেশী বাংলাদেশের জনগনের সাথে তাদের সম্পর্ক উন্নতির চেষ্টা করবে।
ভারতের আধিপত্যবাদী মনোভাব বরং সারা পৃথিবী থেকেই বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে।
হাসিনার সামনে ২ টা পথ খোলা আছে, একটা আয়নাঘর আরেকটা ১ কোটি বার ফাঁসি।
চমৎকার এবং নির্মোহ বিশ্লেষণ। সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে ভারত খুবই সাবধানে অগ্রসর হচ্ছে এটা ঠিক। সেভেন সিস্টারের স্থিতিশীলতার জন্য তারা এমন কোনো পদক্ষেপ নিবে না যাতে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের আরো অবনতি হয়।
ভারতকে যে পরিমাণ ভালোবাসা দান করেছেন তিনি সেখানেই তার বাকি জীবন থাকা উচিৎ তা যে ব্যবস্থাই হউক , "রাজনৈতিক আশ্রয় " কিবা বাংলাদেশেকে দাবড়ানির কূট ষড়যন্ত্রের ঘুটি হিসাবেই হউক। উপমহাদেশের আধিপত্য বাদি পরাশক্তি অভিমানী ভারত নরহত্যার বিচারের জন্য এই শেখ কে কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশের কাছে দেবেনা। বাংলাদেশ কোনো অবস্থাতেই নিরাপরাধ ৪০+- শিশু সহ হাজার হাজার মানুষের হত্যাকারি এ মহিলা ফেরাউনকে এদেশে এনে বিচার করবার মতো শক্তি রাখেনা, আনতে যদি সমর্থ ও হয়, বিশেষ আাদালত যদি বা গঠন করতে সমর্থও হয় ভারতীয় আধিপত্যবাদি শক্তি বহির্বিশ্বে তাদের বন্ধুদের সহায়তায় এ বিচার বানচাল করবেই। আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যা মামলার তোলার আগেই ভূরাজনীতির নামসমীকরণে এ উদ্যোগ চাপা পড়ে যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা। তার চেয়ে এ-ই ভালো সেই মহিলা ফেরাউন তার ভালোবাসার জনদের কাছে আদরে সোহাগেই থাকুক এজীবন। যে ধরনের অসংখ্য অপরাধ সে করেছে এ দুনিয়ায় এ সবের বিচার করা কি সম্ভব ? ক্ষমতার জন্য নিরাপরাধ শিশু সহ হাজার হাজার মানুষ হত্যাকারী, শতশত মানুষদের গুম করে নৃশংস ভাবে হত্যাকারি এ মহিলার সঠিক বিচার যদি হয় তাহলে কয়বার তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো যাবে। তাই তার উপযুক্ত বিচার পরকালেই হউক তাঁরই পরাক্রমে। মহিলা ফেরাউনের বিচার তো দূরের কথা তাকে কাঠগড়ায় আসামি হিসেবে তুলতে গেলেই তো শুরু হয়ে যাবে তার প্রতি দুনিয়া জুড়ে তার সমগোত্রীয় দরদীদের নাকি কান্না। এই মানবজমিন অনলাইন পত্রিকা ও তো তার এবং তার ভালোবাসার দেশের নাম নিয়েছি বলেই আমার এ মন্তব্য প্রকাশ করবেন।
ভারত সম্পর্কিত বিশ্লেষণ খুবই সুন্দর। ভারতের পররাষ্ট্র নীতি বরাবরই ছিল আওয়ামীলীগের উপর নির্ভরশীল। তারা কখনোই বাংলাদেশের মানুষের উপর নির্ভরশীল ছিল না।
ভারতের রাজনীতি এদেশের মানুষের সাথে হওয়া উচিৎ।
Hasina black listed from every part of the world since she is killer of over 1000 of students. India already damaged their good emage to Bangladesh being giving blind support to Hasina regime and support to to build a mafia state. But there is a chance to reconciliation the relationship. As a fresh start to show the good gesture to people of Bangladesh return back Hasina to us, then rest of the national issue can be negotiated one after another.
Awami "Karma" is in full display.
১৯৭৫ এর ১৫ই অগাস্টের সময় হাসিনা-রেহানা জার্মানিতে ছিল। ভারত তাদের জার্মানি থেকে ডেকে এনে বিষধর সাপ হিসাবে পেলে পুষে বড় করেছে। আর এজন্যই হাসিনার মেন বাংলাদেশের মানুষের প্রতি এতো ঘৃনা আর বিষ
আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তুু ছেড়ে দেন না !!! জুলুমবাজরা অচিরেই ধ্বংস হবে এটি ও উনি ভুলে গিয়েছিলেন ।।। ভারতের উচিত বাংলাদেশের মাটিতে ফিরিয়ে দিয়ে প্রচলিত আইনে বিচার নিশ্চিত করা।।। উনি অনেক পাপ করেছেন বিনা বিচারে অনেক কে নজীরবিহীন নির্যাতন করেছেন কাউকে জবাই ও করেছেন।।। উনি ভুলে গিয়েছেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিচারক আল্লাহপাক।।। আমি ও কামনা করি হাসিনা সরকারের আমলের সকলেরই কঠিনতম শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।।।
ভারত তার জাতীয় স্বার্থের জন্যে এরকম হাজারো হাসিনাকে ছুড়ে মারবে ডাষ্টবিনে।
Late Indira Gandhi's ashes turning in the urn and saying united Pakistan was better.
Never thought India can be in such a dilemma.
ব্যক্তি হাসিনার চেয়ে ১৮ কোটি বাংলাদেশির সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখাই ভারতের জন্য কল্যানকর।
Sorry to say it but you forgot the 3rd option, she can marry modi and get legal status.
আল্লাহ্ ই যথেস্ঠ শেখ হাসিনাকে স্ব সম্মানে রক্ষা করার জন্য। ভারত অবশ্যই তাঁকে আগলে রাখবে, কারন সে এখনও বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী।
Will not be wise for India to harbour a fugitive against whom there are almost 100 cases filed mostly for killings and severe human rights violations. She may be was a “ golden goose “ once upon a time but now she has nothing to give to India. India has to choose friendship with her eastern neighbour or start animosity? There are already lots of tensions and anger among the Bangladeshi on many issues specially on the boarder killings of innocent Bangladeshis by the BSF. Don’t think India will dare risk to our relationship what ever that is remains now to further deteriorate. So when Bangladesh request India for her and her sister’s extradition to Bangladesh hope fully India will comply. Current scenario cannot be compared with 1975 when Hasina was granted political asylum after the killing of Sheik Mujib. That time she was a victim but now she is persecutor accused of killing more then 1000 innocent children, students and own citizens. A massive genocide committed by her
পতিত স্বৈরশাসক পলাতক হাসিনা এবং তার ভিনদেশি প্রভু আধিপাত্যবাদী ভারত এবং এদেশীয় আওয়ামী-হাসিনার দোসররা এখনো সক্রিয় বলেই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মনে হয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে ছাত্র জনতার বুক চিতিয়ে গুলি পেতে নেয়ার বিপ্লবী চেতনা প্রভাবিত না করলে এই দানবদের রুখে দেয়া কঠিন। সাপের দেহে এখনো প্রাণের অস্তিত্ব লক্ষণীয়! ছোবলের আশঙ্কা বিদ্যমান। তবে বিষমুক্ত করা অসাধ্য কিছু হবে না যদি বিপ্লবী চেতনায় বলীয়ান হয় প্রফেসর ইউনুসের সরকার। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন।
ভারত যে বন্যা দিয়ে একেবারে শত্রু বানিয়েছে নিজেকে সেটা বাদ দিয়েছেন।
Hasina will developed Cancer by India like Iranian Shah and Philipine Marcos were developed cancer in USA as they were burden for USA.
ইনশাআল্লাহ ভারতেও জায়গা হবে না। ইলিশ মাছের স্বাদ নরেন্দ্র মোদির নিশ্চয়ই এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাবার কথা নয়। যেখানে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ সেই বাংলাদেশে মানুষ বছরের পর বছর এক পিস ইলিশের টুকরা খেতে পারেনি চড়া দামের কারণে। এই খুনি হাসু আপার বাংলার জমিনে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার জনগন করবে যেভাবে রংপুরের আবু সাঈদ হত্যাকারী পুলিশের লাশ ঝোলানো হয়েছে, এর পরিণতি হবে ঝোলানো লাশের চাইতেও অনেক । বিগত ১৫ বছরে যেভাবে আয়না ঘরে হত্যা কান্ড ৫৭ সেনা অফিসার কে হত্যা এতগুলো মানুষের মায়ের কোল খালি এতগুলো বিধবা স্ত্রী মায়ের চোখের পানি কখনোই বৃথা যাবার নয় স্ব-চোখে ইনশাআল্লাহ এই খুনি হাসিনার বিচার হবে
ভারত সম্পর্কে ভালো বিশ্লেষণ। ভারত উভয় সংকটে পড়েছে। বাস্তবতা অনুধাবন করে ভারতের উচিত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা। এতে উভয় দেশই উপকৃত হবেন। হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অথবা বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে!
Please die.
ভারত হাসিনাকে আন্দামান নিকোবার দ্বিপে পাঠিয়ে দিতে পারে